একক নামে কত টাকার কেনা যাবে? – সাধারণ নাগরিক হিসেবে এককনামে সমন্বিত বিনিয়োগসীমা সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা অর্থাৎ আপনি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে একক বা শুধুমাত্র নিজ নামে ৫০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। ৩ মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনা যাবে। যৌথ নামে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত।  এ সংক্রান্ত আদেশ দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড

পেনশনারগণের ক্ষেত্রে অর্থাৎ একজন সরকারি চাকরিজীবি পেনশনে গেলে তার এককালীন আনুতোষিকের অর্থ দিয়ে তিনি একক নামে সর্বোচ্চ ০১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ লক্ষ টাকার এবং ৩ মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র বা বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি মিলিয়ে অবশিষ্ট ৫০ লক্ষ সহ সর্বমোট একক নামে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্রে কোন আয়কর কর্তন করা হবে না। ৫ লক্ষ টাকার বেশি পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনলে ১০% আয়কর কর্তন করা হবে। এটি যৌথ নামে ক্রয় করা যায় না।

১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ পর্যন্ত মুনাফার হারে কোন পরিবর্তন হয়নি। আপনি যদি ক্ষুদ্র বিনিয়োগ হয়ে থাকেন তবে আপনার মুনাফার পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে কোন চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে ৯১২ টাকা এবং ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে ১ লক্ষ টাকায় ৩ মাস পর পর ২,৬২২ টাকা ব্যাংক হিসাবে ঢুকবে।

একক নামে সঞ্চয়পত্র ক্রয় সীমা ২০২৪ / যৌথ নামে সঞ্চয়পত্র ক্রয়সীমা ২০২৪

পরিবার সঞ্চয়পত্র কি পুরুষ নাগরিক ক্রয় করতে পারবে? উত্তর: না। তবে ৬৫ বছরের উর্ধ্ব বয়সী পুরুষ নাগরিক পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন।

ক্যাপশন: পেনশনার সঞ্চয়পত্র কি সাধারণ নাগরিক ক্রয় করতে পারবে? উত্তর: অবশ্যই না। সরকারি চাকরিজীবী অবসরে যাওয়ার পর পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। তবে মূল পেনশনার বা চাকরিজীবী চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে পরিবারের সদস্যবৃন্দ পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সমন্বিত ক্রয়সীমা অবশ্যই পেনশন বা আনুতোষিক, জিপিএফ, অনুদান ইত্যাদি মিলে অবশ্যই ৫০ লক্ষ অতিক্রম করবে না। ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে।

এক নজড়ে তিনটি সঞ্চয়পত্র স্কিম ক্রয় সীমা ও যোগ্যতা দেখে নিই

  1. পরিবার সঞ্চয়পত্র এর সর্বোচ্চ সীমা ৪৫ লাখ টাকা। কেবলমাত্র নারীরা ক্রয় করতে পারে। (৫ বছর মেয়াদ, প্রতি মাসে মাসে ইন্টারেষ্ট দেয়।) তবে ৬৫ বছর উর্ধ্ব বয়সী পুরুষও পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন।
  2. ৩ মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র এর সর্বোচ্চ সীমা ৩০ লাখ টাকা। নারী ও পুরুষ যেকেউ ক্রয় করতে পারে। (৩ বছর মেয়াদ, প্রতি ৩ মাস পরে পরে ইন্টরেষ্ট দেয়।)
  3. ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এর সর্বোচ্চ সীমা ৩০ লাখ টাকা। নারী ও পুরুষ যেকেউ ক্রয় করতে পারে। (৫ বছর মেয়াদী, মেয়াদ শেষ হবার পরেই আসলসহ ইন্টারেষ্ট একসাথে দেয়।)

এই ৩টা স্কীমের উপরোক্ত আলাদা আলাদা সর্বোচ্চ সীমা কিছুতেই অতিক্রম করা যাবে না, অবশ্যই সীমার ভেতরে থেকেই উপরোক্ত ৩টা স্কীম মিলিয়ে ১টা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিপরীতে সর্বমোট ৫০ লাখ টাকা এককনামে রাখা যাবে।

আসুন উদাহরণের সাহায্যে সঞ্চয়পত্র ক্রয় সীমা সংক্রান্ত বিষয়গুলো একটু পরিস্কার হয়ে নিই।

উদাহরণ ১ । গ্রাহক যদি নারী হন, তাহলে উপরোক্ত ১ নাম্বার স্কীমে ৪৫ লাখ টাকা রেখে, অবশিষ্ট ৫ লাখ টাকা অন্য ২টা স্কীমের (২নং ও ৩নং) যেকোনটায় রাখা যাবে।

উদাহরণ ২ । গ্রাহক যদি পুরুষ হন, তাহলে ২ নাম্বার স্কীমে ৩০ লাখ টাকা রেখে, অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকা ৩ নাম্বার স্কীমে রাখতে পারবেন।

বিশেষ সুবিধার উদাহরণ ৩ । নারী ও পুরুষ যদি পেনশনপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে উপরোক্ত ২টা উদাহরণের পরেও চাকুরির রিটায়ার্ডের যথাযথ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আরো অতিরিক্ত ৫০ লাখ টাকা ৫ বছর মেয়াদী পেনশন সঞ্চয়পত্র এককনামে ক্রয় করতে পারবেন, প্রতি ৩ মাস পরে পরে ইন্টারেষ্ট দেয়।

একজন পেনশনার সর্বোচ্চ কত টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবেন?

পেনশনারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ লক্ষ টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও আরও ৫০ লক্ষ টাকার অন্যান্য সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন তা সে নারী বা পুরুষ হোক না কেন। মোট কথা পেনশনপ্রাপ্ত নারী কিংবা পুরুষ ১টা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিপরীতে সর্বমোট ১ কোটি টাকা এককনামে রাখতে পারবেন।