সরকারি চাকরিতে প্রথম যোগদানের সময় অঙ্গীকার নামা দাখিল করতে হয়। অনেকেইরই অজানা কিভাবে একটি অঙ্গীকার নামা লিখতে হবে। এ অঙ্গীকার নামা সাধারণত যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান সম্পর্কিত হয়ে থাকে। তাই সকল তথ্য সাবধানে সন্নিবেশিত করতে হয়। ১০০ টাকা করে মোট ৩টি তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এটি দাখিল করতে হয়-Job Agreement Letter Bangla Word File 2025

অঙ্গীকারনামা

(যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান সম্পর্কিত)

আমি আলেক চান, পিতা- জামাল হোসেন, মাতা- ফুলবানু বেগম, বর্তমান ঠিকানা: ফুলপুর, বাসাইল, টাঙ্গাইল ও স্থায়ী ঠিকানা-বাসা ও সড়ক- ৪২ গ্রাম- ফুলপুর, ডাকঘর: বাসাইল-১৯০৩, উপজেলা: বাসাইল, জেলা: টাঙ্গাইল, জাতীয়তা-জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ বেতার , সদর দপ্তর, ঢাকার গত ২৭-০৯-২০১৯ খ্রি: তারিখের ১৫.৫৩.০০০০.০১৩.১১.০৫৯.১৯.১২২২ নম্বর অফিস আদেশের আলোকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী টাকা ১০২০০-২৪৬৮০/- বেতন স্কেলে (১৪তম গ্রেড) বাংলাদেশ বেতারের রাজস্ব খাতভূক্ত “স্টোর কিপার” পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হই। আমার রোল নং-৩০০০২২৫।

ক্রম/২ 

-২-

আমি এই মর্মে অঙ্গীকার নামা দাখিল করিতেছি যে, আমার বিবাহের সময় কোন প্রকার যৌতুক নেব না বা দাবী করিব না এবং আগামীতে আমার পরিবারের সদস্যদের বিবাহে যৌতুক নিব না বা দিব না। যদি আমি কোন প্রকার যৌতুক আদান-প্রদানের সাথে জড়িত থাকি বা সহযোগিতা করি, তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিধি মোতাবেক যে কোন শাস্তি গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিব।

ক্রম/৩

-৩-

আমি আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, উপরোক্ত বর্ণনা আমার জ্ঞানমতে সত্য এবং স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য শরীরে ও সুস্থ্য মস্তিস্কে উপরোক্ত বিবরণ পড়িয়া নিম্নে স্বাক্ষর করিলাম।

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর ও ঠিকানা:

০১।

০২।

আলেকচান
পদবী: স্টোর কিপার
রাজস্ব খাতভূক্ত
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,ঢাকা।

প্রথম চাকরিতে যোগদানের অঙ্গীকার নামা লিখবেন যেভাবে MS word File: ডাউনলোড

সরকারি চাকরিতে অঙ্গীকারনামা দিতে হয় কেন?

সরকারি চাকরিতে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র দাখিল করার মূল কারণ হলো চাকরিজীবীর কিছু বাধ্যবাধকতা এবং শর্তাবলী মেনে চলার অঙ্গীকার করা। এটি একটি আনুষ্ঠানিক দলিল, যেখানে চাকরিজীবী সরকারের নিয়ম-কানুন এবং শর্তাবলী মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন। অঙ্গীকারনামা একটি আইনগতভাবে প্রয়োগযোগ্য চুক্তি, যেখানে চাকরিজীবীর অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করা হয়। অঙ্গীকারনামা চাকরিজীবীকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে এবং তা পালন করার জন্য উৎসাহিত করে। অঙ্গীকারনামা সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অসদাচরণ বা নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা হ্রাস করে। অঙ্গীকারনামা চাকরিজীবীদেরকে সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং সংরক্ষণের জন্য সতর্ক করে। অঙ্গীকারনামা সরকারি চাকরিজীবীদেরকে সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করে এবং এটি সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে একটি নিয়মনিষ্ঠ কাজের সংস্কৃতি তৈরি করতে সাহায্য করে। সাধারণত, সরকারি চাকরিতে যোগদানের সময় অঙ্গীকারনামা দাখিল করা হয়, যেখানে চাকরিজীবী বিভিন্ন শর্তাবলী মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন, যেমন- যৌতুক গ্রহণ না করা, দুর্নীতি না করা, ইত্যাদি. এই অঙ্গীকারনামা সরকারি চাকরিজীবীদেরকে তাদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ এবং নিয়মনিষ্ঠ করতে সাহায্য করে।