সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে বদলী একটি সুপরিচিত বিষয়। প্রায়শই পদোন্নতি, জনস্বার্থে বা শাস্তি হিসাবে বদলী করা হয় এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে একজন কর্মচারীকে।
বিপদে পড়তে হয় স্বল্প বেতনভূক্ত কর্মচারীদের যখন বদলীতে নিজ জেলা ছেড়ে অন্য জেলায় কাজ করতে হয়। আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে বা পারিবারিক প্রয়োজনে ইচ্ছাকৃত বা অভিপ্রায়কৃত উক্ত প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক বা সদর দপ্তরে বদলীর জন্য ব্যক্তিগত পত্র লিখতে হয়। এসব পত্র গুছিয়ে লিখতে টেবিল হতে টেবিলে ধরণা দিতে হয়। নিচে একটি আবেদন পত্রের নমুনা প্রদান করা হলো যা আপনার ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে নিজে নিজেই আবেদন পত্র লিখতে সাহায্য করবে।
এ সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নোত্তর:
- প্রশ্ন: বদলীকৃত দপ্তরে কত দিন কাজ করার পর কাঙ্খিত দপ্তরে বদলীর জন্য আবেদন করা যায়?
- উত্তর: মূলত ০৩ বছর সন্তোষজনক ভাবে চাকরির পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যক্তিগত আবেদনের মাধ্যমে বদলীর হওয়া যায়।
- প্রশ্ন: ০৩ বছর বদলীকৃত দপ্তর কাজ না করে আবেদন করা যাবে না?
- উত্তর: যাবে। প্রথম মাসের বেতন ড্র করেই পরবর্তী মাসে ব্যক্তিগত আবেদনের মাধ্যমে কাঙ্খিত দপ্তরে বদলী হওয়া যায়।
নমুনা:
বরাবর,
মহাপরিচালক
বাংলাদেশ বেতার
সদর দপ্তর, শের-ই বাংলা নগর
ঢাকা-১২০৭।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা-১২০৭।
(যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে)
বিষয়ঃ বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রে একই পদে বদলীর জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি হাশেম আলী, উপ-আঞ্চলিক প্রকৌশলী পদে বাংলাদেশ বেতার, সাভার, কেন্দ্রে কর্মরত আছি। আমার বিধবা বয়োবৃদ্ধা মাতা খুলনায় একাকী জীবন যাপন করছেন। তিনি বার্ধক্যসহ (বয়স প্রায় ৭৭ বছর ) নানাবিধ জটিল রোগে ভুগছেন। কোমরের হাড়ক্ষয় রোগে (অস্টিওপোরেসিস) তিনি চলাফেরায় প্রায় অক্ষম হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় ক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়াআনা সহ তাঁকে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাখা জরুরি হলেও তাঁর দেখাশোনার জন্য সেখানে বর্তমানে উপযুক্ত কেউ নেই। তাই এ মুহুর্তে আমার মায়ের সার্বিক সেবার জন্য আমার খুলনায় থাকা জরুরি প্রয়োজন।
আমার ১০ বছরের কন্যা সন্তানও খুলনায় অবস্থান করছে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাকে আমার বর্তমান কর্মস্থল সাভারে রাখা সম্ভব নয়। নাবালিকা সন্তানের লেখাপড়াসহ দেখভালের জন্য আমার খুলনায় থাকা আবশ্যক। তাই আমাকে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রে বদলী করলে আমার মাতা ও কন্যার সার্বিক দেখাশোনা করতে পারব।
এমতাবস্থায়, বিনীত প্রার্থনা, উপরিউক্ত বিষয়াদি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সদয় বিবেচনা করে আমাকে এ কেন্দ্র হতে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রে বদলী করতে মহোদয়ের একান্ত মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক,
তারিখঃ ১৯/১১/২০১৯ খ্রি:
(হাশেম আলী)
উপ-আঞ্চলিক প্রকৌশলী
বাংলাদেশ বেতার, সাভার, ঢাকা।
প্রকৃত কথা: লোক থাকলে বদলীর মাস খানেক পরই কাঙ্খিত দপ্তরে বদলী হওয়া যায়।
চাকরির বদলির আবেদন এমএস ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড লিংক
jalilbbs18
১। সকল সরকারি, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিন্ম শ্রেনির কর্মচারি সদস্যদের জ্ঞতার্থে উন্মুক্ত প্রচারের জন্য সংস্লিষ্ট শ্রোধেয়বান ব্যাক্তিদের সদয় দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।উপকৃত হবে নিন্ম শ্রেনির কর্মচারি। ধন্যবাদ।
ভাই আমি নির্বাচন অফিসের সিবগন্জ উপজেলায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নতুন নিয়োগ আমি কি আমার নিজ উপজেলায় ট্যান্সপার হতে পারবো
পারবেন। পদ খালি থাকতে হবে।
পদ খালি নাই আমি আমার পারীবারীক সম্যসার কারনে আমার বদলী খুব দরকার
সংযুক্তিতে বদলি নিন।
সংযুক্তি মানে
Attachment । এক দপ্তরে কাজ করবে অন্য দপ্তর হতে বেতন ভাতাদি গ্রহণ করবে।
এক দপ্তরে কাজ করবে অন্য দপ্তর হতে বেতন ভাতাদি গ্রহণ করবো সেটা কি ভাবে
সংযুক্তিতে বদলি আদেশ হলেই পাবে।
আচ্ছা মিউচুয়াল ট্যান্সপারের জন্য আবেদন করলে কতদিনের মধ্য অডার হই
এটি কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে। ২ বা ৩ দিনের মধ্যেই হতে পারে অথবা কোনদিন নাও হতে পারে।
আউটসোর্সিং চাকরীর মিউচুয়াল ট্যান্সপার ভাই ৪ মাস হলো আজ হবে কি
না।
কোনদিনই কি হবে না
বদলি ব্যাপারটা আসলে যোগাযোগ না করলে হয়না। এটি সর্বক্ষেত্রেই দেখা যায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কতদিন পর বদলির আবেদন করা যায় । আর কত সময় লাগে ?
২ বছর পর।
আমি বর্তমানে আমার নিজ জেলার পাশের জেলায় কর্মরত আছি আমি ঢাকাতে পোস্টিং নিতে চাই সেই ক্ষেত্রে যে কারণটা উল্লেখ করতে হবে সেটা আমি বুঝতেছিনা .সাধারণত পরিবারের জন্য মানুষ নিজ জেলাতে আসে কিন্তু আমি ঢাকাতে যেতে চাই সে ক্ষেত্রে কি কারন দেখালে আমার এটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে? শূন্য পদ সাপেক্ষেও দিতে পারতেছি না.help please
পারিবারিক কারণ দেখাতে পারেন অথবা আর্থিক অসুবিধা উল্লেখ করে ঢাকায় সুযোগ সুবিধা বেশি থাকলে সেটি উল্লেখ করতে পারেন।
আমাকে গতো বৎসর ৩.৫বৎসর পরে বদলী হয়েছিলাম,দুঃখের বিষয় হলো আমাকে গতো কিছুদিন আগে পুনরায় আগের অফিসে বদলী করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী? আমি তো আমার পারিবার নিয়ে বিপদে।
৩ বছর পর পর বদলির বিধান রয়েছে। তবে কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এমন বিধান কড়াকড়িভাবে কার্যকর নয়।