সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

কৃষি খাতে বিরাট ঋণ স্কিম । ৫০০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ২০২২

কৃষি খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা পুন: অর্থায়ন করা হয়েছে – সুদের হার মাত্র ৪% এবং পরিশোধের সহজ পদ্ধতি – কৃষি খাতে বিরাট ঋণ স্কিম ২০২২

কৃষি খাতে সরকারি অর্থায়ন–সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এপ্রেক্ষিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কৃষি খাতে স্বল্প সুদ হারে ঋণ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন | (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ ২.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। শস্য ও ফসল (ধান, শাক সবজি, ফল ও ফুল চাষ) খাতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ একর জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যাবে। এছাড়া, শস্য ও ফসল (ধান, শাক সবজি, ফল ও ফুল চাষ) ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত/সহায়ক জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ কোনভাবেই গ্রাহকের পুরাতন ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। কোনাে কৃষক/গ্রাহক যে কোনাে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হলে তিনি এ স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির যােগ্য বলে | বিবেচিত হবেন না। কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় উল্লেখিত ঋণ নিয়মাচার অনুযায়ী কৃষকদের অনুকূলে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক ঋণ বিতরণ করতে হবে।

ঋণের মেয়াদ- অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ হতে অনধিক ১৮ মাসের মধ্যে আসল এবং সুদ/মুনাফা (বাংলাদেশ ব্যাংক | কর্তৃক নির্ধারিত ০.৫০% সুদ/মুনাফা হারে) পরিশােধ করবে। কৃষক/গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১৮ মাস। পুনঃঅর্থায়ন আবেদন পদ্ধতি- কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ শুরু করার পর অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহকে মাসিক ভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়ন এর অর্থ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে।

পরিশােধ পদ্ধতি- ব্যাংকের অনুকূলে ছাড়কৃত অর্থের নির্ধারিত মেয়াদ পূর্তির মধ্যেই সুদমুনাফাসহ গৃহীত আসলের সমুদয় অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশােধ করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের সকল দায়-দায়িত্ব ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এক্ষেত্রে ঋণ আদায়ের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওনাকে সম্পর্কিত করা যাবে না। ঋণের বকেয়া নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে পরিশােধিত না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব বিকলন করে তা আদায়/সমন্বয় করা হবে। স্কিমের আওতায় প্রদত্ত ঋণের অর্থ বা এর কোনাে অংশের সদ্ব্যবহার হয়নি মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতীয়মান হলে এবং বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ৪% এর অধিক সুদ/মুনাফা আদায় করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সে পরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ২% হারে সুদ/মুনাফা ধার্য্য করে এককালীন আদায় করা হবে।

কৃষি খাতে উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রনোদনা দিচ্ছে। দেশ যাতে এ খাতে উন্নয়ন করতে পারে সেজন্য মাত্র ৪% সুদে কৃষি ঋণ দেওয়া হচ্ছে

কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ-  এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক/গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক/গ্রাহকগণের ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই এর ভিত্তিতে নির্ধারণপূর্বক এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন ও পরিচালনার নীতিমালা ২০২২ ডাউনলোড করে নিন

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি খাতে অর্থায়ন ২০২২ । পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনায় নিম্নরূপ নীতিমালা অনুসৃত হবে

  1. স্কিমের নাম- খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ।
  2. স্কিমের আওতায় তহবিলের পরিমাণ- ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকা (প্রয়োজনে তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে)।
  3. উৎস- বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল
  4. স্কিমের মেয়াদ- ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত (প্রয়োজনে স্কিমের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে)।
  5. ঋণ চুক্তি সম্পাদন ও তহবিল বরাদ্দ- ক) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকসমূহ কৃষি ঋণ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি (Participation Agreement) সম্পাদন করে এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
  6. অংশগ্রহণ চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যাংকসমূহের চাহিদা, কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা, ঋণ বিতরণের সক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তিতে কৃষি ঋণ বিভাগ কর্তৃক ব্যাংকসমূহের অনুকূলে তহবিল বরাদ্দ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে প্রয়োজনবোধে বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে।
  7. কৃষক/গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের পর পেশকৃত পুনঃঅর্থায়ন দাবী পর্যালোচনাপূর্বক পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত তহবিলের সমপরিমাণ অর্থ পুনঃঅর্থায়ন করা হবে ।

মুনাফার হার কি ৪% হবে?

হ্যাঁ।  সুদ/মুনাফা হার- এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক হতে নির্ধারিত ০.৫০% সুদ/মুনাফা হারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। কৃষক পর্যায়ে সুদ/মুনাফা হার হবে সর্বোচ্চ ৪% (সরল হারে)। উক্ত সুদ/মুনাফা হার সকল গ্রাহকের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযােজ্য হবে। ঋণের খাতসমূহ-  ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লিখিত শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পােস্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণ করা যাবে।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *