ট্রেজারী রুলস্-এর এস, আর-১২৫ অনুযায়ী কোন ব্যক্তির মৃত্যুর দিবসের জন্যও বেতন ও ভাতাদি উত্তোলন করা যাইবে। কত ঘটিকায় মৃত্যু হইল, তাহা ধর্তব্য নহে। টীকা : এই বিধি এবং এস, আর-২২৮ এর ক্ষেত্রে “দিবস” বলিতে মধ্যরাতে শুরু হইয়া পরবর্তী মধ্যরাতে শেষ হওয়া পঞ্জিকা দিবস বুঝাইবে।
ট্রেজারী রুলস্ এর এস, আর-১২৬ মােতাবেক মৃত সরকারী কর্মচারীর পক্ষে উত্থাপিত বেতন ও ভাতাদির দাবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা শহর এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কমিশনারের নিকট হইতে উত্তরাধিকার সনদপত্র দাখিল করা হইলে দাবীগণের স্বত্ব ও অধিকার সম্পর্কে পর্যাপ্ত অনুসন্ধানের পর পরিশােধ করা যাইতে পারে। আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা যদি দাবীদারের স্বত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সন্তুষ্ট হন এবং উত্তরাধিকার সনদপত্র দাখিলের জন্য পীড়াপীড়ি, অযথা বিলম্ব ও কষ্টের কারণ হইবে বিবেচনা করেন, তাহা হইতে তিনি যেরূপ চাহেন সেইরূপ জামিনদারসহ ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করিলে দাবীদারকে অর্থ পরিশােধ করিতে পারেন। কোনরূপ সন্দেহের ক্ষেত্রে কেবল আইনগত প্রাধিকার পত্র দাখিলকারীকে অর্থ পরিশােধ করিতে হইবে।
আর্থিক হিসাব
সরকার কর্তৃক প্রণীত ট্রেজারীর রুলস্ , একটি কোড, ডেলিগেশন অব ফাইনানসিয়াল পাওয়ার, একাউন্ট কোড, জেনারেল ফাইনানসিয়াল রুলস, ইউন অব মেজর ও মাইনর হেড অব একাউন্টস। এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিধি বিধানের আলােকে সরকারের হিসাব ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে। সরকারী হিসাব সংরক্ষণ কোন বিভাগের একক দায়িত্ব নয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিভিন্ন হিসাব রক্ষণ অফিস যৌথভাবে সরকারের পক্ষে হিসাব সংরক্ষণ করে থাকেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৭ হইতে ১৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আইন, ২০১৪ মােতাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রজাতন্ত্রের সকল হিসাব সংরক্ষণ ও হিসাব নিরীক্ষার দায়িত্ব প্রদত্ত হইয়াছে। উক্ত ক্ষমতা বলে সি এন্ড জি প্রাপ্ত হিসাবের ভিত্তিতে উপযােজন হিসাব ও আর্থিক হিসাব সংরক্ষণ ও প্রণয়ন করিয়া থাকেন এবং হিসাব নিরীক্ষার ফলাফল অডিট রিপাের্ট আকারে প্রকাশ করেন এবং সংসদে পেশ করিবার জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট দাখিল করেন।
উত্তরাধিকারীদের যে বিধির ভিত্তিতে প্রাপ্য বকেয়া বেতন ভাতাদি পরিশােধ করা হয়: ডাউনলোড