বিটিভি ও বেতার স্বায়ত্তশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২০২৫ । বর্তমান জনবলের সরকারি সব সুবিধাদি অপরিবর্তিত থাকবে?
বর্তমান জনবলের মধ্যে রেডিও ও বিটিভিতে কেউ যদি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে না থাকতে চান, তাহলে তাদের অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণ করা হবে। যারা একীভূত সম্প্রচার সংস্থায় চাকরিতে থাকবেন, তাদের সরকারি চাকরির সব সুবিধাদি অপরিবর্তিত থাকবে। কেউ স্বেচ্ছায় চাকরির অবসায়ন চাইলে তিনি নিয়মানুযায়ী সমস্ত পাওনা পাবেন–বিটিভি ও বেতার স্বায়ত্তশাসন সুপারিশ ২০২৫
বেতারে স্বায়ত্তশাসন নিয়ে কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে? হ্যাঁ। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সহ ২ ঘন্টা ব্যাপী বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৯/০৬/২০২৫ তারিখে এটি বাস্তবায়নের জন্য সি আর আবরারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আয়োজিত দুই ঘণ্টাব্যাপী এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
বেতার কেন স্বায়ত্তশাসিত হবে? বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে গত সাড়ে তিন দশক ধরে যে জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে, সেকথা আগেই আলোচিত হয়েছে। সম্প্রচারমাধ্যম হিসাবে টেলিভিশন এবং বেতার এক ছাদের নিচে একটি সংঘবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের দুটি শাখা হিসাবে কাজ করলে উভয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার সর্বোত্তম ব্যবহারের দৃষ্টান্ত হচ্ছে বিবিসি এবং ডয়েচে ভেলে। এটি সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে সংবাদ ও সাময়িক প্রসঙ্গের অনুষ্ঠানমালার ক্ষেত্রে। ভিডিও ফরম্যাটে ধারণকৃত প্রতিবেদন/অনুষ্ঠানের অডিও ফরম্যাটকে আলাদা করা খুব কঠিন কিছু নয়। আবার বেতারের অনেক অনুষ্ঠানই এখন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচারের জন্য ভিডিও স্ট্রিমিং করা হয়।
পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ আর হবে না? না। বাংলাদেশ বেতারের ঢাকা ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো তা নিয়মিতভাবে করছে। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে সহযোগিতার (কোলাবরেশন) প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। তবে এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিটিভি এবং বেতার উভয়ের বার্তাকক্ষ মোটেও পেশাদার সাংবাদিকতার সঙ্গে পরিচিত নয়, বরং পুরোটাই সরকারি হ্যান্ডআউট, রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের খবর এবং উন্নয়ন বার্তা প্রচারে অভ্যস্ত । প্রধানত সরকারি তথ্য (সম্প্রচার) কর্মকর্তারা বার্তা বিভাগের নেতৃত্ব দেন এবং রিপোর্টার হিসাবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ একেবারেই থাকে না। বিপরীতে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি ও দুর্বলতা সত্ত্বেও একটি পেশাদার বার্তাকক্ষ রয়েছে। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও দলীয়করণের কারণে সংস্থাটি আজ পর্যন্ত একটি আদর্শ বার্তা সংস্থায় পরিণত হতে পারেনি।
সরকারি মালিকানায় থাকবে না? প্রথম প্রেস কমিশনের রিপোর্টে সরকারের মালিকানায় কোনো বার্তা সংস্থা থাকা উচিত নয় বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বের বহু দেশেই কোনো রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নেই। প্রথম প্রেস কমিশনের ওই রিপোর্টের ৪০ বছর পরও প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়নি, বরং তা শুধু যে দল ক্ষমতায় আসে, সেই দলের অনুগত সাংবাদিকদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক পরিসরেও এখন বার্তা সংস্থাগুলো আর প্রথাগত বার্তা সংস্থা নেই। তারা ভিডিও সাংবাদিকতা এবং যুদ্ধবিগ্রহ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো পরিস্থিতির মানবিক বিষয়গুলোয় বেশি মনোযোগী হয়েছে। বাসসেও ভিডিও সাংবাদিকতার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
মহাপরিচালক পদ থাকবে? হ্যাঁ। এই বাস্তবতায় কমিশন মনে করে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বাসসকে বিটিভি ও বেতারের নতুন সম্মিলিত প্রতিষ্ঠানের বার্তা বিভাগ হিসাবে একীভূত করাই হবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার। এই কেন্দ্রীয় বার্তা কক্ষের তৈরি খবর বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত হবে। বিটিভি, বেতার ও বাসসের সমন্বয়ে সুষ্ঠু নতুন প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা বা জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা নামকরণ করা যেতে পারে। এই নতুন প্রতিষ্ঠানের তিনটি বিভাগ থাকবে-টেলিভিশন, বেতার ও বার্তা বিভাগ। নতুন সম্প্রচার সংস্থায় বার্তা বিভাগ তার বর্তমান গ্রাহকদের প্রদত্ত সেবা অব্যাহত রাখবে। প্রতিটি বিভাগের প্রধান হিসাবে একজন করে পরিচালক থাকে এবং নতুন একীভূত সম্প্রচার সংস্থার প্রধান হবেন একজন মহাপরিচালক।
আত্তীকরণের মাধ্যমে অন্য দপ্তরে চলে যাওয়া যাবে / বিদ্যমান কর্মচারীগণ সরকারি নিয়মেই পেনশন পাবেন
বেতার টেলিভিশনের আয় আসবে কোত্থেকে? সরকার বর্তমানে যেভাবে অর্থায়ন করছে, ঠিক সেভাবেই এই নতুন প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা নিজস্ব আয়ের পথও বের করবে। সরকার টেলিভিশন সেটের বার্ষিক লাইসেন্স ফি পুনঃপ্রবর্তনের কথা বিবেচনা করতে পারে। এটি একটি স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পর্ষদের চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক এবং তার বেতন- ভাতা পর্ষদ ঠিক করবে। সদস্যগণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য সম্মানি পাবেন। এই পরিচালনা পর্ষদ জাতীয় সংসদের কাছে জবাবদিহি করবে।
Caption: Full Report Download pdf link
বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের গঠন: পরিচালনা পর্ষদ হবে ৯ সদস্যের। তাদের মধ্যে থাকবেন: সম্প্রচারমাধ্যমে পরিচালনা/নেতৃত্ব দেওয়া দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন;
- সাংবাদিকতায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন।
- শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিজগতে শীর্ষস্থানীয় একজন।
- শিক্ষাবিদ একজন।
- নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি একজন।
- একজন অর্থনীতিবিদ।
- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব/অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি।
- অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব/অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি ।
- বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থার মহাপরিচালক যিনি এই পর্ষদের সদস্য সচিব হিসেবে যুক্ত থাকবেন। সরকার মহাপরিচালক নিয়োগ দেবেন; কিন্তু তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে জবাবদিহি করবেন।
- সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী ও একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হবেন।
- এ সদস্যরাই তাদের মধ্যে থেকে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন / সভাপতি নির্বাচন করবেন।
- মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং সংস্থার মহাপরিচালক চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হবেন।
- এই পরিচালনা পর্যদই সম্পাদকীয় নীতিমালা ঠিক করবে। পর্ষদই আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অধিকারী
হবে। - পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা তিন বছরের জন্য মনোনীত হবেন। তবে একজন দুইবারের বেশি তার পদে থাকতে পারবেন না।
স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে সব সুবিধা পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ। পরিচালনা পর্ষদে মনোনয়নের জন্য একটি তিন সদস্যের বাছাই কমিটি হবে। একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক, বেসরকারি টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী এবং একজন শিক্ষাবিদ এই বাছাই কমিটির সদস্য হবেন। এ কমিটি পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন সদস্যের বিপরীতে ১৮ জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করবে। ওই প্রস্তাবনা থেকে সরকার পরিচালনা পর্ষদের জন্য ৬ জন সদস্য মনোনীত করবে। পরিচালনা পর্ষদ নতুন সংস্থার নিয়োগবিধি এবং নীতিমালা প্রণয়ন করবে। বর্তমান জনবলের মধ্যে রেডিও ও বিটিভিতে কেউ যদি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে না থাকতে চান, তাহলে তাদের অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণ করা হবে। যারা একীভূত সম্প্রচার সংস্থায় চাকরিতে থাকবেন, তাদের সরকারি চাকরির সব সুবিধাদি অপরিবর্তিত থাকবে। কেউ স্বেচ্ছায় চাকরির অবসায়ন চাইলে তিনি নিয়মানুযায়ী সমস্ত পাওনা পাবেন।
নতুন একীভূত সম্প্রচার সংস্থা গঠনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের আশু করণীয়:
