বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হলো ২৬ মার্চ। এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি মর্মান্তিক দিন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে বাংলাদেশে জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে পরিগণিত হয়।
জাতীয় দিবস- ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ঢাকার বাংলাভাষী ছাত্রদের অভিযান চালানোর দাবি করে শহীদ ভাষা দিবস পালন করা হয়। দুটি দিন পর দিন বাংলাদেশের পাটুয়াখালি থেকে কিশোরগঞ্জের অব্যাহত এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে হঠাৎ উদ্ভাবিত সংঘটনায় ৪ শহীদ প্রাণহার করেন। এই সন্ত্রাসী হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি মুহূর্তও হওয়ার আগের কোনো ঘটনা নয়। এই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিলেন সালাম, জব্বার, শফিক ও বাক্কর।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় রাষ্ট্রীয় এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি আয়োজন/ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ
স্মারক নং-মপবি-৪/১/২০০২-বিধি/৯ তারিখ: ২৫ জানুয়ারি ২০০৩
বিষয়: মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন এবং জাতীয় স্মৃতি সৌধ রক্ষণবেক্ষণ প্রসঙ্গে।
মহান বিজয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রাচার, রাষ্ট্রীয় ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে সরকার নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে:
১) ২০০৩ সাল থেকে ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস” উদযাপনের সামগ্রিক দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পালন করবে।
২) ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ ” মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস” উদযাপনের সামগ্রিক দায়িত্ব পূর্বের ন্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পালন করবে। তবে উক্ত দিবস উদযাপনের আয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করবে। ২০০৪ সালে সার্বিক পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
৩) জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় রাষ্ট্রীয় এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি আয়োজন/ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকবে।
৪) জাতীয় স্মৃতিসৌধের রাষ্ট্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার অনুবিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে বিদেশী অভ্যাগতদের অভ্যর্থনা জানাবেন। তবে বিদেশী অভ্যাগতদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখ পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে উপস্থিত থাকবেন।
৫) জাতীয় স্মৃতিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এবং এতদসংক্রান্ত বাজেট বর্তমানের ন্যায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত থাকবে।
২। এ আদেশ জনস্বার্থে জারী করা হ’ল এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন এবং জাতীয় স্মৃতি সৌধ রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে পত্রটি সংগ্রহ করুন: ডাউনলোড