বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এ নিয়োগের ক্ষেত্রে একজন নাগরিকের বয়স কত হবে এবং যোগ্যতা অনুসারে সরাসরি কি পরিমাণ লোক নিয়োগ করা যাবে এই বিধিমালায় সে বিষয়েই বর্ণনা করা হয়েছে। তাছাড়া কি পদ্ধতিতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা নেয়া হবে মান বন্টন পরীক্ষার ফি ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট করতে হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
বিধি-৫ অধিশাখা
প্রজ্ঞাপন
তারিখ : ৩১ ভাদ্র ১৪২১ বঙ্গাব্দ/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ
এস, আর, ও নং-২৩১-আইন/২০১৪। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি, উক্ত সংবিধানের ১৪০(২) অনুচ্ছেদের বিধান মােতাবেক বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন, যথা :—
১। সংক্ষিপ্ত শিরােনাম—এই বিধিমালা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যােগ্যতা ও সরাসরি নিয়ােগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ নামে অভিহিত হইবে।
২। প্রযােজ্যতা—এই বিধিমালা তফসিল-১ এ উল্লিখিত সার্ভিস বা ক্যাডার পদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হইবে।
৩। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়, (১) “অনগ্রসর নাগরিক” অর্থ সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘােষিত
কোন অনগ্রসর শ্রেণীর নাগরিক বা নাগরিক শ্রেণি বা গােষ্ঠী। (২) “আবশ্যিক বিষয়” অর্থ বিধি ১৮ এর উপ-বিধি (১) ও (২) এ উল্লিখিত বিষয়সমূহ; (৩) “কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন;
(৪) “ক্যাডার পদ” অর্থ তফসিল-১ এ অন্তর্ভুক্ত কোন পদ;
(৫) “ডিগ্রী” অর্থ কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অর্জিত ডিগ্রী;
(৬) “তফসিল” অর্থ এই বিধিমালার তফসিল;
(৭) “নির্ধারিত” অর্থ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত;
(৮) “পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়” অর্থ বিধি ১৮ এর উপ-বিধি (২) এর ৬নং ক্রমিকের বর্ণনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ক্যাডার পদের জন্য তফসিল-১ এ উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের শিক্ষাগত যােগ্যতা সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়; (৯) “পরীক্ষা” অর্থ কোন সার্ভিস বা সার্ভিসের কোন ক্যাডার পদে নিয়ােগের উদ্দেশ্যে গৃহীত কোন পরীক্ষা;
(১০) “প্রয়ােজনীয় যােগ্যতা” অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের জন্য তফসিল-১ এ উল্লিখিত শিক্ষাগত যােগ্যতা
(১১) “প্রার্থী” অর্থ এই বিধিমালার অধীন গৃহীত কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারী;
(১২) “বিসিএস” অর্থ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস;
(১৩) “সার্ভিস” অর্থ Bangladesh Civil Service Recruitment Rules, 1981 এর Schedule-1এ উল্লিখিত কোন সার্ভিস; এবং
(১৪) “স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়” বা “স্বীকৃত বাের্ড” বা “স্বীকৃত ইনস্টিটিউট” অর্থ আপাতত বলবৎ কোন আইনের দ্বারা বা আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক অনুমােদিত বলিয়া স্বীকৃত অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা বাের্ড বা ইনস্টিটিউট ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।।
৪। পরীক্ষা, ইত্যাদির স্থান।—(১) পরীক্ষাসমূহ কমিশন কর্তৃক গৃহীত হইবে।
(২) লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হইবে, তবে প্রার্থী সংখ্যা বিবেচনাক্রমে কমিশনের নিকট অন্য কোন স্থানে পরীক্ষা গ্রহণ করা প্রয়ােজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইলে উক্ত স্থানেও পরীক্ষা গ্রহণ করা যাইবে।
(৩) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থান বা স্থানসমূহে অনুষ্ঠিত হইবে।
৫। কমিশন কর্তৃক ঘােষণাযযাগ্য বিষয়সমূহ—পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ কমিশন কর্তৃক ঘােষণা করা হইবে, যথা: (ক) তারিখ, সময়সূচি এবং পরীক্ষার স্থান; (খ) পরীক্ষার মাধ্যমে যে সকল সার্ভিস বা ক্যাডার পদ পূরণ করা হইবে সেই সকল সার্ভিস বা ক্যাডার পদের নাম ও প্রয়ােজনীয় শিক্ষাগত যােগ্যতা; এবং
(গ) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত প্রয়ােজনীয় তথ্য, বিষয়, সনদ, ডকুমেন্টস, কাগজপত্র বা অন্য কোন বিষয়।
৬। যােগ্যতা।—(১) এই বিধিমালার অধীন লিঙ্গ নির্বিশেষে যে কোন ব্যক্তি সার্ভিসের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যােগ্য বলিয়া গণ্য হইবেন।
(২) প্রজাতন্ত্রের কর্মে অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন চাকরিরত প্রার্থীগণের মধ্যে যাহাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যােগ্যতা রহিয়াছে তাহারা নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত হইলে উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৩) প্রজাতন্ত্রের কর্মে অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন চাকরিরত প্রার্থীদের মধ্যে যিনি চাকরি হইতে ইস্তফা দিয়াছেন বা অপসারিত হইয়াছেন, এই ধরনের প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যােগ্য বিবেচিত হইলে তাহার আবেদনপত্রের সহিত চাকরি হইতে ইস্তফাপত্র নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হইয়াছে এইরূপ আদেশ বা অপসারণ আদেশের সত্যায়িত কপি জমা প্রদান করিতে হইবে।
৭। প্রিলিমিনারী টেস্ট গ্রহণ।—(১) বিধি ৯ এর উপ-বিধি (১) অনুযায়ী দাখিলকৃত আবেদনপত্র বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের উপযুক্ততা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ২০০ (দুইশত) নম্বরের একটি পত্রে ২ (দুই) ঘণ্টাব্যাপী প্রিলিমিনারি মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন (MCQ) টেস্ট গ্রহণ করা হইবে।
(২) প্রিলিমিনারী MCQ টেস্ট এর সিলেবাস ও অন্যান্য বিষয় কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
(৩) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের উপযুক্ততা এবং কৃতকার্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) প্রতিটি MCQ প্রশ্নের শুদ্ধ উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ (এক) নম্বর পাইবেন এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর কর্তন করা হইবে।
(৫) অনুমােদিত প্রার্থীকে বিধি ১১ অনুযায়ী কমিশন কর্তৃক জারিকৃত প্রবেশপত্রে উল্লিখিত কেন্দ্রে নিজ খরচে উপস্থিত হইয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে হইবে।
৮। উত্তরপত্রের গােপনীয়তা—(১) প্রিলিমিনারি টেস্টের MCQ উত্তরপত্র গােপনীয় থাকিবে এবং উহা পুনঃনিরীক্ষণ বা পুনঃপরীক্ষণের সুযােগ থাকিবে না।
(২) প্রিলিমিনারি টেস্টের উত্তরপত্র কোন প্রার্থী বা তাহার প্রতিনিধিকে কোনভাবে প্রদর্শন করা হইবে না এবং উক্ত টেস্টের নম্বর কোন প্রার্থী বা তাহার প্রতিনিধিকে প্রদর্শন বা প্রদান করা হইবে না।।
৯। আবেদনপত্র দাখিল, পরীক্ষার ফি, ইত্যাদি।—(১) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কমিশন কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্ধারিত আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করিয়া জমা প্রদান করিতে হইবে, এবং নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর প্রাপ্ত কোন আবেদনপত্র গ্রহণযােগ্য হইবে না।
(২) নিম্নবর্ণিত সাধারণ ক্যাডার সার্ভিসের যে সার্ভিস বা সার্ভিসসমূহে নির্ধারিত শিক্ষাগত যােগ্যতাধারী কোন প্রার্থী বিবেচিত হইতে আগ্রহী সেই সকল সার্ভিস বা সার্ভিসসমূহের নাম অগ্রাধিকারের ক্রমানুসারে তাহার আবেদনপত্রে উল্লেখ করিতে হইবে, যথা:—
(ক) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন);
(খ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (আনসার);
(গ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিরীক্ষা ও হিসাব);
(ঘ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়);
(ঙ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি);
(চ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক);
(ছ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা);
(জ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য);
(ঝ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র);
(ঞ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য);
(ট) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ);
(ঠ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক);
(ড) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক);
(ঢ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর); (ণ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য);
(৩) নির্ধারিত শিক্ষাগত যােগ্যতাধারী কোন প্রার্থীকে নিম্নবর্ণিত কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের যে সার্ভিস বা সার্ভিসসমূহে তিনি বিবেচিত হইতে আগ্রহী সেই সকল সার্ভিস বা সার্ভিসসমূহের নাম অগ্রাধিকারের ক্রমানুসারে তাহার আবেদনপত্রে উল্লেখ করিতে হইবে, যথা—
(ক) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি);
(খ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়);
(গ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য);
(ঘ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য);
(ঙ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন);
(চ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা);
