তফসিলি ব্যাংক কি আবার?– তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক হচ্ছে যারা বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এর ৩৭ ধারানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অফিসিয়ালি তালিকাভুক্ত ব্যাংকরূপে ঘোষিত এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত। তফসিলি বা তালিকাভুক্ত হওয়ার বিশেষ তাৎপর্য হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত ব্যাংকের কাঠামো, মূলধন সংরক্ষণ, বিধিবদ্ধ তহবিল, সংরক্ষণ, বিবরণী দাখিল ইত্যাদিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বপ্রকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মেনে চলার অঙ্গীকার করা।

ইসলামী বা শরীয়াভিত্তিক ব্যাংক গুলো থেকেও কি সঞ্চয়পত্র কেনা যায়? না। বাংলাদেশে পরিচালিত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে ১০ টি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম করে। যেমন-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে, এক্সিম ব্যাংক (বাংলাদেশ), ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এই ব্যাংক গুলো থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনস্থ সকল সঞ্চয় ব্যুরাে অফিসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। জাতীয় সঞ্চয় বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন জেলা ও বিশেষ ব্যুরোর অফিস প্রধানদের নামের তালিকা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। প্রদত্ত ফোন নম্বরে কল করেও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। ডাউনলোড

ব্যাংক, সঞ্চয় ব্যুরো অফিস বা ডাকঘরে থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যাবে / জাতীয় সঞ্চয়পত্র এখন অনলাইন হওয়ায় যেখান থেকেই কিনুন না কেন তথ্য কেন্দ্রীভূত থাকবে।

পোস্ট অফিস থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার বেশি হলে নগদ ক্রয় করা যাবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকের চেক ব্যবহারের মাধ্যমে অবশিষ্টাংশ কিনতে হবে। যেমন ধরুন যদি আপনি ৫ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র পোস্ট অফিস থেকে কিনতে চান তবে ১ লক্ষ টাকা নগদ এবং অবশিষ্ট ৪ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশের সকল পোস্ট অফিস তালিকা দেখে নিন

অ তফসিলি বা অতালিকাভূক্ত ব্যাংকের নাম ২০২২

ক্যাপশন: তফসিলি ব্যাংক গুলোর সকল শাখায় বিক্রি হয় না। তাই নিকটস্থ ব্রাঞ্চে খোজ নিয়ে জেনে নিতে পারেন।

যে সকল ব্যাংক হতে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যাবে।

  1. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
  2. জনতা ব্যাংক লিমিটেড
  3. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
  4. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
  5. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
  6. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
  7. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
  8. উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
  9. এবি ব্যাংক লিমিটেড
  10. আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড
  11. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
  12. সিটি ব্যাংক লিমিটেড
  13. এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড
  14. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
  15. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
  16. ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
  17. প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
  18. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
  19. সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
  20. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
  21. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
  22. ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
  23. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
  24. প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
  25. ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
  26. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
  27. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
  28. যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
  29. এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
  30. এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড
  31. পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড
  32. মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড
  33. মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড
  34. মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড
  35. সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
  36. সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড
  37. কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
  38. বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
  39. সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি
  40. সিটিব্যাংক এনএ
  41. এইচএসবিসি
  42. উরি ব্যাংক
  43. কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন
  44. হাবিব ব্যাংক লিমিটেড
  45. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ
  46. ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান
  47. ভারতীয় স্টেট ব্যাংক
  48. ব্যাংক আলফালাহ্
  49. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  50. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
  51. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

অ-তফসিলি বা অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক কি?

যে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তালিকাভুক্ত ঘোষণা করা হয় নি, সেসব ব্যাংক হচ্ছে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক। যেমন-জুবিলী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। এ ব্যাংক গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভূক্ত নয়। সূত্র: উইকিপিডিয়া

অ তফসিলি বা অতালিকাভূক্ত ব্যাংকের নাম ২০২২

সঞ্চয়পত্র খবর ২০২২