সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিজে যিনি কর্মরত কোন জটিল রােগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করালে জটিল ও ব্যয়বহুল রােগের দেশে বিদেশে চিকিৎসা সাহায্য তহবিল হতে চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। [১ জুলাই, ২০১৯ এর পুর্বের চিকিৎসার জন্য সবাের্চ ১ লাখ টাকা এবং ১ জুলাই, ২০১৯ এর পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার জন্য সবােচ্চ ২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়]।
জটিল ও ব্যয়বহুল রােগে চিকিৎসা ব্যয়ের বিপরীতে আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির শর্তাবলি ২০২৩
১. নির্ধারিত আবেদন ফরম নং ০৮ পূরণ করে প্রয়ােজনীয় কাগজপত্রাদি প্রতিস্বাক্ষর করে সংযুক্ত করে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড, প্রধান কার্যালয়, ১ম ১২তলা সরকারি অফিস ভবন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা বরাবরে একটি ফরওয়ার্ডিং চিঠির মাধ্যমে প্রেরণ করতে হয়;
২. কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিজের চিকিৎসার জন্য চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়;
৩. ফরমের নির্ধারিত স্থানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন এবং কর্মকর্তা কর্মচারীর অফিস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরসহ নামযুক্ত সিল প্রদান;
৪. জটিল ও ব্যয়বহুল রােগঃ হার্ট স্ট্রোক, ব্রেইন স্ট্রোক, বাইপাস সার্জারী, হার্টে রিং পড়ানাে, ক্যান্সার, কিডনী ডায়ালাইসিস, কিডনী ট্রান্সফার, মারাত্মক দুর্ঘটনাজনিত কারণে অঙ্গহানি।
জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের আবেদন ফরম: ডাউনলোড
অনুদানের আবেদনে সংযুক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র । আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র যুক্ত করতে হবে?
১. হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকলে মূল ছাড়পত্র (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত);
২. চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল ভাউচার এর মূলকপি (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত); প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র
৩. চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপত্র ও রিপাের্ট (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত);
৪. চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের হিসাববিবরণী (কর্মচারীর স্বাক্ষর সহ);
৫. জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫-এ বেতননির্ধারণ (Payfixation) ফরমের সত্যায়িত ফটোকপি
অনুদান পাওয়ার জন্য কি কোন ফি/আনুষাঙ্গিক খরচ দিতে হয়? উত্তর: না। এজন্য কোন ফি প্রয়োজন হয় না
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড আইন, ২০০৪ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বাের্ড (তহবিলসমূহ। বিধি-বিধান/ নীতিমালা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং সংশােধিত বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী।
আবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ কিভাবে কাজ করে?
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:- আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর সফটওয়্যারে এন্ট্রি করে তালিকা তৈরি এবং SMS এর মাধ্যমে বিবরণ আবেদনের ডিজিটাল ডায়রি নম্বর, তারিখ ও আবেদনে কোন ত্রুটি থাকলে তা জানিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি মাসের প্রাপ্ত মােট আবেদন একটি লটে অর্ন্তভূক্ত করে বাছাই কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। বাছাই কমিটি রােগের ধরন ও খরচের বিষয়টি বিবেচনায় অর্থমঞ্জুরির সুপারশি করে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থাপন করে থাকে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহােদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় চূড়ান্ত অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করা হয় এবং SMS এর মাধ্যমে মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হয়। সেবাপ্রার্থীর নামে মঞ্জুরিকৃত অর্থ সেবাপ্রার্থীর ব্যাংক হিসাবে EFT এর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয় এবং অগ্রায়নপত্রের মাধ্যমে এডভাইস লেটার জনতা ব্যংকে প্রেরণ করা হয়। এ সংক্রান্ত সকল তথ্য বাের্ডের ওয়েবসাইট (www.bkkb.gov.bd) থেকে জানা যায়।
আবেদন করেও আর্থিক অনুদান না পেলে কোথায় যোগাযোগ করবেন?
প্রথমে আবেদনকারী মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন। যদি তারপরও প্রতিকার না পান তবে তিনি পরিচালক(প্রশাসন)/মহাপরিচালক এর সাথে যোগাযোগ করবেন।
সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সিটিজেন চার্টার: ডাউনলোড
আথিক সাহায্যের জন্য হাত । যোগাযোগ: ০১৭৯১৫০৭২০০
যথা নিয়মে আবেদন করতে হবে।