কোন কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ভূতাপেক্ষ তারিখ হইতে নিয়মিতকরণের কোন বিধান এই বিধিমালায় নাই।
ফলে ভূতাপেক্ষ তারিখ হইতে জ্যেষ্ঠতা গণনার কোন সুযোগ নাই– স্পষ্টীকরণ ২০২৩

প্রকল্প কি? প্রকল্প হল কোন উদ্দেশ্যমূলক কাজ, যা একটি সমাজের অনুকূল পরিবেশে আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তাবায়নের জন্য নেওয়া কার্যপদ্ধতি হলো প্রকল্প। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রকল্প নিয়ে থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ করার জন্য কর্মসূচিগুলো চলতে থাকে।

উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে আত্মীকরণ/নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত ৪৬০/২০১৭ নম্বর সিভিল আপিলের রায়ে মাননীয় আপিল বিভাগ ৮টি পর্যবেক্ষণ প্রদান করেন। সরকারি স্বার্থ রক্ষায় উক্ত পর্যবেক্ষণসমূহের গুরুত্ব বিবেচনায় চলমান মামলায় নজির হিসেবে ব্যবহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনুসরণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সূত্রোক্ত ‘ক’ স্মারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল (সংযুক্ত)। উক্ত নির্দেশনার আলোকে করণীয় নির্ধারনে অস্পষ্টতা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক অনুসৃত কর্মপন্থায় বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়ােজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি নির্ধারণ ১৯৮৫

সম্প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সূত্রোক্ত ‘খ’ স্মারকে মাননীয় আপিল বিভাগের একটি রিভিউ পিটিশন মামলার রায় অনুসারে রাজস্বখাতে জনবল আত্মীকরণ/নিয়মিতকরনের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদানের জন্য এ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। মাস্টাররোলে নিয়োগ ২০২২ । অস্থায়ী/ দৈনিক ভিত্তিতে/ মাস্টাররোলে নিয়োগ সংক্রান্ত পরিপত্র

মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের যে সকল মামলায় সরকারের বিপক্ষে রায় হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিলে ও সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে দায়েরকৃত রিট পিটিশনে মাননীয় আপীল বিভাগ কর্তৃক সিভিল আপিল নম্বর ৪৬০/২০১৭ এ প্রদত্ত পর্যবেক্ষণকে নজির হিসেবে ব্যবহার করে সরকারি স্বার্থ সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

উন্নয়ন প্রকল্প হইতে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০৫ / উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে জনবল আত্মীকরণ/নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনার স্পষ্টীকরণ ২০২৩

প্রকল্প হইতে রাজস্বে ভূতাপেক্ষ স্থানান্তরের কোন সুযোগ নাই।

Caption: Project to revenue

নিয়মিত করার নিয়ম কি? । ওয়ার্কচার্জড/কন্টিনজেন্ট কর্মচারী নিয়ােগ ও নিয়মিতকরণ বিধি কি?

  • (ক) ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৬ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারী এবং ২০ জানুয়ারি, ১৯৯০ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের বিদ্যমান বিধি-বিধানের আলােকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইবে।
  • (খ) নিয়মিতকরণযােগ্য ওয়ার্কচার্জড ও কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যাদি ব্যতীতও কর্মচারীর নাম ও পদবী, পিতার নাম, নিয়ােগের তারিখ, যােগদানের তারিখ, যযাগদানের তারিখে বয়স, কী পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, কোন বিধিবিধান/আদেশ বলে নিয়ােগ দেয়া হয়েছিল, নিজ জেলা, বেতন ভাতা পরিশােধের খাত, বর্তমান মূল বেতন, মােট বেতন, নিয়ােগকালীন সময়ের বেতন স্কেল, যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করতঃ নিয়ােগ দেওয়া হইয়াছিল মর্মে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন ইত্যাদির আলােকে নিয়মিতকরণ করিতে হইবে। সেইক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ একটি তথ্য ছক প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়/বিভাগ হইতে তথ্যাদি সংগ্রহ করিয়া সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।
  • (গ) দশ বৎসর বা তদুর্ধ্ব সময় চলমান সকল ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর ওয়ার্কচার্জড পদের শতকরা ৫০ ভাগ নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইতে পারে। কর্মচারীদেরকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়নের ক্ষেত্রে ২১ এপ্রিল, ১৯৭২ তারিখের No.Estb/RI/S-46/72/55 স্মারকের নির্দেশনা অনুসরণ করা হইবে। এই নিয়মিতকরণ কেবলমাত্র ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃতদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হইবে। ইতােমধ্যে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়নকৃতদের শতকরা ৫০ ভাগ হিসাবে মােট সংখ্যা হইতে বাদ দিয়া অবশিষ্টদের নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইবে। শতকরা ৫০ ভাগের এই হিসাব কেবল একবারের জন্য প্রযােজ্য হইবে। এইক্ষেত্রে ৬ আগস্ট, ১৯৭৩ তারিখের No.ED(R-IV)-IR-27/72-195 স্মারক প্রযােজন হইবে।
  • (ঘ) ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের সকলেই নিয়মিতকরণের আওতায় আসবেন।
  • (ঙ) ৮ অক্টোবর, ১৯৭৪ তারিখের No.ED(RV)-IP-75/73-387 স্মারক অনুযায়ী যে সকল কন্টিনজেন্ট/ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা হইবে, তাহারা অবসর ও পেনশন সুবিধা পাইবেন।
  • (চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ০৫/০৯/৮৯ তারিখের সম/সওব্য(সমন্বয়)১৪৮/৮৫-৪৫৩(৪৬) নং স্মারক অনুযায়ী পদ সংরক্ষণ করিতে হইবে। তবে এই ধরনের পদে নিয়মিতকৃত কর্মচারীদের পদত্যাগ, মৃত্যু, অবসর ইত্যাদি জনিত কারণে পদ শূন্য হইলে সেইগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হইবে।
  • (ছ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সওব্য) এর সভাপতিত্বে ২৮ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটি যথা পদ্ধতিতে ওয়ার্কচার্জড/কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখিবে।

বাস্তবায়ন কখন হবে?

যে সকল মামলা সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত গ্রহণ করে রায় বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি সভায় সম্মানী বাবদ কোনাে অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

এড-হক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ নিয়মিতকরণের পদ্ধতি ১৯৮৬

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 2984 posts and counting. See all posts by admin

4 thoughts on “উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নীতিমালা । উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে জনবল আত্মীকরণ/নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনার স্পষ্টীকরণ

  • প্রকল্প থেকে রাজস্বে যাওয়ার সুযোগ আছে কিি?আপনার সরাসরি মতামত শুনতে চাই
    আর থাকলে প্রক্রিয়া জানতে চাই?প্লিজ,,,,,,

  • অবশ্যই। নীতিমালা এখনও কার্যকর। প্রক্রিয়া শুরু করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তর।

  • আমি দীর্ঘদিন ধরে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে কার্যসহকারি হিসেবে নিয়োজিত আছি, চুক্তিভিত্তিক ভাবে। এখন প্রকল্প শেষে আমি কি করলে আমার চাকরিটি স্থায়ী করা যাবে। ৩/৪ বছর যাবত আছি। এখন পর্যন্ত আমাকে অফিস থেকে কোন প্রকার বেতন দেয় নাই। আমি সাইডের খোরাকি দিয়েই চল্লাম এখন প্রকল্প শেষ না হতেই আমাকে বলা হচ্ছে এখন আর আমাদের অফিসে কোন লোকের দরকার নাই। এখন আমি কি করতে পারি। দয়া করে আমাকে একটু বলুন এখন আমি কি করবো।

  • রীট করে দেখতে পারেন। প্রকল্প থেকে তো রাজস্বখাতে নিয়মিত করণের বিধান আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *