প্রশাসনে রদবদল প্রজ্ঞাপন ২০২৫ । সচিব পদে বড় ধরনের পরিবর্তন কি এসেছে?
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এসেছে। বিশেষ করে, সচিব ও অন্যান্য প্রশাসনিক পদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে– প্রশাসনে রদবদল প্রজ্ঞাপন ২০২৫
প্রশাসন বলতে কি বুঝায়? প্রশাসন বলতে মূলত সরকারের সেই কাঠামো ও প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়, যার মাধ্যমে দেশের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা এবং জনগণকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা। এটি সরকারের মূল প্রশাসনিক কাঠামো, যা সচিবালয় বা মন্ত্রণালয়গুলোর মাধ্যমে কাজ করে। এখানে সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নীতি নির্ধারণ ও বড় বড় সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয় একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের (যেমন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থ) দায়িত্বে থাকে। এটি কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করে। জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মতো কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের প্রধান কাজ হলো স্থানীয় পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এবং জনগণের সমস্যার সমাধান করা। এক কথায়, প্রশাসন হলো সরকারের সেই কর্মীবাহিনী, যারা জনগণের জন্য কল্যাণমূলক কাজ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে।
আমলাতন্ত্র কি? আমলাতন্ত্র বা আমলাতন্ত্র হলো এমন একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষমতা একদল পেশাদার এবং নির্বাচিত নয় এমন সরকারি কর্মচারীর হাতে থাকে। এই কর্মচারীরা সাধারণত নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন, পদক্রম (hierarchy), এবং কার্যপ্রক্রিয়ার (procedures) ভিত্তিতে কাজ করেন। নিয়ম-কানুন: আমলাতন্ত্রে প্রতিটি কাজ সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর ফলে কাজে একটি ধারাবাহিকতা ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে। এখানে ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্মকর্তার মধ্যে সুস্পষ্ট পদমর্যাদা রয়েছে। নিচের স্তরের কর্মকর্তারা উপরের স্তরের কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি করেন। আমলারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ এবং সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। তারা স্থায়ীভাবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকেন। সকল সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা লিখিত আকারে সংরক্ষণ করা হয়, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
আমলারা ব্যক্তিগত আবেগ বা পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন। আমলাতন্ত্রের সুবিধা ও অসুবিধা-
সুনির্দিষ্ট নিয়মের কারণে কাজে দক্ষতা ও ধারাবাহিকতা থাকে। প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞ থাকার কারণে কাজগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন হয়।রকার পরিবর্তন হলেও আমলারা তাদের পদে বহাল থাকেন, ফলে প্রশাসনিক কাজে স্থিতিশীলতা থাকে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য (Red Tape): অতিরিক্ত নিয়ম ও প্রথা মেনে চলতে গিয়ে অনেক সময় কাজ বিলম্বিত হয়। নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো নতুন বা জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আমলারা জনগণের কাছে সরাসরি জবাবদিহি করেন না, ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হতে পারে। সংক্ষেপে, আমলাতন্ত্র হলো এমন একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা পেশাদার সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে।
Caption: Mopa.gov.bd
প্রশাসনের প্রধান কাজ হলো সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা এবং দেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করা। প্রশাসনের মূল কাজগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা- আইন প্রয়োগ: দেশের প্রচলিত আইনগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করা।
- শান্তি বজায় রাখা: জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করা।
- উন্নয়ন ও সেবা প্রদান- নীতি বাস্তবায়ন: সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নীতি ও প্রকল্পগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা।
- জনসেবা: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের মতো মৌলিক জনসেবাগুলো নিশ্চিত করা।
- রাজস্ব ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা- রাজস্ব সংগ্রহ: কর ও শুল্কের মতো বিভিন্ন উৎস থেকে সরকারের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করা।
- সম্পদ ব্যবহার: সরকারি সম্পদ ও বাজেট সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা করা। এক কথায়, প্রশাসন হলো সরকারের সেই যন্ত্র, যা দেশের শাসনব্যবস্থাকে সচল রাখে এবং জনগণের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে এমন সব কাজ করে থাকে।
গত ২৪ ঘন্টায় প্রশাসনে বড় পরিবর্তন কি?
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, বিশেষ করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তরের প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী-কে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান-কে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাবিবুর রহমান-কে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমেনা বেগম-কে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এই রদবদলগুলো রোববার (১৭ আগস্ট) থেকে কার্যকর হয়েছে।
১৮/০৫/২০২২ তারিখে জারিকৃত ৫ জন কর্মকর্তার পদায়ন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন: ডাউনলোড
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে জারিকৃত ০৩ জন কর্মকর্তার পদায়ন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন : ডাউনলোড
২০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে জারিকৃত ১১ জন কর্মকর্তার পদায়ন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন : ডাউনলোড
১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে জারিকৃত ৩ জন কর্মকর্তার পদায়ন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন : ডাউনলোড
সচিব পদে রদ বদলের ২৪-০৬-২০২০ তারিখের প্রজ্ঞাপনদ্বয়: ডাউনলোড
কর্মকর্তাকে সরকারের সচিব পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক তাঁর নামের পাশে উল্লিখিত কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে (৩০ তারিখের সকল প্রজ্ঞাপন একসাথে): ডাউনলোড
কর্মকর্তাকে তার নামের পাশের উল্লিখিত কর্মস্থলে সচিব পদে পদায়ন করা হলো হয়েছে: ডাউনলোড
এ বি এম আজাদ কে সচিব পদে পদোন্নতি : ডাউনলোড
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের নিম্নোক্ত কর্মকর্তাকে তার নামের পাশের বর্ণিত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ করা হয়েছে : ডাউনলোড
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের নিম্নোক্ত কর্মকর্তাকে তার নামের পাশের বর্ণিত পদে নিয়োগ/ বদলি করার প্রজ্ঞাপন: ডাউনলোড