কাজ নাই মজুরী নাই ভিত্তিতে জনবলের সুবিধাবলী সংক্রান্ত।
কাজ নাই মজুরী নাই ভিত্তিতে নিয়োজিত জনবলের সুবিধাবলী সংক্রান্ত নীতিমালা জারী করা হয়েছে।
সরকারী অফিসে/স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায়/উন্নয়ন প্রকল্পে দাপ্তরিক প্রয়োজন অনুযায়ী এমএলএসএস/ঝাড়ুদার/টেবিল বয়/ ফরাস এ ধরণের ৪র্থ শ্রেণীর সকল পদে ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে জনবল নিয়োজনের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবেঃ-
ক) বাজেট বরাদ্দঃ
‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে কর্মরত জনবলের মজুরী সরবরাহ ও সেবাখাতের আওতাধীন কোড নং- ৪৮৫১ থেকে পরিশোধ করা হবে এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ বাজেটে রাখতে হবে। বেতন ও ভাতাদি খাতে এ বাবদ কোন বরাদ্দ থাকবেনা।
খ) নিয়োজন পদ্ধতিঃ
বাৎসরিক/মাসিক মেয়াদের জন্য দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় জনবল সংশিস্নষ্ট অফিসে নিয়োজন প্রদান করা যেতে পারে।
বাৎসরিক মেয়াদে
বাৎসরিকমেয়াদে নিয়োজনের ক্ষেত্রে এক বৎসরের জন্য চুক্তিতে ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ হিসাবে নিয়োজন প্রদান করা যেতে পারে। এক বৎসর কাজ শেষে কমপক্ষে এক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে পুনরায় আরও এক বৎসরের জন্য চুক্তিতে নিয়োজন প্রদান করা যেতে পারে। এ প্রক্রিয়া একাধিকবার চলতে পারে।
মাসিক মেয়াদে
মাসিক মেয়াদে নিয়োজনের ক্ষেত্রে এক মাসের জন্য চুক্তিতে ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ হিসাবে নিয়োজন প্রদান করা যেতে পারে এবং এ প্রক্রিয়া একাধিকবার চলতে পারে। এক মাস কাজের পর কমপক্ষে একদিন বিরতি দিয়ে পুনরায় এক মাসের জন্য চুক্তিতে নিয়োজন প্রদান করতে হবে।
এতদ্দশ্যে সংশিস্নষ্ট অফিসে একটি রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাতে নাম, ঠিকানা, ছবি, পদবী, ইত্যাদি তথ্য লিখে/সংযুক্ত করে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন কাজের শেষে তাতে স্বাক্ষর নিতে হবে। রেজিস্ট্রারে তথ্যানুযায়ী মাসের শেষে একত্রে মজুরী পরিশোধ করতে হবে।
গ) মজুরী:
‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে নিয়োগকৃত জনবলকে দৈনিক ১২০.০০ টাকা হারে মজুরী পরিশোধ করা যেতে পারে।
- সরকারি চিকিৎসা অনুদান ফরম [সংশোধিত] ২০২৩ । সাধারণ এবং জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের আবেদন ফরম ডাউনলোড
- Income tax challan code 2023 । আয়কর জমার চালানের নমুনা কপি [পূরনকৃত ফরম]
- ১৬ তম গ্রেডে বেতন কত ২০২৩ । কেমন আছেন নিম্ন গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা?
- বাংলাদেশ সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ । সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি কি ২ বা ৩ বছর পর পর হয়?
- Gold Price Chart 2023 । স্বর্ণের দাম আরও কমেছে ভরিতে ১৭৪৯.৬০ টাকা
** অর্থ বিভাগ সময়ে সময়ে উপরোক্ত দৈনিক মজুরীর হার পুনঃনির্ধারণ করতে পারে।
(ঘ) মজুরী হার বৃদ্ধির সুবিধাঃ
সরকারী /স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থায়/উন্নয়ন প্রকল্পে প্রতি দুই বৎসর কাজের অভিজ্ঞতার জন্য মজুরীর দৈনিক হার ১০ (দশ) টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
(ঙ) অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ
চুক্তি অনুযায়ী বাৎসরিক/মাসিক মেয়াদে ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে এক বছর কাজ করার পর ঐ ব্যক্তিকে ৩০দিনের সমপরিমাণ মজুরী এককালীন পরিতোষিক হিসাবে প্রদান করা যেতে পারে। তবে শর্ত থাকবে যে, তাঁর কাজ সমেত্মাষজনক এবং কাজের মোট সময় সংশিস্নষ্ট বছরে নূন্যতম পক্ষ ২৫০ দিন হতে হবে।
সংশিস্নষ্ট অর্থ বছরে এবং/বা পূর্ববর্তী অর্থ বছরে মোট কাজের সময় নূন্যতম পক্ষে ১৫০ দিন হলে নিয়োজনকৃত ব্যক্তিকে দুই ঈদ/বড় দিন/দুর্গাপুজা/বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরীর সমান অর্থ উৎসব বোনাস হিসাবে দেওয়া যাবে। দুই ঈদের জন্য প্রাপ্য বোনাস দুই ভাগে ভাগ করে প্রতি ঈদে আলাদাভাবে প্রদান করতে হবে।
(চ) নিয়োজনের জন্য বয়সসীমাঃ
‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে নিয়োজনের জন্য বয়স কমপক্ষে ১৮ বৎসর হতে হবে। ৫৭ বৎসরের অধিক বয়সের ব্যক্তিকে ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ হিসাবে নিয়োজন করা যাবে না।
(ছ) চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজনের নমুনাঃ
‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে জনবল বাৎসরিক/মাসিক মেয়াদে নিয়োজনের ক্ষেত্রে এতদসঙ্গে সংযুক্ত মডেল চুক্তিপত্র (সংযোজনী ‘ক’) অনুসরণ করতে হবে এবং উক্ত মডেল অনুযায়ী জনবল নিয়োজন প্রদান করতে হবে।
নিয়োজনের সময় সংশিস্নষ্ট ব্যক্তির পূর্ব-পরিচিতি এবং তার চরিত্র সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষে নিশ্চিত হবেন যাতে সংশিস্নষ্ট ব্যক্তি কর্মকান্ড দ্বারা অফিসের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।
(জ) চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজনের সংখ্যাঃ
নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২২/০১/২০০৩ তারিখের মপবি/কঃবিঃশাঃ/সক-০১/২০০৩/২৮ নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গঠিত জনবল নির্ধারণ সংক্রামত্ম কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক জনবল ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে নিয়োজন প্রদান করা যাবে।
সমাপ্ত প্রকল্পের পদ/জনবল রাজস্বখাতে স্থানামত্মরের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২২/০১/২০০৩ তারিখের মপবি/কঃবিঃশাঃ/সক-০১/২০০৩/২৭ নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গঠিত সচিব কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারিত ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে নিয়োজন প্রদান করা যাবে।
সরকারী/স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার কেবলমাত্র দাপ্তরিক প্রয়োজনে ৪র্থ শ্রেণীর পদ সমূহে ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে নিয়োজন প্রদান করা যাবে। তবে নিয়মিত এবং ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিত্তিতে ৪র্থ শ্রেণীর মোট কর্মচারীর সংখ্যা অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো (TO & E) অনুযায়ী নির্ধারিত মোট ৪র্থ শ্রেণীর সংখ্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
সংযোজনী ‘ক’
কার্যালয়ের নাম ও ঠিকানা
জনাব…………………………………
গ্রাম…………………………………..
ডাকঘর……………………………….
কাজ নাই মজুরী নাই ভিত্তিতে নিয়োজিত জনবলের সুবিধাবলী সংক্রান্ত নীতিমালা ২০০৩ : ডাউনলোড
Pingback: জ্বালানি তেলের প্রাপ্যতা গাড়ি প্রতি ২০০ লিটার।
Pingback: জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৮