বাংলাদেশ বেতারে মানববন্ধন ২০২৫ । কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনে ৬ দফা দাবীগুলো কি কি?
বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ প্রকাশের জন্য মানববন্ধন পালিত হচ্ছে- সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত ও পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মচারীদের প্রতি সুবিচার করতে সরকারের দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে-নিয়োগ বিধি চূড়ান্তকরণ ও পদসৃজনের মাধ্যম একমাত্র সমাধন – বাংলাদেশ বেতারে মানববন্ধন ২০২৫
বাংলাদেশ বেতারে মানববন্ধন? হ্যাঁ। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর নতুন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলীদের চাকুরীতে পদোন্নতি বঞ্চনাসহ নানা বৈষম্য নিরসনের দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না? বাংলাদেশ বেতারের ৯ম, ১৩ তম এবং ১৫ তম বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো ৪র্থ গ্রেডে আছেন। এছাড়াও, ২৪ তম থেকে ২৭ তম বিসিএস এর কর্মকর্তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন যাদের অধিকাংশ ১৪ বছরের অধিক এবং ২৮ তম থেকে ৩৫ তম বিসিএস- এর নবম গ্রেডের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রায় ৮ থেকে ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন । বিসিএস তথ্য ক্যাডারের চারটি সাব-ক্যাডার রয়েছে। উপসচিব পদে আবেদন প্রেরণের ক্ষেত্রে এ চারটি সাব ক্যাডারের মধ্যে একটি সাব ক্যাডার গণযোগাযোগ/পিআইডি থেকে ১৩৬টি ভিত্তি পদের বিপরীতে প্রতি বছর ১০ টি আবেদন গ্রহণ করা হয় অথচ নিদারুণ বৈষম্যের নজির স্থাপন করে বাংলাদেশ বেতারের বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ০৩টি সাব ক্যাডার থেকে ৩২৩ টি ভিত্তি পদের বিপরীতে অযৌক্তিকভাবে মাত্র ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয় ।
বাংলাদেশ বেতারের তত্বাবধায়ক কি বৈষম্য তুলে ধরেছেন? বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক পদে কর্মরত মোঃ রেজাউল করিম দেশরুপান্তরে তুলে ধরেন কর্মচারীদের বৈষম্যের কথা। বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক, উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক পদে বেতার নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮৫ অনুসারে কর্মচারীদের মধ্য হতে পদোন্নতি পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে পদোন্নতির বিধান থাকলেও সেসব পদ ক্যাডার পদ হতে পূর্ণ করা হয়। এতে করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এছাড়া বেতারে পদ সৃজন সংকট থাকায় নিম্ন গ্রেড হতে উচ্চ গ্রেডে পদোন্নতি পায় না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি । বৈষম্য নিরসনের দাবীতে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানববন্ধন
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে তারা বিভিন্ন ব্যানার এবং প্লাকার্ডের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনে তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ স্বপ্নযাত্রায় গর্বিত অংশীদার হতে বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়। বেতারের অর্গানোগ্রামে কিছু ব্লকপোস্ট রয়েছে। সেসব পদ হতে দ্রত পদোন্নতির জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
Caption: Full pdf download Link
রেডিও অফিসের বৈষম্য ২০২৫। সুনির্দিষ্ট কি কি বৈষম্য রয়েছে বেতারে?
- বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করতে হবে।
- ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
- একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার বাস্তবায়ন করতে হবে।
- বাংলাদেশ বেতার হতে নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ করতে হবে।
- নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি বাতিলপূর্বক পুনঃসংশোধন করতে হবে।
- বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৯৮৫ সালের পর কি নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন হয়নি?
না। নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না হওয়ার কারণে সৃষ্ট কিছু অসংগতি দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য জাতীয় গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ বেতারের চলমান বৈষম্য নিরসন করে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করা হলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল যে লক্ষ্য তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের ন্যায্য দাবিসমূহ যথাশীঘ্রই পূরণ করবে বলে মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
পরিচালক (প্রশাসন/অর্থ) | রেডিও বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন/অর্থ) থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে অথবা সিনিয়র সার্ভিস পুল ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে বদলীর মাধ্যমে। | ফিডার পদে ৩ বৎসরের অভিজ্ঞতা। |
অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) | রেডিও বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন/অর্থ) থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে অথবা সিনিয়র সার্ভিস পুল ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে বদলীর মাধ্যমে। | ফিডার পদে ৩ বৎসরের অভিজ্ঞতা। |
উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) | রেডিও বাংলাদেশ প্রশাসনিক অফিসার/হিসাবরক্ষণ অফিসার থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে। | ফিডার পদে ৬ বৎসরের অভিজ্ঞতা। |