চুরির মামলায় কোন ধারায় দিতে হয়? – ৩৭৯/৪১১ এই ধারার অর্থ হলো,যদি কোন ব্যক্তি অন্যের অজান্তে কোন জিনিস চুরি করেন তবে ৩৭৯ ধারায় মামলা দেয়া হয়,আর যদি উক্ত মালামাল সহ ঐ আসামী কে ধরা হয় বা গ্রেফতার করা হয় তবে ৪১১ ধারায় রিকভারি দেখানো হয় । এ ক্ষেত্রে আসামীর সাজা হবেই বলে আইনে আছে।

আমাদের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে আছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা,জনশৃঙ্খলা,জনসাধারনের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের (ক) প্রবেশ তল্লাশী ও আটক হইতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার খাকবে এবং (খ)চিঠি পত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনতারক্ষার অধিকার খাকিবে।
তাই যদি এই অধিকারের কোন ব্যত্যয় ঘটে থাকে তবে আপনি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের নিকট মামলা করতে পারেন।

স্বাস্থ্য আইন ও তার বিশ্লেষন- একটি মামলায় চিকিৎসকের সাক্ষ্য এবং সুরতহাল রিপোর্ট মামলার মোড়কেই ঘুরিয়ে দেয়। ডাক্তারের অবহেলায় যেমন একজন রোগীর জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তেমনি ডাক্তারের সাক্ষ্য ও সুরতহাল রিপোর্টও মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫০৯ ধারা মতে ডাক্তাররা (চিকিৎসক) আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে থাক- দণ্ডবিধির ১৯৩ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বিচারাধীন কোনো মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, তাহলে সে আইনের চোখে অপরাধী। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। জরিমানাও হতে পারে। ১৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় এবং এই বিষয়টি বিচারক বুঝতে পারেন, তাহলে ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। আর যদি ওই সাক্ষ্যের কারণে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, তাহলে সাক্ষীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন আদালত।

১৯৫ ধারায় বলা আছে, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তির যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, তাহলে মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী যাবজ্জীবন অথবা সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জারিকৃত পরিপত্রে ধর্ষণ কিংবা এসিড বা এ জাতীয় অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও ডাক্তারী পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধান কার্যকর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পুলিশের রেফারেন্স ছাড়াও ধর্ষণ এবং অন্যান্য সহিংসতার শিকার কোনো নারী ও শিশু যে কোনো সরকারি স্থাপনায় কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোনো বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করবেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও নিকটস্থ থানায় প্রেরণ করাসহ, যাকে পরীক্ষা করবেন তাকেও ১ কপি প্রদান করবেন। চিকিৎসক ও তার ক্লিনিক্যাল সহকারীরা নির্যাতনের নারী বা শিশুকে যথাসাধ্য সেবা দেবেন।

কিন্তু উপরে উল্লিখিত ঘটনা থেকে সহজেই অনুমেয়, এ নির্দেশনা মোটেই অনুসৃত হচ্ছে না। প্রথমত, নির্যাতনের শিকার কেউ হাসপাতালে গেলে থানার রেফারেন্স ছাড়া কর্তব্যরত ডাক্তার মেডিকেল পরীক্ষা করতে রাজি হন না। দ্বিতীয়ত, যাকে পরীক্ষা করছেন তাকেও মেডিকেল সার্টিফিকেটের কপি কোনো অবস্থাতেই সরবরাহ করা হয় না। এর কোনো কারণই সুস্পষ্ট নয়। তৃতীয়ত, জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল ছাড়া উপজেলা বা আর কোথাও এই পরীক্ষা করা হয় না। তবে ‘নির্যাতনের শিকার বা তার পরিবারে কারও হাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করা কেন সম্ভব নয়- এ ধরণের প্রশ্নে ডাক্তারদের স্পষ্ট জবাব ‘আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে?’ অর্থাৎ নির্যাতনের শিকার ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট জেনে গেলে, তিনি ধরে নিচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট ডাক্তার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ে যাবেন। তাহলে কে বা কারা এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, সেটাও স্পষ্ট হওয়া দরকার।

কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩২ ধারায় ষ্পষ্ট বলা আছে যে, ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে ধর্ষণ সংঘটিত হবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব তা সম্পন্ন করতে হবে এবং যথাশীঘ্র মেডিক্যাল পরীক্ষা না করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইন আরও বলছে, মেডিকোলিগ্যাল দায়িত্ব পালন করতে পারেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় কর্মকর্তা, জেলা হাসপাতালের আরএমও এবং মেডিকেল অফিসার ও নির্দিষ্ট কর্মকর্তা। সেক্ষেত্রে মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা করার যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তার উপজেলা পর্যায়ে তো আছেই, এমনি অনেক ইউনিয়ন পর্যায়েও আছে। উপজেলা পর্যায়ে মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষার উপকরণও আছে। সুতরাং এ জাতীয় পরীক্ষা উপজেলা হাসপাতাল থেকে করে সার্টিফিকেট দিতে আইন বাধা তো নেই-ই, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে। কিন্তু নির্দেশনা কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ নেই। তবে দেশের সরকারি চিকিৎসালয়গুলোতে, বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, অন্যান্য ছুটির দিন এবং কর্মদিবসগুলোতে দুপুর ২টার পর কোনো চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায় না, মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা তো দূরের কথা।

গ্রাম পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে দূরত্ব, যানবাহন, অর্থ সংকট ইত্যাদি কারণে এবং বহুদূর থেকে জেলা সদরে এসে হাসপাতালে ডাক্তার অনুপস্থিত থাকার কারণে ডাক্তারী পরীক্ষা সময়মতো একেবারেই সম্ভব হয় না। ফলে স্বভাবতই নির্যাতিতা নারী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়, অপরাধ উৎসাহিত হয়।

কোন মামলা করতে সঠিক ধারা জানা জরুরি / ৩৭৯ ধারা মামলা কি?

‘পুলিশের রেফারেন্স ছাড়াও ধর্ষণ এবং অন্যান্য সহিংসতার শিকার কোনো নারী ও শিশু যে কোনো সরকারি স্থাপনায় কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোনো বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করবেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও নিকটস্থ থানায় প্রেরণ করাসহ, যাকে পরীক্ষা করবেন তাকেও ১ কপি প্রদান করবেন। চিকিৎসক ও তার ক্লিনিক্যাল সহকারীরা নির্যাতনের নারী বা শিশুকে যথাসাধ্য সেবা দেবেন।

৩৭৯ ধারা মামলা কি

Caption: Case Study with Rules 

ধারা মেনে মামলা করতে হয় । গ্রাম আদালতের ধারা সমূহ

  • ধারা- ৩৫২ গুরুতর প্ররোচনা ব্যতীত আক্রমণ কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগের শাস্তিঃমারাত্মক ও আকষ্মিক প্ররোচনা ব্যতীত যদি কেহ কাহাকেও আঘাত করে বা তাহার উপর অপরাধজনক বল প্রয়োগ করে তাহা হইলে সে তিন মাস পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা পাচশত টাকা পর্যন্ত যেকোন পরিমাণ অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে। ব্যাখ্যাঃ মারাত্মক আকষ্মিক প্ররোচনা এই ধারা অনুসারে কোন অপরাধে বিহিত দন্ড লাঘব করিবে না যদি-প্ররোচনাটি অপরাধী অজুহাত স্বরূপ স্বয়ং কামনা করিয়া থাকে বা স্বেচ্ছায় উহার উস্কানি দিয়া থাকে, কিংবা প্ররোচনাটি মান্য করিয়া অনুষ্ঠিত কোন কার্যের ফলে অথবা কোন সরকারী কর্মচারী কর্তৃক আইনানুসারে উক্ত সরকারী কর্মচারীর ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়া অনুষ্ঠিত কোন কার্যের ফলে ঘটিয়া থাকে, কিংবা আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকারের আইন সম্মত প্রয়োগ করিয়া কৃত কোন কার্যের ফলে প্ররোচনাটি ঘটিয়া থাকে। প্ররোচনাটি এমন মারাত্মক ও আকষ্মিক ছিল কিনা তাহার ফলে দন্ড লাঘব হইতে পারে, তাহা ঘটনাগত প্রশ্ন।
  • ধারা- ৩৫৮ মারাত্নক প্ররোচনার ফলে আক্রমণ করা কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ করা-যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির মারাত্নক প্ররোচনায় ক্ষিপ্ত হইয়া সেই ব্যক্তিকে আঘাত করে কিংবা তাহার উপর অপরাধজনক ভাবে বলপ্রয়োগ করে, তাহা হইলে সে এক মাস পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা দুইশত টাকা পর্যন্ত যে কোন পরিমাণ অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে। ব্যাখ্যাঃ উপরের ধারাটি ৩৫২ ধারা অনুরূপ ব্যাখ্যা সাপেক্ষে।
  • ধারা- ৫০৪ শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে প্ররোচনা বা অপমান করা।–যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অপর োকন ব্যক্তিকে অপমান করে এবং তদ্বারা তাহাকে প্ররোচনা দান করে এবং অনুরূপ প্ররোচনার ফলে যাহাতে সেই ব্যক্তি শান্তিভঙ্গ বা অন্য কোন অপরাধ করে, তদুদ্দেশ্যে অথবা অনুরূপ প্ররোচনার ফলে সেই ব্যক্তি শান্তিভঙ্গ করিতে পারে বা অন্য কোন অপরাধ করিতে পারে বলিয়া জানা সত্ত্বেও যদি তাহা করে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৫০৬ (প্রথম অংশ) অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শন করে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৫০৮ কোন ব্যক্তিকে বিধাতার বিরাগভাজন হইবে এইরূপ বিশ্বাস জন্মাইয়অ কোন কাজ করানোর শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি কাহাকেও এরূপ বিশ্বাস করায় যে, সে যে কার্যটি করিতে আইনতঃ বাধ্য নয়, সে কার্যটি যদি সে না করে, কিংবা যে কার্য করিতে আইনতঃ বাধ্য সে কার্যটি করা হইতে বিরত হয়, তাহা হইলে প্রথমোক্ত ব্যক্তি স্বীয় কোন কার্য দ্বারা তাহাকে বা তাহার স্বার্থসংশ্লিষ্ট, অন্য কোন ব্যক্তিকে বিধাতার রোষানলে পতিত করিবে এবং ইচ্ছাপূর্বক এইরূপ বিশ্বাস সৃষ্টি করিয়া তাহাকে দিয়া উদ্দিষ্ট কার্যটি করায় বা করা হইতে বিরত রাখে কিংবা করাইবার, বা করা হইতে বিরত রাখিবার চেষ্টা করে, তাহা হইলে সে ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৫০৯ মাতাল ব্যক্তির প্রকাশ্যে অসদাচরণের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় কোন প্রকাশ্য স্থানে গমন কর, বা কোন স্থানে অনধিকার প্রবেশ করে এবং এমন আচরণ করে, যাহার ফলে কাহারও বিরুক্তি ঘটে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি চব্বিশ ঘন্টা পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা দশ টাকা পর্যন্ত যেকোন পরিমাণ অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে। ধারা- ৩৭৯ চুরির শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি চুরি করে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে। ধারা- ৩৮০ বাসগৃহ ইত্যাদিতে চুরি।–যদি কোন ব্যক্তি কোন গৃহ, তাবু বা জলযানে চুরি করে, যে গৃহ, তাবু বা জলযানে মানুষের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয় কিংবা সম্পত্তি হেফাজতের জন্য ব্যবহৃত হয় তাহা হইলে সে সাত বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে এবং অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৩৮১ কর্মচারী বা চাকর কর্তৃক মালিকের দখলভূক্ত সম্পত্তি চুরির শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি কর্মচারী বা ভৃত্য হওয়া সত্ত্বেও, কিংবা কর্মচারী বা ভৃত্যের কাজে নিয়োজিত হওয়া সত্ত্বেও তাহার প্রভুর বা মালিকের দখলভুক্ত সম্পত্তি চুরি করে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে এবং অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৪০৩ অসাধুভাবে সম্পত্তি তসরূপের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি তসরূপ করে কিংবা উহা তাহার নিজের ব্যবহারে প্রয়োগ করে, তাহা হইলে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে কিংবা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৪০৬ অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে, তাহা হইতে সে তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে এবং অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৪১৭ প্রতারণার শাস্তি।–যদি ব্যক্তি প্রতারণা করে, তাহা হইলে সে ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে এবং অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৪২০ প্রতারণা ও অসাধুভাবে সম্পত্তি অর্পন করিতে প্রবৃত্ত করার শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং প্রতারিত ব্যক্তিকে অসাধুভাবে অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সম্পত্তি প্রদানে প্রবৃত্ত করে, কিংবা অসাধুভাবে প্রতারিত ব্যক্তিকে কোন মূল্যবান জামানতের সমুদয় বা অংশ বিশেষ প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশসাধনে প্রবৃত্ত করে, কিংবা অসাধুভাবে প্রতারিত ব্যক্তিকে জামানত হিসাবে রুপান্তরযোগ্য কোন স্বাক্ষরিত বা সীল-মোহরযুক্ত বস্তুর সমুদয় বা অংশ বিশেষ প্রনয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশসাধনের প্রবৃত্ত করে তাহা হইলে সেইব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে এবং অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৪২৭ অনিষ্ট করিয়া পঞ্চাশ টাকা বা উহার অধিক ক্ষতিসাধনের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি অনিষ্ট সাধন করে এবং তদ্বারা পঞ্চাশ টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ অর্থের ক্ষতি করে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  • ধারা- ৪২৮ দশ টাকা বা তদউর্দ্ধ মূল্যের পশু হত্যা বিকলাঙ্গ করিয়া অনিষ্টসাধনের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি দশ টাকা বা তদুর্দ্ধ মূল্যের কোন একটি বা একাধিক পশু হত্যা করিয়া, বিষ প্রয়োগ করিয়া, বিকলাঙ্গ করিয়া বা অকেজো করিয়া অনিষ্ট সাধন করে, তাহা হইলে সে দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ডে, কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।

৪২৯ ধারায় কোন মামলা করা যায় ?

যে কোন মূল্যের গবাদি পশু ইত্যাদি অথবা পঞ্চাশ টাকার মূল্যের পশুকে হত্যা বা বিকলাঙ্গ করিয়া অনিষ্টসাধনের শাস্তি।–যদি কোন ব্যক্তি যেকোন মূল্যের হাতী, উট, ঘোড়া, খচ্চর, মহিষ, ষাড়, গাভী বা গরু, কিংবা পঞ্চাশ টাকা বা তদুর্দ্ধ মূল্যের অন্য কোন পশুকে হত্যা করিয়া, বিষ প্রয়োগ করিয়া, বিকলাঙ্গ করিয়া বা অকেজো করিয়া অনিষ্টসাধন করে, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি পাচ বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা অর্থদন্ডে কিংবা উভয় দন্ডেই দন্ডনীয় হইবে।