পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করিবার দন্ড: কোন সন্তান কর্তৃক ধারা ৩ এর যে কোন উপ ধারা বিধান কিংবা ৪ এর বিধান লংঘন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং
- উক্ত অপরাধের জন্য অনুর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবে; বা
- উক্ত অর্থ দন্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদন্ডে দন্ডিত হইবে।
ধারা-৩
পিতা-মাতার ভরণ পোষণ: (১) প্রত্যেক সন্তানকে তাহার পিতা-মাতার ভরণ পোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে।
(২)কোন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেই ক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা-মাতার ভরণ পোষণ নিশ্চিত করিবে।
(৪) কোন সন্তান তাহার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না।
(৫) প্রত্যেক সন্তান তাহার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করিবে।
(৬) পিতা বা মাতা কিংবা উভয়, সন্তান হইতে পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেই ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের সহিত সাক্ষাত করিতে হইবে।
(৭) কোন পিতা বা মাতা কিংবা উভয়ে, সন্তানদের সহিত বসবাস না করিয়া পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত পিতা বা মাতার প্রত্যেক সন্তান তাহার দৈনন্দিন আয় রোজগার, বা ক্ষেত্রমত, মাসিক আয় বা বাৎসরিক আয় হইতে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ পিতা বা মাতা, বা ক্ষেত্রমত, উভয়কে নিয়মিত প্রদান করিবে।
ধারা-৪
পিতা-মাতার অবর্তমানে দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভরণপোষন: প্রত্যেক সন্তান তাহার
(ক) পিতার অবর্তমানে দাদা-দাদীকে এবং
(খ) মাতার অবর্তমানে নানা-দানীকে-
ধরা ৩ এ বর্ণিত ভরণ পোষণ প্রদানে বাধ্য থাকিবে এবং এই ভরণ পোষণ পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ হিসাবে গণ্য হইবে।পিতা মাতার দেখভাল না করিলে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা বা ৩ মাসের কারাদন্ড বিস্তারিত জানতে নীতিমালা দেখুন: ডাউনলোড