বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন ২০২৪
ফেসবুক ব্যবহারের পূর্বের নীতিমালা কি বাতিল হয়েছে? না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জনপ্রিয়তা প্রতিনয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারের এ প্রবণতা লক্ষ্যনীয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নাগরিক সেবা প্রদানে সমস্যা পর্যালোচনা, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা এবং সর্বোপরি জনবান্দব প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের কার্যক্রমে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশনা কি কার্যকর আছে? হ্যাঁ। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রসংসিত হয়েছে। অপরদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের অসত্য প্রকাশ করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচিতনতা বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২০১৬ সালে জারিকৃত নির্দেশিকাটি পরিমার্জনের আবশ্যকতা দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত নির্দেশিকাটির পরিমার্জিত সংস্ককরণ “সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯” প্রনয়ন করা হয়।
শুধু কি বিচার বিভাগ এটি পরিপালন করবে? না। কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্র কোর্টের বিগত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের সার্কুলার নং-০৪ জে, এবং ১৬ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের সার্কুলার নং-০২ জে, এ প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালন করছেন না, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত। কোর্টের গোচরীভূত হয়েছে যে, কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন এবং কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর নিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে নানাবিধ বিরূপ মন্তব্য করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা ও বিধিমালার পরিপন্থি এবং অসদাচরণের সামিল।
নতুন নির্দেশনা জারির উদ্দেশ্য ও অধিক্ষেত্র । গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে
সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীগণের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয় নিশ্চিত করা।
প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে?
হ্যাঁ। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্র কোর্টের বিগত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের সার্কুলার নং-০৪ জে, এবং ১৬ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের সার্কুলার নং-০২ জে, এ প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতঃ কোনো অবস্থাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি অপ্রয়োজনীয় কোনো স্ট্যার্টাস, মন্তব্য/শেয়ার না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্র কোর্টের বিগত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের সার্কুলার নং-০৪ জে, এবং ১৬ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের সার্কুলার নং- ০২ জে, এ প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতঃ কোনো অবস্থাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি অপ্রয়োজনীয় কোনো স্ট্যার্টাস, মন্তব্য/শেয়ার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রচারিত এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা ‘অসদাচরণ’ (Misconduct) হিসেবে গণ্য হবে এবং এক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃংখলা) বিধিমালা, ২০১৭’ এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ : ডাউনলোড