শাস্তি । সাময়িক বরখাস্ত । অপসারণ

অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত কর্মচারীর শাস্তির বিধান ২০২২

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অসদাচারণে শাস্তি বিধান রয়েছে। এসব শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করা হয়। সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই কেবল শাস্তি প্রদান করতে পারেন। সরকারী কর্মচারী (শৃংখল ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি ৩ (বি) অনুযায়ী কোন কর্মচারী অসদাচরণের দায়ের দোষী সাব্যস্ত হইলে এই বিধিমালার সব দণ্ড প্রদান করা যায় তাহা নিম্নরূপবিধি- ৪ (২) অনুযায়ী 

লঘুদণ্ড অর্থাৎ (এ) তিরস্কার;

(বি) অন্য কোন কারণে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি প্রাপ্তির অযােগ্য না হইলে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা।

(সি) অন্য কোন কারণে দক্ষতাসীমা অতিক্রমে অযােগ্য না হইলে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য টাইম স্কেলের দক্ষতাসীমা অতিক্রম বন্ধ রাখা। 

(ডি) সরকারী আদেশ অমান্য বা কর্তব্যকর্মে অবহেলায় জন্য সংঘটিত সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতি বা বেতন বা আনুতােষিক হইতে আদায় করা এবং

(ই) টাইম স্কেলের নিম্নধাপে অবনমতিকরণ !

বিবি-৪ (৩) অনুযায়ী গুরুদণ্ড অর্থাৎ 

(এ) নিম্নপদ বা নিম্ন টাইম স্কেলে অবনমতিকরণ; 

(বি) বাধ্যতামূলক অবসরদান; 

(সি) চাকুরী হইতে অপসারণ;

(ডি) চাকুরী হইতে বরখাস্তকরণ। 

বর্তমানে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮ কার্যকর রয়েছে। নিচের সর্বশেষ বিধান সন্নিবেশিত করা হলো।

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *