১লা জানুয়ারী, ১৯৯২ইং তারিখের পর যদি কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং তাহার ফলে তাঁহার সন্তান সংখ্যা ২ এর অধিক হয়, তবে তিনি সরকারের আওতাধীন বিদেশে চাকুরী/প্রেষণের জন্য বিবেচিত হইবেন না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
প্রশাসন-২ শাখা।
নং সম (প্রঃ-২)-১০৪/৮৯(অংশ-২)-৪, তারিখঃ ২০-৯-১৪০০বাং/৩-১-১৯৯৪ ইং
বিষয়: দুই এর অধিক সন্তানের জনক/জননী সরকারী কর্মচারীদের বিদেশে/প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা প্রসংগে।
নিম্নস্বাক্ষরকারী আদিষ্ট হইয়া সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১০-০৫-৮৭ইং তারিখের স্মারক নং সম (প্রঃ-২)-২/৮৬-২৩৬(১০০) এবং ১৮-১০-৯০ইং তারিখের সংশোধনী স্মারক নং সম(প্রঃ-২)-১০৪/৮৯(অংশ-২)-৮০৭(৩৫০) এ প্রদত্ত সিদ্ধান- স্পষ্টীকরণের প্রয়াসে নিম্নরূপভাবে প্রতিস্থাপন করা হইল:-
(ক) ১লা জানুয়ারী, ১৯৯২ইং তারিখের পর যদি কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং তাহার ফলে তাঁহার সন্তান সংখ্যা ২ এর অধিক হয়, তবে তিনি সরকারের আওতাধীন বিদেশে চাকুরী/প্রেষণের জন্য বিবেচিত হইবেন না।
(খ) উক্ত তারিখ অর্থাৎ ১লা জানুয়ারী, ১৯৯২ এর পর বিদেশে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/ কর্মচারীর জন্মগ্রহণকারী ২ এর অতিরিক্ত কোন সন্তান কে সরকার কর্তৃক যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা অথবা অন্য কোনও প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হইবে না এবং এই নীতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেলায়ও প্রযোজ্য হইবে।
(গ) যে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী কোন বৈদেশিক/আন-র্জাতিক সংস্থায় চাকুরী লাভ করিবেন তাহাদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না।
২। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাইতেছে।
এ, এম, এম ফরহাদ
উপ-সচিব (প্রশাসন-২)।
চিঠি-২
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
প্রশাসন-২ শাখা।
নং সম (প্রঃ-২)-১০৪/৮৯(অংশ-২)-৮০৭(৩৫০), তারিখঃ ০২রা কার্তিক ১৩৯৭/১৮ অক্টোবর ১৯৯০
স্মারকলিপি
বিষয়: দুই এর অধিক সন-ানের জনক/জননী কর্মচারীদের বিদেশে চাকুরী/প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান- পুনর্বিবেচনা।
নিম্নস্বাক্ষরকারী আদিষ্ট হইয়া সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ২৬-০১-১৩৯৪বাংলা (১০-৫-১৯৮৭ইং) তারিখের সম (প্রঃ-২)-২/৮৬-২৩৬(১০০)নম্বর স্মারকলিপির (অনুলিপি সংযুক্ত) ১ নম্বর অনুচ্ছেদের (ক) উপানুচ্ছেদে উল্লিখিত সিদ্ধান্তের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া জানাইতেছি যে, সরকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করিয়া উক্ত সিদ্ধান- নিম্নোক্ত ভাবে সংশোধন করিয়াছেন:-
(ক) ১লা জানুয়ারী, ১৯৯২ইং তারিখের পর যদি কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং তাহার ফলে তাঁহার সন-ান সংখ্যা ২ (দুই) এর বেশী হয়, তবে তিনি বিদেশে চাকুরী/প্রেষণের জন্য বিবেচিত হইবেন না।
২। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উপরোক্ত স্মারকের ১ নম্বর অনুচ্ছেদের (খ) ও (গ) উপানুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত যথারীতি অপরিবর্তিত থাকিবে।
৩। সরকারের উপরোক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ করা হইল।
মোঃ শামসুল ইসলাম
উপ-সচিব (প্রশাসন-১)।
চিঠি-৩
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
প্রশাসন-২ শাখা।
স্মারকলিপি
