ঈদ শুভেচ্ছা হলো ঈদ উপলক্ষে অন্যকে শুভেচ্ছা জানানো। এটি একটি আনন্দময় উৎসব যেখানে মানুষ একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে মানুষ নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা, সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতি প্রকাশ করে– ঈদ মোবারক
ঈদের শুভেচ্ছা কিভাবে জানানো যায়? ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর কিছু সাধারণ উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো:- ঈদ মোবারক বলা।
- ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো।
- একে অপরের বাড়িতে গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো।
- সামাজিক মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো।
নবী কিভাবে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতেন? নবী (সা.) ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো শব্দ ব্যবহার করতেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে, সাহাবীরা ঈদের দিন একে অপরের সাথে দেখা হলে বলতেন: “তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম” (تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ)। এর অর্থ হলো, “আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।” এছাড়াও, ঈদের দিনে সালাম ও মুসাফাহা করাও ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ।
ঈদের দিন করতেন? ঈদের দিন নবী (সা.) গোসল করতেন, সুন্দর পোশাক পরতেন এবং ঈদগাহে যেতেন। তিনি সাহাবীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতেন।সাহাবীরা ঈদের দিন একে অপরের সাথে দেখা হলে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। ঈদের দিন সালাম ও মুসাফাহা করাও ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ। তাই, ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য “ঈদ মোবারক” বলা একটি প্রচলিত রীতি, তবে এর পাশাপাশি “তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম” বলাও একটি সুন্দর ও অর্থবহ শুভেচ্ছা।
ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা অবশ্যই আপনার ছবি সহ দিন । এতো এতো শুভেচ্ছা বার্তা বা ঈদ মোবারক বার্তার মধ্যে আপনারটি ইউনিক না হলে নজড়ে আসবে না। তাই ঈদ বার্তা কারও টাকা কপি না করে গুগল করে বা আপনি নিজে লিখে কোটেশন ব্যবহার করুন এবং সাথে আপনার ছবি যুক্ত করুন।
নিজের ছবিসহ ঈদ শুভেচ্ছা পাঠানোর কিছু সুবিধা রয়েছে। নিজের ছবি যোগ করলে বার্তাটি আরও ব্যক্তিগত এবং আন্তরিক মনে হয়। বন্ধুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার স্মৃতি হিসেবে ছবিটি থেকে যায়। বন্ধুদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর করতে সাহায্য করে। তবে, আপনি যদি নিজের ছবি দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন, তবে শুধু বার্তাও পাঠাতে পারেন।
Caption: EID Mubarak
ঈদ মোবারক বার্তা ২০২৫ । ৩০টি ঈদ শুভেচ্ছা বাতা দেখুন
১. ঈদ মোবারক! আপনার জীবন আনন্দে ভরে উঠুক।ঈদ সেলামির প্রচলন কখন শুরু হয়?
ঈদ সালামির প্রচলন কখন শুরু হয়, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কিছুটা ভিন্নমত রয়েছে। তবে সাধারণভাবে মনে করা হয়, এর প্রচলন শুরু হয়েছে ফাতিমীয় খেলাফতের সময় (দশম শতাব্দী) মিসরে। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী রাজকোষ থেকে প্রজাদের ঈদ উপহার হিসেবে বিভিন্ন জিনিস দেওয়া হতো। এর মধ্যে ছিল অর্থ, পোশাক, মিষ্টি ও ফল। পরে এটি পারিবারিক রীতিতে পরিণত হয়, বিশেষ করে অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ দিকে। বিভিন্ন দেশে সালামির ভিন্ন নাম বাংলাদেশে এটি ‘সালামি’ নামে পরিচিত। ভারত ও পাকিস্তানে একে ‘ঈদি’ বলা হয়। আরব দেশগুলোতে ‘ঈদিয়াহ’ এবং ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ‘রায়া’ বলা হয়। শিশুদের আনন্দ দেওয়া। পরিবারের বড়দের কাছ থেকে ছোটদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসার প্রকাশ। ঈদের সময় সালামি দেওয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রীতি, যা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও এর মূল উদ্দেশ্য একই।
‘ঈদ’ একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ উৎসব বা আনন্দ। | মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের দিনকে ঈদ বলা হয়। | এর মধ্যে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা অন্যতম। |
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। | প্রতি বছর এই দিনটি মুসলমানদের জীবনে ফিরে আসে বলে একে ঈদ বলা হয়। | |