অর্থ সংক্রান্ত সকল ধরনের আদেশ নির্দেশ ও পত্র অর্থমন্ত্রণালয় প্রকাশ করে থাকে-অনলাইনে বিক্ষিপত্তভাবে সব ধরনের পত্র খুজে নাও পেতে পারেন– এই পিডিএফটিতে আপনি প্রযোজ্য পরিপত্র খুজে পাবেন-Finance Ministry Letter 2025
অর্থমন্ত্রণালয় কি?–অর্থমন্ত্রণালয় হলো সরকারের এমন একটি বিভাগ, যা দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক বিষয়াদি পরিচালনা করে। এটি সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ, বাজেট প্রণয়ন, আর্থিক নীতি তৈরি এবং বাস্তবায়ন, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতি অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করা অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ। এই বাজেটে সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব, বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ, এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
অর্থমন্ত্রণালয় কি কাজ করে? দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য আর্থিক নীতি প্রণয়ন করে। এর মধ্যে মুদ্রা নীতি, রাজস্ব নীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিভিন্ন ধরনের কর ও শুল্কের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ করে। এই রাজস্ব সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। ব্যাংক, বীমা, এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
অর্থমন্ত্রণালয়ে কতগুলো বিভাগ আছে? বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রণালয় দেশের আর্থিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে, যেমন:অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, এই বিভাগগুলো তাদের নির্দিষ্ট কাজ ও দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে।
অর্থমন্ত্রণালয় চিঠি পত্র ২০২৫ / বিগত ২০১২ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল পত্র একসাথে পাবেন
পরিপত্র কি? পরিপত্র হলো কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রচারিত লিখিত নির্দেশিকা বা বিজ্ঞপ্তি, যা কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে এবং নির্দেশনা প্রদান করে। এটি একটি আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা প্রায়শই সংস্থার অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক অংশীদারদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় সাধনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
Caption: Finance Ministry Letter pdf All
অর্থমন্ত্রণালয়ের চিঠি পত্র ২০২৫ । ২০১২ সাল হতে ২০২৪ সাল হতে প্রকাশিত সকল পত্র এই পিডিএফ এ পাবেন
- আদেশ- “আদেশ” শব্দটির বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। সাধারণভাবে, আদেশ হলো কোনো কর্তৃত্বপূর্ণ ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশ বা হুকুম, যা অবশ্যই পালন করতে হয়। সরকার বা কোনো সরকারি সংস্থা কর্তৃক জারি করা নির্দেশ, যা জনগণের জন্য বা কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য। যেমন: সরকারি অফিস আদেশ, প্রশাসনিক আদেশ, ইত্যাদি।
- নির্দেশনা– “নির্দেশনা” শব্দটি বিভিন্ন প্রসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। সাধারণভাবে, নির্দেশনা বলতে বোঝায় কোনো কাজ কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে দেওয়া পথনির্দেশ বা উপদেশ।কোনো কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান বা উপদেশ। যেমন: “রান্নার নির্দেশনা”, “ব্যবহারের নির্দেশনা”।কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক জারি করা নিয়ম বা নীতি, যা অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। যেমন: “সরকারি নির্দেশনা”, “স্বাস্থ্য নির্দেশনা”।
- প্রজ্ঞাপন– প্রজ্ঞাপন হলো সরকার কর্তৃক জারি করা একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত আদেশ বা ঘোষণা, যা গেজেটে প্রকাশিত হয় এবং আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত কোনো নতুন আইন, বিধি, নীতি বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন একটি আনুষ্ঠানিক সরকারি দলিল, যা গেজেটে প্রকাশিত হয়। প্রজ্ঞাপন আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক এবং এর নির্দেশাবলী পালন করা আবশ্যক। প্রতিটি প্রজ্ঞাপন একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করে।
- অফিস স্মারক- অফিস স্মারক (Office Memorandum) হলো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের একটি লিখিত মাধ্যম। এটি সাধারণত কোনো তথ্য আদান-প্রদান, আলোচনা বা সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো আনুষ্ঠানিক সম্ভাষণ বা বিদায় সম্ভাষণ থাকে না। এতে বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট থাকে। এতে তারিখ, স্মারক নম্বর এবং প্রেরকের স্বাক্ষর থাকে।
সরকারি নীতিমালা কি?
নীতিমালা (Policy) হলো কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের গৃহীত সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা নির্দেশনার সমষ্টি, যা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রণয়ন করা হয়। এটি একটি কাঠামো তৈরি করে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কাজ সম্পাদনের পদ্ধতি নির্ধারণ করে। নীতিমালা একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রণয়ন করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে একটি নির্দিষ্ট দিকে পরিচালিত করে। নীতিমালা একটি কাঠামো তৈরি করে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কাজ সম্পাদনের পদ্ধতি নির্ধারণ করে। এটি প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যের জন্য প্রযোজ্য। নীতিমালায় সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দেশনা থাকে, যা প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যকে অনুসরণ করতে হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সরকারি নীতিমালা | ব্যবসায়িক নীতিমালা | শিক্ষা নীতিমালা |
স্বাস্থ্য নীতিমালা | ||