আয়কর । ভ্যাট । আবগারি শুল্ক

রিটার্ণের সাথে যেসব প্রমাণাদি/তথ্য/দলিলাদি দাখিল করতে হবে।

রিটার্ণের সাথে বিভিন্ন উৎসের আয়ের সপক্ষে যে সকল প্রমানাদি/বিবরণ দাখিল করতে হবে তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হলো (তালিকাটি আংশিক)।

বেতন খাত

ক) বেতন বিবরণী;

খ) ব্যাংক হিসাব থাকলে কিংবা ব্যাংক সুদ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা ব্যাংক সার্টিফিকেট;

গ) বিনিয়োগ ভাতা দাবী থাকলে তার স্বপক্ষে প্রমাণাদি। যেমন, জীবন বীমার পলিসি থাকলে প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রমাণ।

নিরাপত্তা জামানতের সুদ খাত

ক) বন্ড বা ডিবেঞ্চার যে বছরে কেনা হয় সে বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ফটোকপি;

খ) সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন পত্র;

গ) প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিবেঞ্চার কেনা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট/ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।

গৃ-সম্পত্তি খাত

ক) বাড়ী ভাড়ার সমর্থনে ভাড়ার চুক্তিনামা বা ভাড়ার রশিদের কপি, মাসভিত্তিক বাড়ী ভাড়া প্রাপ্তির বিবরণ এবং প্রাপ্ত বাড়ী ভাড়া জমা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বিবরণী;

খ) পৌর কর, সিটি কর্পোরেশন কর, ভূমি রাজস্ব প্রদানের সমর্থনে রশিদের কপি;

গ) ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বাড়ী কেনা বা নির্মাণ করা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী ও সার্টিফিকেট;

ঘ) গৃহ-সম্পত্তি বীমাকৃত হলে বীমা প্রিমিয়ামের রশিদের কপি।

ব্যবসা বা পেশার আয় ব্যয়ের বিবরণী (Income Statement) ও স্থিতিপত্র (Balance Sheet)
  • ব্যবসা বা পেশা খাত
  • অংশীদারী ফার্মের আয়
  • ফার্মের আয় ব্যয়ের বিবরণী (Income Statement) ও স্থিতিপত্র (Balance Sheet).
মূলধনী লাভ

ক) স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়/হস্তান্তর হলে তার দলিলের কপি;

খ) উৎসে আয়কর জমা হলে তার চালান/পে অর্ডারের ফটোকপি;

গ) পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন থেকে মুনাফা হলে এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

অন্যান্য উৎসের আয়ের খাত

ক) নগদ লভ্যাংশ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী, ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্টের কপি বা সার্টিফিকেট;

খ) সঞ্চয়পত্র হতে সুদ আয় থাকলে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের সময় বা সুদ প্রাপ্তির সময় নেয়া সার্টিফিকেটের কপি;

গ) ব্যাংক সুদ আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী/সার্টিফিকেট;

ঘ) অন্য যে কোন আয়ের উৎসের জন্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র।

আয়কর পরিশোধের প্রমাণ (উৎসে কর কর্তনসহ)

ক) কর পরিশোধের সমর্থনে চালানের কপি, পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট/একাউন্ট-পেয়ী চেক;

১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। এর উর্ধ্বে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট/একাউন্ট পেয়ী চেক ব্যবহার করতে হবে।

খ) যে কোন খাতের আয় হতে উৎসে আয়কর পরিশোধ করা হলে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র।

আয়কর নির্দেশিকা ২০২১-২২

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *