সরকারি চাকুরী বিভিন্ন বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি সরকারি উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের সাথে আর্থিক বিষয়াদি জড়িত। এক্ষেত্রে আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না হইলে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হইবে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের চাকুরীকালীন কিংবা পেনশনে যাওয়ার সময়ে অবঞ্চিত অবস্থা মােকাবিলা করিতে হইবে। সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করা হইলে অনেক ক্ষেত্রে অডিট আপত্তি এড়ানাে সম্ভব।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৮, ১৩১ ও ১৩২ অনুচ্ছেদ এবং (মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক অতিরিক্ত দায়িত্ব) আইন, ১৯৭৪ এবং ১৯৭৫ এর সংশােধনী বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রজাতন্ত্রের সকল সরকারি হিসাব, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ পাবলিক এন্টারপ্রাইজ ও কতৃপক্ষের অডিট কার্যাবলি সম্পাদন করিয়া থাকেন।
১। অডিটকে সহায়ক হিসাবে গ্রহণ করা, মন-মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটানো, অডিটের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে সকলের উপলব্ধি সৃষ্টি করা।
২। অডিট চলাকালীন সময়ে চাহিদা মােতাবেক সকল প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি সকলকে সরবরাহ করা।
৩। অডিট আপত্তি অনুসরণ উত্থাপিত আপত্তির উপর দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা।
৪। জবাবদিহিতার ও স্বচ্ছতার বিষয়টিকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা।
৫। প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগে অডিট সেল গঠন করা।
৬। অডিট আপত্তির জবাব যথাযথ ও আপত্তির সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ কিনা উহার প্রতি লক্ষ রাখা।
৭। অডিট আপত্তি নিষ্পতিতে বিলম্ব করিবার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮। অডিট রিপাের্ট নির্ভুল, পূর্ণাঙ্গ ও বাস্তব সম্মত হইতে হইবে।
৯। গুরুত্বপূর্ণ অনিয়মগুলি সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রনকারী কর্তৃপক্ষের গােচরীভূত করিতে হইবে।
১০। প্রাপ্ত জবাব যথাযথভাবে পরীক্ষাপূর্বক, পুনঃজবাব সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
১১। দ্বি-পক্ষীয়/ত্রিপক্ষীয় আলােচনা সভায় এই বিষয়ে উপযুক্ত প্রতিনিধি প্রেরণ করিয়া ও গৃহিত সুপারিশমালা কার্যকর করার প্রতি মনোেযােগী হইতে হইবে।
১২। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সকলের সহযােগিতায় মনােভাব পােষণ করিতে হইবে।
১৩। অহেতুক বিলম্ব ঘটে, এমন সামান্য বিষয় অডিট আপত্তি হিসাবে রিপর্টে অন্তর্ভুক্ত না করিবার বিষয়ে লক্ষ রাখিতে হইবে।
যেসব পদ্ধতিতে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা যায়: ডাউনলোড