সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ । হাস মুরগি বা মনুষ্য বিষ্ঠা দ্বারা মাছ চাষ শাস্তিযোগ্য অপরাধ

উত্তম মৎস্য চাষ পদ্ধতি অনুসরণ না করলে অন্যূন ২ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৮ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে – মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০

আইন লঙ্গণে জরিমানা কত? – মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০ এর ১৬(২) ধারানুযায়ী হাস মুরগি বা মনুষ্য বিষ্ঠা দ্বারা মাছ চাষ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনের ৩১(২) ধারানুযায়ী উত্তম মৎস্য চাষ পদ্ধতি অনুসরণ না করলে অন্যূন ২ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৮ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে বিধায় সরকার এই আইন এবং গুড একোয়াকালচার প্র‍্যাক্টিস জারী করেছে। যারা এই ধরণের মাছ চাষ করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে আইনের ধারা উল্লেখ করে অভিযোগ করুন।

মাছ চাষে কি লাইসেন্স লাগে?কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিতে পারিবে না। আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানির জন্য কোনো রপ্তানিকারককে বা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং এতদসংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কার্যের জন্য কোনো মালিককে কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবে।

লাইসেন্সের জন্য কোথায় আবেদন করতে হয়? ধারা ৯ এর অধীন কারখানা বা স্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার লক্ষ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে। আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনপত্র যাচাইপূর্বক লাইসেন্স ইস্যু করিবেন। লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন । আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স ইস্যু করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবে, যদি — (ক) ধারা ১০ অনুযায়ী আবেদনপত্র সঠিক না পাওয়া যায়; (খ) আবেদনপত্রে উল্লিখিত ও সংযোজিত তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট বা অপর্যাপ্ত হয়; (গ) আবেদনকারী এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির অযোগ্য হন; বা (ঘ) নির্ধারিত অন্য কোনো শর্ত প্রতিপালন না করা হয়।

মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আইন অনুসরণ করতে হবে  / কোনো কারখানা বা স্থাপনায় ধারা ৩ এর অধীন নির্ধারিত মান অনুসারে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করিতে হইবে।

 সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বা রেজিস্টার্ড কোনো চিকিৎসকের নিকট হইতে সংক্রামক কোনো রোগে আক্রান্ত নহে, এইরূপ চিকিৎসা সনদ ব্যতীত কারখানা বা স্থাপনায় কোনো কর্মচারী বা শ্রমিককে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহণ বা মৎস্য ও মৎস্যপণ্য হ্যান্ডলিং সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োগ করা যাইবে না।

মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ । হাস মুরগি বা মনুষ্য বিষ্ঠা দ্বারা মাছ চাষ শাস্তিযোগ্য অপরাধ

মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ । হাস মুরগি বা মনুষ্য বিষ্ঠা দ্বারা মাছ চাষ শাস্তিযোগ্য অপরাধ PDF Download

মাছ ও মৎস্য পন্য আইন ২০২০ । যে সকল আইন অনুসরণে মৎস্য চাষ ও বিক্রয় করতে হবে

  1. কোনো ব্যক্তি রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাত করিবার উদ্দেশ্যে মৎস্য বা মৎস্যপণ্যে ভেজাল মিশ্রণ বা অপদ্রব্য অনুপ্রবেশ করাইলে বা নির্ধারিত পরিবেশ এবং পাত্র ব্যতীত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ বা পরিবহণ করিলে বা নির্ধারিত মানের পানি ব্যবহার ব্যতীত বরফ তৈরি, সংরক্ষণ বা ব্যবহার করিলে; বা
  2. কোনো ব্যক্তি মৎস্য খামারে নিষিদ্ধ ঔষধ এবং রাসায়নিক ও ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার করিলে বা মৎস্য খামারে উত্তম মৎস্য চাষ পদ্ধতি অনুসরণ না করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৮ (আট) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
  3. কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকস, অনুজীব, হেভী মেটাল, কীটনাশক, রঞ্জক পদার্থ, এডিটিভস, স্টেরয়েডস, হরমোন এবং অন্য কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ এর অনুমোদিত মাত্রা নির্ধারণ করিতে পারিবে।
  4. কোনো আমদানিকারক কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি কারিতে পারিবে না।
  5. আমদানিকারককে অনাপত্তিপত্রের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমদানিতব্য মৎস ও মৎস্যপণ্যের বিবরণসহ উহা আমদানির অন্যূন ১৫ (পনের) দিন পূর্বে কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
  6. মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির শর্তাবলি (১) আমদানিকারককে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির প্রতিটি কনসাইনমেন্টের সহিত রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত স্বাস্থ্যকরত্ব সনদ, ট্রেন্সিবিলিটি ও হালাল সনদ দাখিল করিতে হইবে।
  7. হিমায়িত ও কিউরড মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানির প্রতিটি কনসাইনমেন্টের সহিত রপ্তানিকারক দেশের ইস্যুকৃত স্বাস্থ্যকত্ব সনদের সহিত আমদানিকারক দেশের বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিকারক এন্টিবায়োটিক, প্যাথোজেনিক ও নন-প্যাথোজেনিক অনুজীব, কীটনাশক, হেভী মেটাল, রঞ্জক পদার্থ, এডিটিভস, স্টেরয়েডস, হরমোন এবং অন্য কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ পরীক্ষণের প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে।

ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের দন্ড কি?

কোনো ব্যক্তি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাত করিবার জন্য উহাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করিলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের, কিন্তু ৫(পাঁচ) বৎসরের নিম্ন নহে, কারাদণ্ড এবং অন্যূন ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *