ঈদ বোনাস I নববর্ষ । দূর্গাপূজা

EID Bonus Bangladesh । উৎসব ভাতা সম্পর্কে বেতন ভাতাদি আদেশ, ২০১৫ এর বিধান

অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ নং-অম/অবি(বাস্ত)-৪/এফবি-১২/৮৬/২৯, তারিখ ৩ জুলাই ১৯৮৮ ও সরকার কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিধানাবলী অনুসারে বার্ষিক উৎসব ভাতা প্রদেয় হইবে।

এই ভাতা একবার উত্তোলন করা হইলে পরবর্তীকালে বেতন নির্ধারণ জনিত (Pay Fixation) কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী কোন বকেয়া প্রাপ্য হইবে না।

অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নং-অম/অবি/বিধি-১/চা:বি-৩/২০০৪/৯৯, তারিখ: ১০-০৩-১৪১৫ বঙ্গাব্দ/২৪-০৬-২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ অনুযায়ী অবসরভোগী আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীগণের নীট পেনশনের সমপরিমাণ হারে বৎসরে ২টি উৎসব ভাতা বলবৎ থাকিবে। (অনুচ্ছেদ-১৯)

১০০% পেনশন সমর্পণকারীগণ, ১০০% পেনশন সমর্পণ না করিলে যে পরিমাণ মাসিক নীট পেনশন প্রাপ্য হইতেন উক্ত পরিমাণ, প্রতি অর্থ বৎসরে দুইটি উৎসব ভাতা হিসাবে প্রাপ্য হইবেন; মাসিক নীট পেনশনপ্রাপ্ত অবসরভোগীদের নীট পেনশনের হার যে প্রক্রিয়ায় বৃদ্ধি করা হয় অনুরূপভাবে ১০০% পেনশন সমর্পণকারীদের ক্ষেত্রে শুধু উৎসবভাতা প্রাপ্তির জন্য নীট পেনশনের হার বৃদ্ধি পাইবে, তবে এই ক্ষেত্রে ১০০% পেনশন সমর্পণকারীগণ কোন বকেয়া প্রাপ্য হইবেন না।

উৎসব ভাতা সম্পর্কে বেতন ভাতাদি আদেশ, ২০১৫ এর বিধান: ডাউনলোড

ঈদ বোনাস পাওয়ার বিধান কি?

ঈদে বোনাস পাওয়ার বিধান হলো, কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীর যদি সেই প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছর চাকরির মেয়াদ থাকে, তাহলে তারা বোনাস পাওয়ার যোগ্য। সরকারি বিধি অনুসারে, বোনাস বা উৎসব ভাতার পরিমাণ হলো পূর্ববর্তী মাসের মূল বেতনের সমান। ঈদ বোনাস পাওয়ার জন্য, একজন কর্মচারীকে একই প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছর একটানা চাকরি করতে হবে। বোনাসের পরিমাণ সাধারণত পূর্ববর্তী মাসের মূল বেতনের সমান হয়ে থাকে। ঈদ বোনাস দেয়ার বিধান শ্রম আইন ও এর ভিত্তিতে প্রণীত শ্রম বিধিমালায় উল্লেখ করা আছে। বোনাস হিসাব করার সময় বেতনের সাথে অন্যান্য ভাতা (যেমন: বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা) যোগ করা হয় না, শুধুমাত্র মূল বেতন হিসাব করা হয়। কোনো কর্মী যদি এক বছর চাকুরি পূর্ণ করে তবে সে বছরে দুটি উৎসব ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবে। কেউ যদি বোনাস বা উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে সে শ্রম আদালতে প্রতিকার চাইতে পারে।

সরকারি কর্মচারী যখনই যোগদান করুন না কেন উৎসব বোনাস পাবে?

হ্যাঁ, সরকারি কর্মচারী যদি উৎসবের (যেমন, ঈদ) আগে বা পরে, যে কোনো তারিখে যোগদান করে, তবে সে উৎসব ভাতা পাওয়ার যোগ্য। এই ভাতা তার যোগদানের মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ হবে। যোগদানের তারিখের প্রভাব নেই: সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুসারে, একজন নতুন কর্মচারী যদি উৎসবের মাসে বা তার আগের মাসে যোগ দেয়, তাহলে সে উৎসব ভাতা পাওয়ার যোগ্য। সরকারি কর্মচারী হিসাবে, যোগদানের তারিখের উপর নির্ভর না করে, উৎসবের মাসে বা তার আগের মাসে যোগদানের ক্ষেত্রে মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা পাওয়া যায়। তবে, যদি কোনো কর্মচারী কোনো বিশেষ কারণে উৎসবের আগে বা পরে যোগ দেয়, সেক্ষেত্রেও যদি তার যোগদানের তারিখ উৎসবের মাসের মধ্যে বা তার আগের মাসে হয়, তবে সে উৎসব ভাতা পাওয়ার যোগ্য। অতএব, সরকারি কর্মচারীর যোগদানের তারিখ যাই হোক না কেন, যদি যোগদানের তারিখ উৎসবের মাসের মধ্যে বা তার আগের মাসে পড়ে, তবে সে উৎসব ভাতা পাওয়ার যোগ্য।

উৎসব ভাতা প্রদানের নিয়ম ও প্রাপ্তির বিধান।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *