আয়কর । ভ্যাট । আবগারি শুল্ক

E-TIN Certificate Download bd । মাত্র ৫ মিনিটে একটি E-TIN সার্টিফিকেট নিয়ে নিন

টিআইএন নিবন্ধন সম্পর্কে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই। আর তাই কঠিন মনে করে আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকি। কিন্তু ই-টিন নিবন্ধন অত্যন্ত সহজ। জেনে নিন কিভাবে করবেন এই কাজটি। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর যাকে আমরা TIN (টিআইএন) বলি। সেই টিন নিতে এখন আর কোন ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে না। এটি সহজতর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালু করেছে ই-টিআইএন ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই এখন সব কাজ হয়ে যাবে মুহূর্তেই। 

যেভাবে অনলাইনে রেজিষ্টেশন করবেন:


প্রথমেই আপনাকে এই লিংকে ক্লিক করতে হবে। এরপর যে পেইজ চালু হবে সেখানে ইউজার নাম, পাসওয়ার্ড, ইমেইল আইডি, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হবে। তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর ক্যাপচার দিতে হবে। সব পুরা হল তারপর রেজিষ্টেশন বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আপনার মুঠোফোনে একটা অ্যাকটিভিশন কোড চলে আসবে। এবার অনলাইনে সেই কোড লিখে দিন। এখন লগ-ইন করে টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করুন।

করদাতার ধরণ নির্ধারণ:

অপশন ‘এ’ হতে করদাতার ধরণ নির্বাচন করত হবে। এই অপশনটিতে ৫টি অপশন দেওয়া রয়েছে। বাংলাদেশ করদাতা (Individual -> Bangladeshi Resident): যে সকল করদাতা বাংলাদেশী, যাদের ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। এছাড়া যাদের আয়ের প্রধান উৎস ব্যক্তিগত ব্যবস্থা, বেতন, পেশাগত, বাড়িভাড়া ইত্যাদি তাদেরকে এই অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। অপরদিকে ‘বি’ অপশনটি হতে একজন করদাতা ‘major অথবা ‘minor’ নির্বাচন করতে পারবেন। যেসকল করদাতার বয়স ১৮ বছরের বেশি যেসকল করদাতা ‘major’ আর যে সব করদাতার বয়স ১৮ বছরের কম তাদের ‘minor’ অপশনে ক্লিক করে নির্বাচন করতে হবে।

নিবন্ধনের ধরন:

এই অপশন হতে একজন করদাতা কি ধরনের রেজিষ্টেশন করবে তা নির্বাচন করতে হবে। এখানে অবশ্য দুইটি অপশন রয়েছে এক নতুন রেজিষ্টেশন ও দুই পুরনায় রেজিষ্টেশন।

কিভাবে করবেন পুনরায় রেজিষ্টেশন:


যে সকল করদাতা বর্তমানে ১০ ডিজিটের টিআইএন এ রয়েছেন সেকল করদাতা অনলাইনে ১২ ডিজিটের টিআইএন নিতে হলে তাদেরকে অবশ্যই ‘Re-Registration’ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

নতুন রেজিষ্টেশন কিভাবে করবেন:


যে সকল করদাতার পুরাতন কোন টিআইএন নেই তাদের অনলাইনে ১২ ডিজিটের টিআইএন নিতে হলে তাদেরকে অবশ্যই ‘new Registration’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

আয়ের প্রধান উৎস:


এই অপশনটিতে একজন করদাতা তার আয়ের প্রধান অংশনটি নির্বাচন করতে পারবেন। এতে ৪টি অপশন রয়েছে। সেবা: যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস বেতন। তাদেরকে ‘service’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পেশা: যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস পেশাগত যেমন আইনজীবি, ডাক্তার, প্রকৌশলী সে সকল কলদাতাকে ‘profession’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। ব্যবসা: যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা সেসকল করদাতা ‘business’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। অন্যান্য: সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস সেবা, পেশা কিংবা ব্যবসা কোনটাই নয় তাদের ক্ষেত্রে ‘other’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। ফর্মের এই অপশনটগুলো হতেই সঠিক আয়ের উৎসটি নির্বাচন করতে হবে। এটি নির্বাচন করলে ‘Service Location and Type of Employer’ এই দুইটি অপশন চলে আসবে। কর্মক্ষেত্র: ‘Service Location’ অপশনটিতে দেশের সবকটি জেলা অর্থাৎ ৬৪টি জেলার নাম লিস্ট আকারে পাওয়া যাবে। সেখান হতে করদাতার কর্মক্ষেত্রের স্থানটি নির্বাচন করে দিতে হবে।কর্মের ধরণ: ‘Employer Type’ অপশনটি হতে করদাতার কাজের ধরণ নিধারণ করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ ব্যাংকে কাজ করলে ‘bank’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। তারপর ‘Go to Next’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

সাধারণ তথ্য যেগুলো জানা দরকার:

এই অপশনটিতে ঢোকার পর করদাতার সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন করদাতার নাম, জাতীয় পরিচিয় নম্বর, করদাতার জন্ম তারিখ ইত্যাদি ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো দিতে হবে অবশ্যই করদাতার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী।

বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য:

এই অংশে একজন করদাতার বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ও অন্যকোন ঠিকানা চাইলে তা সঠিকভাবে দিতে হবে। এক্ষেত্রে করদাতাকে অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা এবং জেলার নাম দিতে হবে। তবে করদাতা ইচ্ছে করলে থানার নাম এবং পোস্ট কোডও দিতে পারবেন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তাহলে শুধু বর্তমান ঠিকানা দিলেই হবে। সেক্ষেত্রে ‘same as current address’ চেক বক্সে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। তবে করদাতা চাইলে অফিস অথবা অন্য যে কোন ঠিকানা দিতে পারবেন। ‘Address Information বা ঠিকানার তথ্য প্রদান করা হলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য ‘go to next’ বাটনে ক্লিক করুন।

ইতিকথা:

একজন করদাতা যে সকল তথ্যগুলো পূরণ করেছেন সেগুলো সঠিক রয়েছে কিনা তা এই অপশনে দেখা যাবে। চাইলে যে কোন তথ্য পরিবর্তনও করতে পারবেন। কোন তথ্য ভুল দিয়ে ফেললে তা ঠিক করার জন্য ‘back previous’ বাটনটি ক্লিক করতে হবে। সব হয়ে গেলে এরপর ‘submit application’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে টিআইএন নম্বর ও সাটিফিকেট তৈরি হবে। সব শেষ হলে টিআইএন সার্টিফিকেট দেখতে ‘view certificate’ বাটনে ক্লিক করুন। তখন টিআইএন সার্টিফিকেট দেখতে পাবেন।

চাইলে আপনি এটি প্রিন্ট করে নিতে পারেন অনলাইন থেকেই অথবা ই-মেইলে সেন্ট করতে পারেন অথবা আপনি ডাউনলোড করে কম্পিউটারে সেভ করে নিতে পারে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

আসুন একটি ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে দেখে নিই কিভাবে একটি টিআইএন রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

2 thoughts on “E-TIN Certificate Download bd । মাত্র ৫ মিনিটে একটি E-TIN সার্টিফিকেট নিয়ে নিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *