ই পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন এবং অন্যান্য কাগজপত্রাদিসহ পাসপোর্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দিবেন – পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩
পাসপোর্ট কি?– পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত একটি দেশের সরকারকর্তৃক জারি করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে। একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর, এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। এখন পাসপোর্টে থাকা চিপ রিড করে সহজেই সেকেন্ডের মধ্যে সকল তথ্য স্টোর বা সংগ্রহ করা যায়।
বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম কি? ই পাসপোর্টের জন্য শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্যই অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রথমে অনলাইনে আবেদন করুন। এরপর পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার পর, চালান কপি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। সাধারণত একজন শিশুর পাসপোর্ট আবেদন ২ ভাবে হতে পারে, ১) বাবা/মায়ের পাসপোর্ট আবেদনের সাময় একই সাথে শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন অথবা ২) আলাদাভাবে শুধুমাত্র শিশুর পাসপোর্ট আবেদন করা যেতে পারে। পিতা-মাতার সাথে একসঙ্গে পাসপোর্ট আবেদন করলে অনেকটা হয়রানি কম হয়। তবে উভয়ক্ষেত্রেই আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি’র পরিমাণ একই।
পাসপোর্ট পেতে কত দিন সময় লাগে? প্রাপ্তবয়স্ক ও বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট আবেদন ও পাসপোর্ট ডেলিভারীর প্রক্রিয়া একই। স্বাভাবিক ডেলিভারী সময়ের কিছুটা হেরফের হতে পারে। তবে সাধারণত ১৫-৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। ১ দিন থেকে ১৫ বছর বয়স্ক বাচ্চাদের পাসপোর্ট করতে জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি, পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি,
একজন আত্মীয়ের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর (জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য), ছবি (৬ বছরের কম বয়সী হলে), NOC (এনওসি) বা অনাপত্তি পত্র (সরকারি/ আধা সরকারি/ স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরীজীবির সন্তানের ক্ষেত্রে) এবং পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান কপি লাগে।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে? Passport with 48 pages and 5 years validity > Regular delivery within 21 days: TK 4,025, Express delivery within 10 days: TK 6,325> Super Express delivery within 2 days: TK 8,625, Passport with 48 pages and 10 years validity- Regular delivery within 21 days: TK 5,750, Express delivery within 10 days: TK 8,050, Super Express delivery within 2 days: TK 10,350, Passport with 64 pages and 5 years validity – Regular delivery within 21 days: TK 6,325, Express delivery within 10 days: TK 8,625, Super Express delivery within 2 days: TK 12,075, Passport with 64 pages and 10 years validity – Regular delivery within 21 days: TK 8,050, Express delivery within 10 days: TK 10,350, Super Express delivery within 2 days: TK 13,800 ।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩ । নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩
রেগুলার ডেলিভারী স্পিডে পাসপোর্ট করতে আপনাকে ন্যুনতম ৪০২৫ টাকা ফি গুনতে হবে। সাথে ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হবে।
Caption: Apply for New Passport Now
নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যা আপনাকে সাথে আনতে হবে। পিতা মাতার এনআইডিও কি লাগে?
- অনলাইন আবেদন ফরম এবং Appointment/ শিডিউলপত্র (Print summary) কপি।
- ব্যাংক চালান (অনলাইন কিংবা SMS এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমাদানকারী গ্রাহক পাসপোর্ট এর আবেদনপত্রের সাথে চালানের প্রিন্ট কপি সংযুক্ত করবেন) কপি।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (২০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে বাধ্যতামূলক) কপি।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (ইংরেজি ভার্সন) সনদ (১৮ বছরের নিম্নে হলে, এক্ষেত্রে পিতা-মাতার NID বাধ্যতামূলক) কপি।
- জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (১৮-২০ বছরের মধ্যে) কপি।
- সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/ বিভাগ/ অধিদপ্তর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে NOC/GO, অন্যান্যদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ/টেকনিক্যাল সনদ কপি।
- NOC/GO আবেদনকারীগণ স্ব স্ব দাপ্তরিক ওয়েব সাইটে NOC/GO আপলোড করবেন।
- সরকারী চাকুরিজীবীগণ অবসর প্রাপ্ত হলে অবসর গ্রহণের প্রমাণক দাখিল করতে হবে।
- ০৬ (ছয়) বছর বয়সের নিচের আবেদনকারীর ক্ষেত্রে 3R সাইজের ০১ (এক) কপি ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ্গীন ছবি দাখিল করতে হবে।
- বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে যথাযথ প্রমাণক দিতে হবে (বিদ্যুৎ/গ্যাস/ওয়াসার বিলের কপি)।
ই পাসপোর্ট দিয়ে কি কি কাজ করা যায়?
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। সাধারণ পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্টের সুবিধার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখন পাসপোর্ট দিয়ে অনেক কাজই করা যায়, যেমন-বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও, সিম ক্রয় করা যায় এবং বেশ কিছু সরকারি সুবিধা দেশে এবং বিদেশে ভোগ করা যায়।