(ছ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য);
(জ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য);
(ঝ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশুসম্পদ);
(ঞ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল);
(ট) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (গণপূর্ত);
(ঠ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে প্রকৌশল);
(ড) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সড়ক ও জনপথ);
(ঢ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিসংখ্যান);
(ণ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কারিগরি শিক্ষা);
(ত) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য);
(৪) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য দাখিলকৃত অনলাইন আবেদনপত্রের সহিত প্রার্থীকে কমিশন কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে | (ক) দফা (খ) তে উল্লিখিত প্রার্থী ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রার্থীকে অফেরতযােগ্য ৭০০/-(সাতশত) টাকা, (খ) বিধি ৩ এর দফা (১) এর অধীন কোন প্রার্থীকে অফেরতযােগ্য ১০০/-(একশত) টাকা, ফি জমা প্রদান করিতে হইবে।
(৫) কমিশন সচিবালয় উপ-বিধি (৪) এর অধীন প্রার্থীগণ কর্তৃক জমাকৃত ফি যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া সরকারের নির্দিষ্ট খাতে জমা প্রদান করিবে।
(৬) প্রার্থীকে অনধিক তিন মাস পূর্বে তােলা ছবি কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে অনলাইন আবেদনপত্রের (BPSCForm-1) নির্দিষ্টকৃত স্থানে আপলােড করিতে হইবে।
(৭) প্রিলিমিনারি টেস্টে উত্তীর্ণ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত মূল আবেদনপত্রের (BPSC Form-2) নির্দিষ্টকৃত স্থানে প্রার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত এবং প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত তিন কপি পাসপাের্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করিতে হইবে।
(৮) কোন আবেদনপত্রে গুরুতর অসম্পূর্ণতা (Substantively Incomplete)) থাকিলে বা ভুলভাবে পূরণ করিলে বা প্রয়ােজনীয় তথ্য ও প্রামাণিক দলিলাদি সংযুক্ত না করিলে উক্ত আবেদনপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যা:—“গুরুতর অসম্পূর্ণতা অর্থ কমিশন কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা ঘােষিত প্রার্থীর আবেদনপত্রের কোন গুরুতর অসম্পূর্ণতা।
১০। ঠিকানা। প্রত্যেক প্রার্থীকে তাহার আবেদনপত্রে ডাক যােগাযােগের ঠিকানা প্রদান করিতে হইবে এবং প্রার্থীর ঠিকানা পরিবর্তন হইলে তাহা কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) কে যথাসময়ে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে।
১১। প্রবেশপত্র।—(১) কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করিয়া নির্ধারিত ফি জমাদানের পর যােগ্য প্রার্থী কম্পিউটারের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাহার নিজ প্রবেশপত্র ডাউনলােড করিবেন।
(২) উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত প্রবেশপত্র ছাড়া কোন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
১২। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত গােপনীয়তা।—(১) লিখিত পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র গােপনীয় দলিল হিসাবে গণ্য হইবে এবং কোন অবস্থাতেই কোন প্রার্থী বা তাহার প্রতিনিধিকে উহা প্রদর্শন করা যাইবে না।
(২) উত্তরপত্র পুনঃপরীক্ষণের কোন আবেদন বিবেচনা করা হইবে না, তবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি জমা প্রদানপূর্বক কোন প্রার্থী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্র প্রাপ্তির জন্য কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন।
(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীনকৃত আবেদন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রক্রিয়ায়ণ শেষে নিষ্পন্ন করা হইবে।
(৪) মৌখিক পরীক্ষার নম্বর গােপনীয় থাকিবে এবং উক্ত পরীক্ষার নম্বর বা এতদসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রার্থী বা তাহার প্রতিনিধিকে প্রদর্শন বা প্রদান করা হইবে না।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪
| ১৮৪৩১
১৩। শিক্ষাগত যােগ্যতা—(১) আবেদনপত্রে উল্লিখিত ক্যাডার পদের জন্য কোন প্রার্থীর বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত শিক্ষাগত যােগ্যতা না থাকিলে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
