সরকারি প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশ ২০২৫। নতুন ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি সিন্ডিকেট ভাঙতে সাহায্য করবে?
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই অধ্যাদেশ সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শতভাগ দরপত্র অনলাইনে জমা দিতে হবে। এছাড়াও, আগের কাজের মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত ম্যাট্রিক্স পরিবর্তন করে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স চালু করা হয়েছে, যা সিন্ডিকেট ভাঙতে সাহায্য করবে– সরকারি প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশ ২০২৫
ক্রয়কারী, দরপত্রদাতাগণের মধ্যে পক্ষপাতহীন ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, ক্রয়ের জন্য নির্দিষ্টকৃত পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবার কারিগরি বিনির্দেশ ও বর্ণনা প্রস্তুত করিবার সময় উহার প্রত্যাশিত কার্যসম্পাদন যোগ্যতার স্তর, বৈশিষ্ট্য, মান, এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টেকসই ক্রয়ের উপাদান সম্পর্কে সঠিক ও পরিপূর্ণ বর্ণনা প্রদান করিবেন এবং সেইমত পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবা ক্রয় নিশ্চিত করিবে; তবে উহা যেন সীমাবদ্ধকর না হয় উহার নিশ্চয়তা বিধান করিতে হইবে।”
কোনো ক্রয়কারী ক্রয় সংক্রান্ত দলিলে ক্রয়ের আর্থিক উদ্দেশ্যসাধন ব্যাহত করে বা পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন বিষয়াদি এবং শ্রমিকদের মজুরি ও তৎসংশ্লিষ্ট সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, শিশু শ্ৰম নিষিদ্ধকরণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত কোনো বিধানের সহিত অসংগতিপূর্ণ কোনো শর্ত অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে না।”।
অনলাইন দরপত্র হবে? হ্যাঁ। সরকারি কাজের দরপত্র এখন শতভাগ অনলাইনে জমা দিতে হবে, যা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করবে।দরপত্র মূল্যায়নের জন্য আগের নিয়ম বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স তৈরি করা হয়েছে, যা সিন্ডিকেট ভাঙতে সাহায্য করবে। আগে প্রাক্কলিত মূল্যের ১০% কম হলে দরপত্র বাতিল করা হতো, কিন্তু নতুন অধ্যাদেশে এই বিধান বাতিল করা হয়েছে। সরকারি ক্রয়ের জন্য e-GP ব্যবহার আরও জোরদার করা হয়েছে এবং ম্যানুয়াল ফাইল প্রক্রিয়াকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ । শতভাগ অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়ন করা হবে?
e-GP সিস্টেমের জন্য আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং অডিটর বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। সরকার বাংলাদেশ ই-গভর্ণমেন্ট প্রকিউরমেন্ট নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৫ প্রণয়ন করেছে এবং গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এই পরিবর্তনগুলো সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং কার্যকর করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
Caption: Public Procurement pdf download
ই জিপি ও অনলাইন পোর্টাল ২০২৫ । ক্রয় কার্যে কি স্বচ্ছতা আসবে?
- ক্রয়কারী, দরপত্রদাতাগণের মধ্যে পক্ষপাতহীন ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, ক্রয়ের জন্য নির্দিষ্টকৃত পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবার কারিগরি বিনির্দেশ ও বর্ণনা প্রস্তুত করিবার সময় উহার প্রত্যাশিত কার্যসম্পাদন যোগ্যতার স্তর, বৈশিষ্ট্য, মান, এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টেকসই ক্রয়ের উপাদান সম্পর্কে সঠিক ও পরিপূর্ণ বর্ণনা প্রদান করিবেন এবং সেইমত পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবা ক্রয় নিশ্চিত করিবে; তবে উহা যেন সীমাবদ্ধকর না হয় উহার নিশ্চয়তা বিধান করিতে হইবে।”।
- সরকার টেকসই ক্রয়ের স্বার্থে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।
- কোনো ক্রয়কারী ক্রয় সংক্রান্ত দলিলে ক্রয়ের আর্থিক উদ্দেশ্যসাধন ব্যাহত করে বা পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন বিষয়াদি এবং শ্রমিকদের মজুরি ও তৎসংশ্লিষ্ট সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, শিশু শ্ৰম নিষিদ্ধকরণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত কোনো বিধানের সহিত অসংগতিপূর্ণ কোনো শর্ত অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে না।”
- ক্রয়কারী নির্ধারিত ফরমে উহার নোটিশ বোর্ডে অথবা নিজস্ব ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করিবে এবং নির্ধারিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের চুক্তির ক্ষেত্রে কৃতকার্য দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের মালিকানা-সংক্রান্ত তথ্যাদি (beneficial ownership)-সহ চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত তথ্য বিপিপিএ-এর ওয়েবসাইট বা ওয়েব-পোর্টালে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করিবে।”
ক্রয়কার্য সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক হবে?
ই-জিপি পোর্টালে প্রক্রিয়াযোগ্য সকল সরকারি ক্রয় ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে কোন ক্রয়কারী ক্রয় প্রক্রিয়াকরণে অসমর্থ হইলে বিপিপিএ-এর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, সকল ক্রয় পরিকল্পনা আবশ্যিকভাবে ই-জিপি পোর্টালে প্রকাশ করতে হইবে।”।