সন্তানের জন্য নিবন্ধন এখন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি প্রদানের ফরম পূরণ করতে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর সহ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেয়া বাধ্যতামূলক। তাছাড়া ২০০১ সালের পরে যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন পড়ে তাই সন্তানের জন্য নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে-জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনের সাথে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাপিং
ইতোপূর্বে যদি আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন করে থাকেন কিন্তু আপনি অর্থাৎ পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান করেন নি তবে এখন যদি সন্তানের জন্ম নিবন্ধনে কোন সংশোধনের প্রয়োজন হয় তা সম্পন্নের জন্য জন্ম নিবন্ধন ম্যাপিং করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ম্যাপিং বলতে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনের সাথে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সংযুক্ত থাকা বোঝায়। যদি পিতা মাতার মধ্যে একজনের জন্ম নিবন্ধন করা না থাকে তবে কোন ভাবে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে না।
২০০১ সালের পর পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক
আপনার জন্ম যদি ২০০১ সালের আগে হয়ে থাকে তবে আপনি আপনার পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন কিন্তু যদি আপনি বা আপনার জন্ম ২০০১ সনের পর হয় তবে অবশ্যই পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন আগে করে নিতে হবে। তাই আপনার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে হলে প্রথমে আপনার নিজের এবং আপনার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন আগে করতে হবে।
অতপর আপনার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন আবেদন আপনি অনলাইনে সম্পন্ন করুন তাতে করে কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না। যেমন, দেখা যায় যে, মেয়ে জন্ম নিবন্ধন করিয়েছেন লিঙ্গ পুরুষ দিয়ে রাখছে। নামের আগে মো: নাই কিন্তু মো: দিয়ে রাখছে। নামের বানান ভুল লিখছে বা জন্ম তারিখই ভুল করেছে তাই নিজে বা আপনার পরিচিত কারও মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আগে মোবাইল বা কম্পিউটারে সম্পন্ন করে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর সভায় জমা দিনে ৫-৭ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে যাবে । যদি নিবন্ধন সনদ দিতে দেরি হয় তবে শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংগ্রহ করে অনলাইন হতে জন্ম নিবন্ধন বিবরণী সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সেটি দিয়ে স্কুলের কাজ হয়ে যাবে।
কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবো?
খুব সহজ এবং ভয়ের কোন কারণ নেই। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য নতুন আবেদন আপনি নিজে আপনার স্মার্ট ফোন দিয়ে করে ফেলতে পারবেন সেজন্য আপনার পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংগ্রহ করুন। যদি আপনি পিতা হউন তবে আপনি আপনার এবং আপনার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর আগে নিন এবং দু’জনের যে কোন পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিন যেমন, পিএসসি, জেএসসি বা এসএসসি সার্টিফিকেট এবং পিতা বা মাতার ভোটার আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগে নিন।
প্রথমেই আপনার সন্তানের পাবলিক পরীক্ষার সনদ এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে নিন বা কম্পিউটারে ক্যান করে নিন। ছবি তোলার সময় রেজুলেশন কমিয়ে নিন বা ছবি তুলে বা স্ক্যান করে JPG ফাইলটির সাইজ ১০০ কেবিএ এর নিচে করে নিতে হবে। এটি অনলাইনেও রিসাইজ করা যায় অথবা ফটোশপ ব্যবহার করেও সাইজ কমানো যায়। picresize.com এই ওয়েবসাইট হতে ফটো রিসাইজ করে নিতে পারবেন Maximum Size ১০০ কেভিএ উল্লেখ করে দিন এবং Pixel Low or Percentage 25% করে দিন ব্যাস I’am Done এ ক্লিক করলেই ছবি রিসাইজ হয়ে যাবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে প্রথমে bdris.gov.bd/br/application এই ওয়েবসাইটে যান। জন্ম স্থান, স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা যেখান থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে চান তা সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে যাবেন। পরবর্তী ধাপে নিচের মত স্ক্রীন দেখাবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার ধাপ-১ । বর্তমানে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পড়ে
প্রথমে উপরের তথ্যগুলো ঠিক মত ইনপুট দিয়ে আপনি পরবর্তী ধাপে যাবেন। বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ইত্যাদি সিলেক্ট করতে হবে। এসব তথ্য অবশ্যই আপনার পিতার এনআইডি অনুসারে দিবেন। তথ্যগুলো আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার দু’স্থান হতেই ইনপুট দিতে পারবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের ধাপ-২
এই ধাপে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইনপুট দিতে হবে। পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট কোথাও আপলোড করতে হবে না। জন্ম নিবন্ধন নম্বরগুলো দিলেই পিতা মাতার নাম জন্ম তারিখ অটো চলে আসবে। নাম ইংরেজী ও বাংলাতে চলে আসবে জাতীয়তা সিলেক্ট করে পরবর্তী ক্লিক করুন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের ধাপ-৩
100 Kb এর নিচে কম্প্রেস করা ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে। প্রথমে সংযোজনে ক্লিক করে ডকুমেন্ট সিলেক্ট করতে হবে। ডকুমেন্ট এর ধরণ সিলেক্ট করে Start এ ক্লিক করতে হবে। পিতার এনআইডি এবং জন্ম নিবন্ধনধারী সন্তানের পাবলিক পরীক্ষার জনদ আপলোড করতে হবে। আপলোড হলে সাবমিট ক্লিক করুন ব্যাস আবেদন করা শেষ।
আবেদন শেষ হলে Success লেখা আসবে এবং নিচে আবেদন প্রিন্ট করুন নামে একটি অপশন আসবে। আবেদন প্রিন্ট করুন এ ক্লিক করে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিবেন কম্পিউটার হতে। যদি আপনি মোবাইল দিয়ে আবেদন করেন তবে সেইভ করতে হবে অথবা আবেদনপত্র নম্বর লিখে নিয়ে কম্পিউটারের দোকান হতে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
তারপরও যদি আপনার আবেদন করতে সমস্যা হয় তবে আপনি ভিভিও দেখে নিন। যদি ভিডিও দেখেও আবেদন করতে না পারেন তবে আপনি alaminmia.tangail@gmail.com ঠিকানায় আপনার সন্তানের পাবলিক পরীক্ষার সনদ, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য ছবি তুলে পাঠান আমি আবেদন করে পিডিএফ কপি পাঠিয়ে দিব।
বিস্তারিত ভিডিওতে……….