সরকারি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা ২০২৫ । মাঠ প্রশাসন বলতে কি শুধু ইউএনও ডিসি অফিসের কর্মচারীদের বুঝায়?
সরকারি প্রশাসনের দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম স্তরটি হলো কেন্দ্ৰীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় স্তরটি হলো মাঠ প্রশাসন ৷ মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পরে আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্ৰশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত-সরকারি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা ২০২৫
দেশের সব কর্মচারীদের জন্য মোবাইল ও ইন্টানেট সুবিধা? না। কল ও ইন্টারনেটের কাজ কর্মচারীদেরই করতে হবে। বড় কর্তারা বলবেন ওমুক-কে কল দিন আপনি নিজের টাকা বা অফিসের টেলিফোন ব্যবহার করে কল দিবেন। দেশের সব ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্ৰীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। আর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারা দেশে বাস্তবায়িত হয়। মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে থাকে। এটি সরকারি সকল দপ্তর ও প্রশাসনের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
মাঠ প্রশাসন বলতে কি বুঝায়? মাঠ প্রশাসন বলতে বোঝায় — সরকারের সেই স্তরের প্রশাসনিক কার্যক্রম, যা সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে এবং মাঠ পর্যায়ে (স্থানীয় বা তৃণমূল পর্যায়ে) পরিচালিত হয়। এটি হলো প্রশাসনের সেই অংশ, যা রাজধানী বা কেন্দ্রীয় দপ্তরের বাইরে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন বা তদূর্ধ্ব কোনো স্তরে সরকারি সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।মাঠ প্রশাসন হলো প্রশাসনের সেই শাখা, যা গ্রাম, শহর, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনের অংশ হতে পারে:
- জেলা প্রশাসক (ডিসি)
- উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)
- সহকারী কমিশনার (ভূমি)
- ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা
- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইত্যাদি
কেন্দ্রীয় প্রশাসন বলতে কি বুঝায়? কেন্দ্রীয় প্রশাসন বলতে বোঝায় রাষ্ট্র বা সরকারের সেই স্তরের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা দেশের সর্বোচ্চ বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পরিচালিত হয় এবং জাতীয় নীতিনির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করে। কেন্দ্রীয় প্রশাসন হলো সরকারের সেই অংশ, যা রাজধানী বা কেন্দ্রস্থলে থেকে পুরো দেশের জন্য নীতিমালা তৈরি করে এবং প্রশাসন পরিচালনা করে। উদাহরণ: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয় (যেমন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়)
- বিভাগীয় সচিব ও যুগ্ম সচিবরা
- প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়
- রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ
- পরিকল্পনা কমিশন, সরকারি দপ্তর, দপ্তর প্রধান ইত্যাদি
সরকারি কর্মচারীদের জন্য কি মোবাইল ফোন ভাতা? না। মাঠ প্রশাসন তো শুধুমাত্র UNO & DC অফিস
মাঠ প্রশাসন আর মাঠ পর্যায়ে মধ্যে তো অনেক পার্থক্য আছে। আপনার কী মত? সবচে বেশি সুবিধা পায় প্রথম পর্যায় সচিবালয়ের কর্মচারী তারপর দ্বিতীয় পর্যায় মাঠ প্রশাসন এপরে তৃতীয় পর্যায় মাঠ পর্যায়। চিঠিতে যদি বলত মাঠ পর্যায়ের সকল তা হলে সবাই উপকৃত হতো। এখানেও বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। আজকে দুই বিষয়ে দুইটি কমিটি দেখা যাচ্ছে ফেইস বুকে একটি একটি অভিন্ন নিয়োগবিধি আর অন্যটি মোবাইল ফোন সংক্রান্ত যেখানে মাঠ প্রশাসনের কথা বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের নয়।
Caption: Mobile phone and internet allowance
একনজরে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো ২০২৫ । কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে বিস্তার পার্থক্য রয়েছে
- রাষ্ট্রপতি
- রাষ্ট্রপ্রধান
- মন্ত্রিপরিষদ
- সচিবালয়
- মন্ত্রণালয়
- বিভাগ/দপ্তর
- উপবিভাগ/শাখা
মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা কি?
মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা হলো সরকারি বা বেসরকারি চাকরিজীবীদেরকে তাদের অফিসিয়াল কাজের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া একটি আর্থিক সুবিধা বা ভাতা। মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা মানে হলো—কর্মচারীদের অফিসের কাজের জন্য মোবাইল কল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়, সেটাই এই ভাতা। ই-মেইল, অনলাইন মিটিং বা সরকারি অ্যাপ ব্যবহারে ইন্টারনেট খরচ পূরণে সহায়তা করতে দেওয়া হয়। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হয়তো মাসে ৫০০ টাকা মোবাইল ভাতা এবং ১,০০০ টাকা ইন্টারনেট ভাতা দেওয়া হয়। তিনি এই টাকাগুলো ব্যবহার করেন ফোন কল, মোবাইল ডাটা বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খরচে।
মোবাইল ফোন ভাতা ২০২৪ । ৯ম গ্রেডে প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তা ১,০০০/- টাকা সেলুলার ভাতা পাবেন?