(২) যদি কোন প্রার্থী কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হইয়া থাকেন যাহাতে চাহিদাকৃত শ্রেণি বা বিভাগসহ পাস করিলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যােগ্যতা অর্জন করিবেন, তাহা হইলে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখের মধ্যে তাহার সকল লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হইবার প্রমাণপত্র আবেদনের সহিত সংযুক্ত করিতে হইবে।।
(৩) উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত আবেদনপত্র সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবতীর্ণ প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করা হইবে।
(৪) অবতীর্ণ প্রার্থীকে তাহার মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যথাশীঘ্র সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অর্জিত প্রয়ােজনীয় শিক্ষাগত যােগ্যতা অর্জনের মূল অথবা সাময়িক সনদ কমিশনে দাখিল করিতে হইবে।
(৫) এই বিধির অধীন আবেদনকারী প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাহার আবেদনপত্রের সহিত উক্তরূপ শিক্ষাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রমাণস্বরূপ উক্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হইবার তারিখ সংবলিত প্রত্যয়নপত্র অবশ্যই জমা প্রদান করিতে হইবে।
১৪। বয়সসীমা—(১) কমিশন কর্তৃক যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করা হইবে উক্ত মাসের প্রথম তারিখে কোন প্রার্থীর বয়স ২১ (একুশ) বৎসরে নিয়ে বা ৩০ (ত্রিশ) বৎসরের উর্ধ্বে হইলে তিনি উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যােগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।
(২) উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত বয়সসীমা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে শিথিলযােগ্য হইবে, যথা:— (ক) মুক্তিযােদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযােদ্ধাগণের পুত্র বা কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হইবে ৩২ (বত্রিশ) বৎসর; (খ) মুক্তিযােদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযােদ্ধা, মহিলা এবং অনগ্রসর নাগরিক প্রার্থীর জন্য সরকার কর্তৃক সময় সময় সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত বয়সসীমা।
(৩) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা), বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা) এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার পদের ক্ষেত্রে উপজাতীয় প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ (বত্রিশ) বৎসর পর্যন্ত শিথিলযােগ্য হইবে এবং অবশিষ্ট সকল ক্যাডারের ক্ষেত্রে উপজাতীয় প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বসয়সীমা হইবে ৩০ বৎসর।
(৪) উপ-বিধি (১) এবং (২) এ উল্লিখিত বসয়সীমা বিশেষ অবস্থায় সরকার কর্তৃক সময় সময় শিথিলযােগ্য হইবে।
(৫) এসএসসি বা সমমানের সনদে উল্লিখিত জন্ম তারিখ অথবা কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একজন প্রার্থীর নামে ইস্যুকৃত সনদে উল্লিখিত জন্ম তারিখ বয়স প্রমাণের দলিল হিসাবে গণ্য হইবে এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনদপত্রে উল্লিখিত জন্ম তারিখ দালিলিক প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে।
(৬) বয়স প্রমাণের জন্য হলফনামা (Affidavit) গ্রহণযােগ্য হইবে না।
১৫। নাগরিকত্ব।—(১) বাংলাদেশের নাগরিক নহেন এমন কোন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যােগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।
(২) সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোন প্রার্থী কোন বিদেশী নাগরিককে বিবাহ করিয়া থাকিলে বা বিবাহ করিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়া থাকিলে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যােগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।
১৬। মিথ্যা তথ্য প্রদান ও অসদুপায় অবলম্বনের শাস্তি।—(১) কোন প্রার্থী আবেদনপত্রে জ্ঞাতসারে কোন ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করিলে বা প্রয়ােজনীয় তথ্য গােপন করিলে বা টেম্পারিং করিলে বা কোন জাল সার্টিফিকেট দাখিল করিলে বা বয়স ও শিক্ষাগত যােগ্যতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোন অংশ বা প্রবেশপত্র টেম্পারিং বা পরিবর্তন করিলে বা পরীক্ষার হলে মােবাইল ফোন বা কোন ধরনের ইলেকট্রনিক যােগাযােগ যন্ত্রসহ প্রবেশ এবং উক্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে অসদুপায়ের আশ্রয় গ্রহণ করিলে বা পরীক্ষা হলে কোনরূপ দুর্ব্যবহার করিলে বা অসদুপায় অবলম্বন করিলে বা প্রতারণার আশ্রয় নিলে তাহাকে উক্ত পরীক্ষাসহ কমিশন কর্তৃক অনুষ্ঠেয় পরবর্তী যে কোন পরীক্ষার জন্য অযােগ্য ঘােষণা করা যাইবে।
