ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছাড়া কোন পত্র রেফারেন্স হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয় – ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত ভুয়া পত্র – মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ভুয়া পত্র জারি ২০২৩
ভূয়া পত্র কি?– ভূয়া পত্র বলতে বোঝায় যে পত্রটি কোন কর্তৃপক্ষ জারি করেনি। কোন তৃতীয় পক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এমন পত্র প্রকাশ করে থাকে। পত্র জারির ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি ওয়েবসাইট তাদের নিজস্ব সাইটে পত্রটি প্রকাশ করবে। পত্রে দেওয়া টেলিফোন নম্বরে কল করেও পত্রের যথার্থতা যাচাই করা যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত স্মারক নম্বর-শিম/শা:১১/৩-৯/২০১১/২৫৬, তারিখ: ০৬/০৬/২০১১ এর স্থলাভিষিক্ত উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন বিষয়ে এ বিভাগের উপসচিব জনাব মোঃ মিজানুর রহমান এর নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে জারিকৃত ভুয়া একটি পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, একই স্মারক ও তারিখে স্থলাভিষিক্ত উল্লেখ করে স্মারক নম্বর-শিম/শা:১১/৩-৯/২০১১/২৫৬; তারিখ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ লিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এ বিভাগ থেকে কোনো পত্র জারি করা হয়নি।
এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য এবং বর্ণিত ভুয়া পত্রের আলোকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও, ব্যক্তি এমপিও, পদোন্নতি, বিষয় খোলা, বিভাগ খোলা ও নাম পরিবর্তন ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল নির্দেশাবলি এ বিভাগের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় ।
ভূয়াপত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার নির্দেশনা / ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন নির্দেশনা
যে পত্র কর্তৃপক্ষ জারি করেনি সেই পত্রে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদবী যা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তব্যপালনের দায়িত্ব সম্পর্কে বোঝাতে হয়।
প্রধান শিক্ষকের দায়-দায়িত্ব । ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব কি?
- শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।
- শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি তৈরি এবং পর্যবেক্ষণ করা।
- শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয় করা।
- পরীক্ষার সময়সূচী তৈরি এবং পরীক্ষার পরিচালনা করা।
- স্কুল বার্তা প্রকাশ করা এবং সকল কর্মচারীদের কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করা।
- স্কুলের বাজেট এবং ব্যাবস্থাপনা করা।
- শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সময়সূচী মনোযোগ দেয়া এবং পর্যবেক্ষণ করা।
- স্কুল কর্মচারীদের পারিশ্রমিক এবং কর্মচারীদের কাজের সুবিধাজনক শর্ত নির্ধারণ করা।
কোন নীতিমালা অনুসরণে দায়িত্ব প্রধান করা হয়?
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সূত্রোক্ত (৩ ও ৪ নং ক্রমিকে) উল্লিখিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সূত্রোক্ত (৫) নং ক্রমিকে উল্লিখিত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা-২০২১ এর অনুচ্ছেদ ১৩ ও অনুচ্ছেদ ১৭.১০ এর নির্দেশনা অনুসরণ করে বর্তমানে এম.পি.ও ভূক্ত শিক্ষকদের মধ্য হইতে জ্যোষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বোর্ডকে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী শূন্য পদে জরুরী ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করতে হবে।