সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে প্রত্যেক শিক্ষককে অবশ্যই মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৪ (সংশোধন)
মহিলা কোটা কত শতাংশ? সরাসরি নিয়ােগযােগ্য পদের ৬০% মহিলা প্রার্থীগণের দ্বারা, ২০% পােষ্য প্রার্থীগণের দ্বারা এবং অবশিষ্ট ২০% পুরুষ প্রার্থীগণের দ্বারা। পূরণ করা হইবে; এবং উপ-বিধি (২) (গ) এ নির্ধারিত কোটার শিক্ষকগণের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (মহিলা ৬০%, পােষ্য ২০% ও অবশিষ্ট পুরুষ ২০%) অবশ্যই ২০% বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীধারী প্রার্থীগণের নিয়ােগ নিশ্চিত করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে ২০% কোটা পূরণ না হইলে মেধার ভিত্তিতে নিয়ােগ প্রদান করা যাইবে।
টিপিটি ট্রেনিং ছাড়া কি চাকরি স্থায়ী হবে না? না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি-৬(৪) এবং ৬(৫) অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণকে চাকুরিতে প্রবেশের অন্যূন ০৪ (চার) বৎসরের মধ্যে “প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি)” সম্পন্ন করতে হবে। চাকরি স্থায়ীকরণের আবশ্যিক শর্ত হিসেবে তাদেরকে এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তবে ইতোমধ্যে যারা সি-ইন-এড ও ডিপিএড প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ মোতাবেক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট বাছাই বা নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোনাে পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগ করা যাইবে । তবে শর্ত থাকে যে, ১৫-১৪ গ্রেডের কোনাে পদ হইতে ১২-১১ গ্রেডের কোনাে পদে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগ করা যাইবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ । সংশোধনী জারি করার মাধ্যমে মৌলিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হল
উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি—এই বিধিমালার অধীন নিয়ােগপ্রাপ্ত কোনাে সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক বিধি ৬ এর উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হইলে তিনি উক্ত পদের জন্য নির্ধারিত উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ডাউনলোড
চাকুরী স্থায়ী করণের নতুন শর্ত ২০২৪ । সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি-৬(৪) এবং ৬(৫) তে কি আছে?
- (8) কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হইবে না যতক্ষণ না, সরকারি আদেশবলে, সময় সময়, যে পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন: ” তবে শর্ত থাকে যে, যিনি উল্লিখিত প্রশিক্ষণ চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে গ্রহণ করিয়াছেন, তাহার চাকুরী স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে এই উপ-বিধিতে উল্লিখিত প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিষয়টি প্রযোজ্য হইবে না ।
- (৫) কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকুরীতে যোগদানের পর অন্যূন ০৪ (চার) বৎসরের মধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিতে হইবে।
- (৬) উপ-বিধি (৪) ও (৫) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বয়সে পদার্পণ করিলে এবং তাহার চাকুরী সন্তোষজনক বিবেচিত হইলে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা শিথিলপূর্বক তাহার চাকুরী স্থায়ী করিতে পারিবে।
- ৭। উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি। এই বিধিমালার অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক বিধি ৬ এর উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হইলে তিনি উক্ত পদের জন্য নির্ধারিত উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন ।
অস্থায়ী নিয়োগ কত বছরের জন্য হয়?
সরাসরি নিয়ােগের ক্ষেত্রে, স্থায়ী নিয়ােগের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের জন্য; এবং (খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, এইরূপ নিয়ােগের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের জন্য নিয়ােগ করা হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া কোনাে শিক্ষানবিশির মেয়াদ এইরূপ বর্ধিত করিতে পারিবেন যাহাতে বর্ধিত মেয়াদ সর্বসাকুল্যে ২ (দুই) বৎসরের অধিক না হয়। যেই ক্ষেত্রে কোনাে শিক্ষানবিশের শিক্ষানবিশি মেয়াদকালে নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, তাহার আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক নহে, কিংবা তাহার কর্মদক্ষ হইবার সম্ভাবনা নাই, সেই ক্ষেত্রে নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