(২) উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত ব্যবস্থার অতিরিক্ত হিসাবে ক্ষেত্রবিশেষ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে ফৌজদারি আইনে সােপর্দ করা যাইবে এবং উক্ত প্রার্থীকে সার্ভিসে নিয়ােগের পর এইরূপ কোন তথ্য প্রকাশ ও উহা প্রমাণিত হইলে তাহাকে চাকরি হইতে বরখাস্তকরণ ছাড়াও তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ যে কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
১৭। প্রার্থী নির্বাচন।- কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য হইতে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করিবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়ােগের জন্য যােগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের নিকট সুপারিশ করিবে।
১৮। পরীক্ষার বিষয়সমূহ এবং নম্বর বন্টন।—(১) তফসিল-১ এর ক্রমিক ১, ৩, ৪, ৫(ক), ৬, ৭, ৮, ১০(ক), ১১, ১৫(ক), ১৭, ১৮, ২২, ২৫ এবং ২৭ (ক) হইতে উল্লিখিত সার্ভিস বা ক্যাডার পদসমূহের নিয়ােগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে হইবে, যথাঃ-
১৯। লিখিত পরীক্ষার সময় ও মানবন্টন:—১) ২০০ (দুইশত) নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার সময় হইবে ৪ (চার) ঘন্টা এবং ১০০ (একশত) নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার সময় হইবে ৩ (তিন) ঘন্টা।
(২) পরীক্ষার বিষয়সমূহের ন্যূনতম মান এবং বিস্তারিত সিলেবাস কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
(৩) প্রার্থীদের জন্য সকল বিষয় বা পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আবশ্যিক হইবে। ২০। ন্যূনতম পাস নম্বর।—(১) লিখিত পরীক্ষার পাস নম্বর হইবে নিম্নরূপ, যথা:
(ক) লিখিত পরীক্ষার গড় ন্যূনতম পাস নম্বর হইবে শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ;
(খ) লিখিত পরীক্ষার কোন বিষয়ে কোন প্রার্থী শতকরা ৩০ (ত্রিশ) ভাগ এর কম নম্বর পাইলে তিনি উক্ত বিষয়ে কোন নম্বর পান নাই বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
(গ) মৌখিক পরীক্ষার ন্যূনতম পাস নম্বর হইবে শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ।
(২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশন, প্রয়ােজনীয় মনে করিলে, সরকারের পূর্বানুমােদনক্রমে, ন্যূনতম পাস নম্বর হ্রাস বা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
২১। পরীক্ষায় উত্তরদানের ভাষা।- কমিশন ভিন্নরূপ নির্দেশনা প্রদান না করিলে একজন প্রার্থী তাহার লিখিত পরীক্ষার উত্তর বাংলা অথবা ইংরেজি যে কোন একটি ভাষায় প্রদান করিবেন।
২২। মৌখিক পরীক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তা টেস্ট।—(১) কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত মৌখিক পরীক্ষা বাের্ড লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করিবে।
(২) মৌখিক পরীক্ষা বাের্ড প্রার্থীর বুদ্ধিমত্তা, মানসিক সচেতনতা ও বলিষ্ঠতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সম্ভাবনাময় গতিশীল নেতৃত্বের ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবেচনাসহ প্রার্থীর পাঠক্রম বহির্ভূত গুণাবলি, যেমন—খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযােগিতা, শখ, ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচনা করিবে।
২৩। স্বাস্থ্য পরীক্ষা।—(১) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য হইতে কমিশন কর্তৃক চূড়ান্ত সুপারিশের ফলাফল প্রকাশের পর মনােনীত প্রার্থীগণকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বাের্ডের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হইবে।
(২) স্বাস্থ্য পরীক্ষার ধরন এবং পদ্ধতি তফসিল-২ অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।
২৪। রহিতকরণ ও হেফাজতকরণ।—(১) Bangladesh Civil Service (Age, Qualification and Examination for Direct Recruitment) Rules, 1982, অতঃপর উক্ত Rules বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Rules এর অধীন
(ক) যে সকল সুপারিশ প্রদত্ত হইয়াছে বা কার্যক্রম নিষ্পন্ন হইয়াছে তাহা এই বিধিমালার
অধীন প্রদত্ত এবং নিষ্পন্ন হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই বিধিমালা জারির তারিখে অনিষ্পন্ন কার্যাদি যতদূর সম্ভব এই বিধিমালা অনুযায়ী নিষ্পন্ন করিতে হইবে;
(খ) গৃহীত কোন ব্যবস্থা বা কার্যক্রমের বৈধতা এই বিধিমালা দ্বারা ক্ষুন্ন হইবে না;
(গ) জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলারের কোন শর্তের সহিত এই বিধিমালার কোন শর্ত বা বিধান সাংঘর্ষিক হইলে এই বিধিমালার বিধান প্রাধান্য পাইবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ : ডাউনলোড