মাস্ক পরিধান না করে বের হলে জেল- জারিমানা বা শাস্তি।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ধারা ২৪(১), (২) ও ধারা ২৫(১)(ক,খ) এবং ধারা ২৫(২) অনুযায়ী মাস্ক না পরে বাহিরে বের হলে ৬ মাস পর্যন্ত জেল অথবা এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মহাখালী, ঢাকা।
স্মারক নং-স্বা:অধি:/করোনা/২০২০-৭৩ তারিখ: ৩০ মে ২০২০
ঘোষণা
ইতিপূর্বে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৬ মে ২০২০ তারিখের স্বা:অধি:/করোনা/২০২০-৫২ নং স্মারকে ঘোষণায় উল্লিখিত নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপভাবে পরিবর্তিত হবে:
(১) বাহিরে চলাচলের ক্ষেত্রে সব সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ধারা ২৪ (১), (২) ও ধারা ২৫ (১) (ক,খ) এবং ধারা ২৫ (২) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জেলা প্রশাসন/ যথাযথ কর্তৃপক্ষ সতর্কভাবে এটি বাস্তাবায়ন করবেন;
(২) চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালীন জনসাধারণ এবং সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে;
(৩) রাত ৮.০০ টা হতে সকাল ৬.০০ পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্রয় বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ঔষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃত দেহ দাফন/ সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ীর বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে সর্বাবস্থায় বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে;
(৪) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কারিগরি নির্দেশনাগুলি (https://dghs.gov.bd) সর্বস্থরে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হলো।
(অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা)
অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন)
(দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক)
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মাস্ক পরিধান না বের হলে জেল- জারিমানা বা শাস্তি সংক্রান্ত জারিকৃত আদেশের কপি: ডাউনলোড
কি আছে ২৪(১), (২) ও ধারা ২৫(১)(ক,খ) এবং ধারা ২৫(২) গুলোতে?
সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং তথ্যগোপনের অপরাধ ও দণ্ড
২৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার নিকট গোপন করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্দেশপালনে অসম্মতি জ্ঞাপনের অপরাধ ও দণ্ড
২৫। (১) যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তাহার উপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, এবং
(খ) সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
আরও জানতে দেখে নিতে পারেন সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ : ডাউনলোড