নং সম (প্রঃ-২)-২/৮৬-২৩৬/(১০০), তারিখঃ ২৬ শে বৈশাখ ১৩৯৪/১০ মে ১৯৮৭
বিষয়: দুই এর অধিক সন-ানের জনক/জননী কর্মচারীদের বিদেশস’ বাংলাদেশ মিশনসমূহে/ আন্তাজার্তিক সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা।
নিম্নস্বাক্ষরকারী আদিষ্ট হইয়া সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-সম(এডি-২)-২/৮৫(অংশ)-৩৩৯(১০০), তারিখ ৮-৯-৮৫ এর “ক” অনুচ্ছেদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানাইতেছি যে, সরকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করিয়া এই মর্মে সিদ্ধান- গ্রহণ করিয়াছেন যে :-
(ক) ১-৭-১৯৮৮ তারিখের পর যদি কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং তাহার ফলে তাঁহার জীবিত সন্তান সংখ্যা ২ এর বেশী হয় তবে তিনি বিদেশে চাকুরী/প্রেষণের জন্য বিবেচিত হইবেন না।
(খ) উক্ত তারিখের পর জন্মগ্রহণকারী দুইয়ের অধিক কোন সন্তানকে সরকার কর্তৃক যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা অথবা অন্য কোনও প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হইবে না এবং এই নীতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেলায়ও প্রযোজ্য হইবে।
(গ) যে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী কোন বৈদেশিক/আন-র্জাতিক সংস্থায় চাকুরী লাভ করিবেন তাহাদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না।
২। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাইতেছে।
ধীরাজ কুমার নাথ
উপ-সচিব (প্রশাসন-২)
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা প্রশাসন শাখা বা হিসাব শাখায় কাজ করেন তারাই কেবল চাকরি সম্পর্কিত বিধি বিধানগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন। অবশিষ্ট ৮০% কর্মকর্তা/ কর্মচারীই সরকারি চাকরির বিধানাবলী, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, হালনাগাদ পেনশন রুলস, ভ্রমণ বিধি ও প্রাপ্যতা , উৎসব ভাতার প্রাপ্যতা, সরকারি কর্মচারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা বা চিকিৎসা শেষে ব্যয় উত্তোলন, বিভিন্ন ভাতাদির প্রাপ্যতা, বিভিন্ন ধরনের অগ্রিম সুবিধা গ্রহণ, নিয়োগ ও বদলি নীতিমালা, বিভিন্ন ধরনের ছুটি কিভাবে নিতে হয়, বাসা বরাদ্দ বা বাড়ি ভাড়া প্রাপ্যতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা বা রেশন সুবিধা ইত্যাদি সর্ম্পকে ভাল ধারনা রাখেন না। এই ওয়েবসাইটটিতে উপরোক্ত বিষয়গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ কর্মচারী যাতে সহজেই ব্যাপার গুলো বুঝতে পারে এবং যদি কোন বিধি বুঝতে সমস্যা হয় তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ যদি কোন বিধি বা নীতিমালা বুঝতে অসমর্থ হয় তবে আমাদের ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ এবং ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। ,
কিছু কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কাছে সরকারি চাকরির বিধি বিধানের কিছু বইও হয়তো সংগ্রহে আছে কিন্তু তা মূলত সংগ্রহেই মাত্র বের করে পড়ার সময় বা সুযোগ নেই। কারও সময় বা সুযোগ থাকলেও বের করে পড়া পর্যন্ত হয় না। আবার দেখা যায় যে, অসংখ্য বইয়ের মধ্যে একটি সামারি বই চাকরির বিধানাবলীই শুধুমাত্র সংগ্রহ রয়েছে। সরকারি চাকরি সংক্রান্ত অসংখ্য বই রয়েছে যেগুলো আবার প্রতি বছরই আপডেট হয়ে থাকে আপনি যদি শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তবে আপনি সকল আপডেট তথ্যই পেয়ে যাবেন। ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।