গত ১১/০৩/২০২০ খ্রি: তারিখের হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় এর হিসাব ভবনের পত্রের উল্লেখ করা হয়েছে মামলা চলামান থাকায় জনাব মো: আনোয়ার, পিতা: মৃত: আব্দুস সাত্তার, সহকারী পরিচালক, জেলা উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, রাজশাহী এর ১০/১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের বেতন নির্ধারণ সম্ভব নয়।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডিসিএ/রাজশাহী কার্যালয়ের মতামতের সাথে একমত পোষন করে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এর কার্যালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন পে-পয়েন্টসমূহকে পিটিশন নং ১২৬০৩/২০১২ এবং ৯১৬৭/২০১৩ মামলার রায় বাস্তবায়নে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ৭ অনুচ্ছেদ বর্ণিত সুবিধা ব্যতীত বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র রিটপিটিশনগণ এই সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
উপরোক্ত তথ্য মোতাবেক স্পষ্ট যে, টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড যাই বলি না কেন তা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ জারির পূর্ব পর্যন্ত প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কার্যকর হবে। মামলাধীন থাকায় পে স্কেল ২০১৫ পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হচ্ছে না। প্রাপ্যতা সংক্রান্ত কিছু যুক্তি তুলে ধরা হলো।
উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত প্রাপ্যতা নয় সাপেক্ষে যাবতীয় চিঠিপত্র সংযুক্ত করা হলো: ডাউনলোড
জনাব রফিকুল ইসলাম Chief Accounts & Finance Officer-CA&FO.Cabinet Division উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত বিষয়ে ফেসবুকে একটি যুক্তিসংগত ও গ্রহনযোগ্য মতামত তুলে ধরেছেন।
জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ-৭ মোতাবেক “১০-১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে মামলা বিচারাধীন আছে” কথাটি সঠিক নয়, এসব কথা বলে মানুষকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে,সঠিক প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে মামলা বিচারাধীন আছে তার সাথে উল্লিখিত প্রাপ্তির (১০ বছর) কোন সম্পর্ক নেই। বিচারাধীন মামলাটি হলো আইনকে (এস আর ও/জাতীয় বেতনস্কেল আদেশ, ২০১৫) পরিপত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা সঠিক কি না? অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত ২১/০৯/২০১৬ তারিখের ২৩২ নম্বর পরিপত্রটি বহাল থাকবে? না বাতিল হবে? মামলার রায়ে পরিপত্রটি বহাল থাকলেও ১০ বছর প্রাপ্তিতে বাধা নেই, বা বাতিল হলেও ১০ বছর প্রাপ্তিতে বাধা নেই।
পরিপত্রটিতে একই পদে সিলেকশন গ্রেড/টাইমস্কেলসহ (যে নামেই অভিহিত থাকুক) মোট ০২-টির বেশী পাবে না তার দিকনির্দেশনা আছে। এ বিষয়ে সকল প্রমানক আমাদের কাছে আছে । অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে পত্রের (১৬/০৯/২০১৬ তারিখের নম্বর ২৮৫) উল্লেখ করা হয়েছে তাতেও ১০ বছরের প্রাপ্তির উপর নিষেধাজ্ঞা নেই,এমন কি উচ্চতর কোর্টেরও কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এ বিষয়ে সিজিএ অফিস এতদসংক্রান্ত কন্টেম্প্ট মামলায় যে লিখিত জবাব সুপ্রিম কোর্টে দিয়েছে, বা এতদসংক্রান্ত গঠিত সিএও রবিউল কমিটির উপস্থাপিত প্রতিবেদন তাতেও ১০ বছরে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির কোন বাধা নেই।
ভবিষ্যতে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে প্রমানকসহ আরো লিখব ইনশাল্লাহ। উল্লেখ্য, মনে রাখা প্রয়োজন এই বিষয়ে যে মামলার (রীট#১৩৩০০/২০১৬ এবং সিভিল মিস পিটিশন [আপীল] # ২৮/২০১৭,বাদী ইব্রাহিম আলম ভুইয়া এন্ড আদার্স) রেফারেন্স দেয়া হয়,তার বাদীগন সিলেকশন গ্রেডসহ একই পদে ০৩-টি উচ্চতর গ্রেডের দাবীদার,যার সাথে আমাদের ১০ বছরে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতার কোন যোগসুত্র নেই বা প্রাপ্তিতে কোন বাধা নেই। তাছাড়া খোদ অর্থ মন্ত্রণালয়ও ২৭/১০/২০১৬ তারিখের ২৮১ নম্বর স্মারকের এক ব্যাখ্যায় বলেছে, “জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৭ এর উপ-অনুচ্ছেদ (১) ও (৩) এর বিধান সুস্পষ্ট ও স্বব্যাখ্যাত। এতে কোন অস্পষ্টতা নেই।” তাই ভুক্তভোগীদেরকে সস্থি দেওয়ার জন্য,দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। এখানে প্রণিধান যোগ্য যে, প্রাপ্যতা অনুযায়ী অনেক কর্তৃপক্ষই উচ্চতর গ্রেড মঞ্জুরি দিচ্ছে এবং তারা পাচ্ছেও। যেমন: সিজিডিএফ,বন পরিবেশ,নৌপরিবহন, স্বরাষ্ট্র, প্রধানমন্ত্রী,সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট, স্বাস্থ্য প:প: মন্ত্রণালয় ইত্যাদি। [তথ্য সূত্র]
আরও দেখুন:
উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য অগ্রিম বর্ধিত বেতন প্রাপ্তির আদেশ।
১০/১৬ বৎসর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়ন স্থগিত, অদ্যবধি বলবৎ।
১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পেতে ডিপিসি বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অফিস আদেশ লাগবে।
চাকরি ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড (৪র্থ গ্রেড) মঞ্জুরের বিষয়ে মতামত।
ব্যাটালিয়ন আনসার, ল্যান্স নায়েক ও নায়েক পদের বেতনগ্রেড উন্নীতকরণ।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদটি এখন দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ করা হয়েছে।
কানুনগো/ উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণ প্রদান করা হয়েছে (ছকসহ)
উন্নীত স্কেলে সমমানের ধাপ না থাকলে নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ।
কর্মচারী উচ্চতর স্কেল পেয়ে ৯ম গ্রেডে বেতন পেলেও যাতায়াত ও টিফিন ভাতা পাবেন।
কৃষি ডিপ্লোমাধারী উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এখন ১০তম গ্রেডে উন্নীত।