সার্ভিস রুলস । নীতি । পদ্ধতি । বিধি

সরকারি কর্মচারীর স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করার নিয়ম ২০২২

সাধারণত ৬ মাস হতে ৫ বছর পর্যন্ত কোন স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করলে সেটি স্থায়ী নিবাস হিসেবে ধরে নেয়া যায়। অন্যদিকে কোন স্থানের ভোটার মানেই সেটি স্থায়ী নিবাস নয়। বর্তমান ঠিকানার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়ত্র প্রদান করা হয়। এনআইডিতে উল্লিখিত ঠিকানা বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা হতে হবে কিন্তু সেটি নিশ্চিত স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে গন্য হবে না। একজন বাংলাদেশে নাগরিকের তিন ধরনের ঠিকানা থাকতে পারে। জন্ম ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা এই তিনটির মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্থায়ী ঠিকানা। আরও দেখুন: আইডি কার্ডে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২২

সরকারি কর্মচারীদের স্থায়ী ঠিকানা নির্ণয়ে বিএসআর রুলস অনুসরণীয় 

কোন ব্যক্তি একটি মাত্র দেশের স্থায়ী নিবাসী হইতে পারিবে। একই সংগে একাধিক দেশের স্থায়ী নিবাসী হইতে পারিবেন না। অর্থাৎ কোন সরকারী চাকরি প্রার্থী বা সরকারী কর্মচারী এই বিধিমতে একাধিক দেশের স্থায়ী নিবাসী হইতে পারিবেন না। স্থায়ী নিবাস (Domicile) বিএসআর বা বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস এর বিধি-৩৫ অনুসারে নির্ধারিত হইবে। বিধি ৩৫ এ  বলা হয়েছে যে, এই অধ্যায়ের অন্যান্য বিধিসমূহের বিধান সাপেক্ষে এই বিধিমালার উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস নিম্নোক্ত নীতির ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে (১) এক ব্যক্তির একটি মাত্র স্থায়ী নিবাস থাকিবে।

(২) বৈধ সন্তানের জন্মের সময় অথবা সন্তানের জন্মের সময় পিতা মৃত হইলে, পিতার মৃত্যুর সময় যে দেশের স্থায়ী নিবাসী ছিলেন, সন্তান জন্মগতভাবে ঐ দেশের স্থায়ী নিবাসী হইবেন।

(৩) অবৈধ সন্তানের জন্মের সময় মাতা যে দেশের স্থায়ী নিবাসী ছিলেন, সন্তান জন্মগতভাবে ঐ দেশের স্থায়ী নিবাসী হইবেন।

(৪) নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন না হওয়া পর্যন্ত জন্মগত স্থায়ী নিবাস বহাল থাকিবে এবং জন্মগত স্থায়ী নিবাস পুনঃগ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত অথবা অন্য কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্থায়ী নিবাস অব্যাহত থাকিবে।

(৫) জন্মগত স্থায়ী নিবাসের দেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশে স্থায়ী আবাসন স্থাপনের মাধ্যমে নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জিত হয়। যে দেশের স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে আগ্রহী, ঐ দেশের আইনে বিধান থাকার ক্ষেত্রে উক্ত বিধান অনুসরণে স্থায়ী নিবাসী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশের ঘােষণা প্রদান করত স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে হইবে।

(৬) যে পিতা-মাতার স্থায়ী নিবাসের ভিত্তিতে জন্মগত স্থায়ী নিবাস অর্জিত হইয়াছে, ঐ পিতা-মাতার স্থায়ী নিবাসের ভিত্তিতেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের স্থায়ী নিবাস নির্ধারিত হইবে। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলে বা সরকারের অধীনে কোন চাকরি গ্রহণ করিলে বা পিতা-মাতার সম্মতিক্রমে পৃথক কোন ব্যবসা আরম্ভ করিলে উক্ত ক্ষেত্রে পিতা-মাতার স্থায়ী নিবাস পরিবর্তন হইলেও উক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের নতুন স্থায়ী নিবাস পরিবর্তন হইবে না।

(৭) স্বামী ও স্ত্রী একই দেশের স্থায়ী নিবাসী না হইলে বিবাহের পর স্ত্রী স্বামীর দেশের স্থায়ী নিবাসী হইবেন এবং বিবাহ বলবৎ থাকাকালে স্বামীর স্থায়ী নিবাসের ভিত্তিতে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস নির্ধারিত হইবে তবে আইনগতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিলে অথবা স্বামী যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হইলে স্ত্রী স্বাধীনভাবে স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারিবেন।

(৮) উপরে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন ব্যক্তি নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারিবেন না।

(৯) কোন উন্মাদ ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির অনুসরণে ব্যতীত নতুন স্থায়ী নিবাস = অজন করতে পারিবে না।

আরও দেখুন: যে ৯টি বিধি মোতাবেক স্থায়ী নিবাস নির্ধারিত হইবে।

স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পূর্ব স্থায়ী ঠিকানা হতে অর্থাৎ পূর্ব ইউনিয়ন/পৌর সভা হতে স্থায়ী ঠিকানা হতে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করতে হয়।

স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণে NID নাকি ইউনিয়নপরিষদ সনদ।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *