বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে এবং হবে এ বিষয়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে – এরই অংশ হিসেবে শুন্য আসনে নির্বাচন অবাধ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে – জাতীয় সংসদের শুন্য আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন ২০২৩
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে জাতীয় সংসদের ৫ ঠাকুরগাঁও-৩, ৩৯ বগুড়া-৪, ৪১ বগুড়া-৬, ৪৪ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ৪৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লিখিত নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধাস্বায়ত্ত্বশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান হতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে।
উল্লিখিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য হতে কারও কারও নির্বাচনে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হতে পারে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের মধ্য হতে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ / শুন্য আসনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে
নির্দেশনাসমূহ জারিসহ আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্ত্বশাসিত/আধাস্বায়ত্ত্বশাসিত/বেসরকারি দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/শিক্ষক/ কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান সম্পর্কে সচেতন থেকে নির্বাচনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুসারে সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কর্তব্য
- (ক) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে তাদের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
- (খ) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাগণের প্রতিও অনুরূপ নির্দেশনা জারি করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
- (গ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৫ অনুচ্ছেদ ও ৪৪ঙ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর অনুসারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ (পনের) দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ ব্যতিরেকে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং আধাসরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ছুটি প্রদান এবং অন্যত্র বদলি করা হতে বিরত থাকতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্বাচনকালীন কোন কর্মকর্তাকে কি বদলী করা যাবে?
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩নং আইন) অনুসারে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত হলে তিনি তাঁর উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহিত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চাকুরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীন প্রেষণে চাকুরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪ঙ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনি সময়সূচি জারি হওয়ার পর হতে ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যায় না। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোন ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তাঁর উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।