নতুন একীভূত সম্প্রচার সংস্থার জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি; | সম্প্রচার সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ গঠনের জন্য বাছাই কমিটি গঠন; | বাছাই কমিটির সুপারিশের আলোকে নতুন একীভূত সংস্থার স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ গঠন; |
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অধীনে চাকরি | অব্যাহত রাখা বা সরকারের অন্য কোনো দপ্তরে আত্তীকরণের সুযোগ দেওয়া; | একীভূত নতুন সম্প্রচার সংস্থার অবকাঠামোর আধুনিকায়নে এককালীন বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা। |
সাধারণ পাবলিক হবে গনমাধ্যমে মালিক? – বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের মালিকানার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং একক মালিকানা ও একাধিক গণমাধ্যমের মালিকানা অর্জনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণের বিষয়গুলোয় সংস্কার শুরু হয়েছে। এমনকি দর্শক বা পাঠকের কত শতাংশ একটি গণমাধ্যমের গ্রাহক/ ভোক্তা, এর ভিত্তিতেও সেই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রকল্পের অনুমোদন বা আবেদন প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। একক মালিকানার পরিবর্তে মালিকানা বিস্তৃত (diffusion of ownership) করার প্রয়োজনীয়তার কথা আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন কমিশন তার প্রতিবেদনে বলেছিল । ইন্দোনেশিয়ায় গণমাধ্যম চালু করার অধিকার দেশটির যে কোনো নাগরিকের রয়েছে; কিন্তু সেই গণমাধ্যমকে করপোরেশন হিসাবে কাজ করতে হয়, যার অর্থ হচ্ছে তা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হবে, যাতে সাধারণ মানুষও শেয়ার ধারণ করতে পারবে। একইসঙ্গে দেশটির মিডিয়া অ্যাক্টে সাংবাদিক-কর্মচারীদের শেয়ার দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বেও অধিকাংশ বড় গণমাধ্যম কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির কারণে কোম্পানির উদ্যোক্তা বা ব্যবস্থাপকদের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে অন্তত জবাবদিহি করতে হয়।
প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণও মালিক হবে? তথ্যের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাস বা আস্থার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা জনগণের আমানতের সঙ্গে তুলনীয়। অথচ ব্যাংকের আমানতকে জনগণের আমানত বিবেচনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হলেও আমাদের দেশে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তেমনটি করা হয়নি। ব্যাংকিং খাতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক পারিবারিকভাবে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারধারণ করতে পারে না এবং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে একই সময়ে পরিবারের তিনজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারেন না। কিন্তু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে তাই পরিবর্তন প্রয়োজন ।
কমিশন প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বৃহৎ মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সমীচীন মনে করছে। উদ্যোক্তা পরিচালক ও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেয়ার ধারণের সীমা ২৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত করা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে শেয়ারবণ্টন বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। কর্মীদের শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ শতাংশেই সীমিত রাখতে হবে, যাতে উদ্যোক্তারা কর্মীদের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন। একই কোম্পানি/গোষ্ঠী/ব্যক্তি/পরিবার/উদ্যোক্তা যাতে একই সঙ্গে একাধিক মাধ্যমের মালিক হতে না পারেন, সেজন্য বিশ্বের বহুদেশে ক্রস-ওনারশিপ (টেলিভিশনের মালিক সংবাদপত্রের মালিক হতে পারেন না, বা সংবাদপত্রের মালিক টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক হতে পারেন না) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এটি আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্রিটেনেও কাছাকাছি ধরনের এক আইনে টেলিভিশনের মালিক কোনো স্থানীয় পত্রিকায় ২০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারেন না। ভারতে এ ধরনের একটি বিল পার্লামেন্টে বিতর্কের অপেক্ষায় আছে।
হবে হবে সাহিত্য শাসিত কেন হয় না ভাই দয়া করে জানাবেন বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার অফিস বিলুপ্ত করে দিলেই ভালো হয় ভাইয়া