পোশাক শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের খসড়া গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ১৪ দিন পর কোন আপত্তি বা লিখিত দাবী না থাকায় চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হল – গার্মেন্টস শ্রমিকগণের জন্য মাসিক নিম্নতম মজুরী হার ২০২৪
শিল্প সেক্টরের জন্য কোন তফসিল প্রযোজ্য? শিল্প সেক্টরের তফসিল ‘খ’ এ উল্লিখিত কর্মচারীগণ বর্তমানে যে গ্রেডে কর্মরত আছেন তাহাদিগকে সেই গ্রেডেই স্থলাভিষিক্ত করিয়া এই মজুরী কাঠামোর সহিত সমন্বয়পূর্বক তাহাদের মজুরী নির্ধারণ করিতে হইবে। কোনো কর্মচারীকে নিম্ন গ্রেডভুক্ত করা যাইবে না। পূর্বতন গেজেটের তফসিল ‘ক’ এর গ্রেড-১: প্যাটার্ন মাস্টার, চীফ কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, চীফ কাটিং মাস্টার/ কাটিং চীফ, চীফ মেকানিক এবং গ্রেড-২: মেকানিক/ ইলেকট্রিশিয়ান, কাটিং মাস্টার পদসমূহ কর্মকর্তার পর্যায় পড়ে এবং তাহারা নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা কয়েকগুণ বেশি মজুরী পেয়ে থাকে বিধায় বর্তমান গেজেট থেকে তাহাদের গ্রেডসহ পদসমূহ বাদ দেওয়া হইলো।
সর্বনিম্ন গ্রেড কোনটি? বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২(৬৫) এর সংজ্ঞা অনুসারে যদি উল্লিখিত পদসমূহে কর্মরত ব্যক্তিগণ প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত না হন, তাহা হইলে তাহাদিগকে শ্রমিক হিসেবে গণ্য করা হইবে এবং তাহাদের মজুরী কোনোক্রমেই তফসিল ‘খ” এর বর্তমান গ্রেড-১ এর মজুরী অপেক্ষা কম হইবে না। এই তফসিলের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারির পর হইতে উক্ত শিল্প সেক্টরের মালিকগণ তফসিলে উল্লিখিত শ্রেণি বিভাগ ও পদবিন্যাস অনুযায়ী শ্রমিক- কর্মচারীকে যথাযথ গ্রেডে সন্নিবেশিত করিয়া মজুরী রেজিস্টারভুক্তকরত মজুরী স্লিপ প্রদান করিবেন।
শ্রমিক বলতে কাদের বুঝায়? তফসিল-ক ও তফসিল-খ এ উল্লিখিত মজুরী সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীগণের মাসিক নিম্নতম মজুরী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা কম মজুরী প্রদান করা যাইবে না, তবে উক্ত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা অধিক হারে মজুরী প্রদত্ত হইয়া থাকিলে তাহা হ্রাস করা যাইবে না। নিয়োগকর্তা বা মালিকপক্ষ ইচ্ছা করিলে স্ব-উদ্যোগে বা এককভাবে বা যৌথ উদ্যোগে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কোনো শ্রমিক-কর্মচারী অথবা শ্রমিক- কর্মচারীগণকে অধিক হারে মজুরী প্রদান করিতে পারিবেন। উক্ত শিল্প সেক্টরে কোনো শ্রমিক ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োজিত হইয়া মজুরী প্রাপ্ত হইয়া থাকিলে উক্ত শ্রমিকও বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২(৬৫) অনুযায়ী ‘শ্রমিক’ বলিয়া গণ্য হইবেন। উক্ত শিল্প সেক্টরে কোনো শ্রমিকের ঠিকাদারের নিকট প্রাপ্য পাওনাদির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হইলে তাহার দায়দায়িত্ব মালিকপক্ষের উপর বর্তাইবে। ঠিকাদার সরকার কর্তৃক শ্রমিকের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা কোনোক্রমেই কম মজুরী প্রদান করিতে পারিবেন না ।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন গ্রেড তালিকা ২০২৪ । গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ২০২৩
প্রতি বছর কত শতাংশ বাড়বে? তফসিলে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরী ও বিভিন্ন ভাতাদি ছাড়াও শ্রমিক-কর্মচারীগণ কর্মরত প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য যে সকল অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা পাইয়া থাকেন তাহা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক বলবৎ ও অব্যাহত থাকিবে। এই তফসিলে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরী সমন্বয় করে ০১ (এক) বৎসর কর্মরত থাকার পর শ্রমিক-কর্মচারীগণের মূল মজুরীর ৫% হারে বাৎসরিক ভিত্তিতে মজুরী বৃদ্ধি পাইবে। পরবর্তী বৎসরে ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় মূল মজুরীর ৫% হারে বৃদ্ধি পাইবে। সোয়েটারসহ অন্যান্য ‘গার্মেন্টস’ শিল্প সেক্টরে ফুরন ভিত্তিক (Piece rate) মজুরীতে কর্মরত শ্রমিকগণও বাৎসরিক ভিত্তিতে মূল মজুরীর ৫% হারে মজুরী বৃদ্ধির সুবিধা পাইবেন ।
Caption: Garment Labour Monthly Rate
গার্মেন্টস শ্রমিকগণের জন্য মাসিক নিম্নতম মজুরী হার ২০২৩ কোন গ্রেডের সাকুল্য বেতন কত?
- গ্রেড-১ শ্রমিকের মোট বেতন ১৫০৩৫/-
- গ্রেড-২ শ্রমিকের মোট বেতন ১৪২৭৩/-
- গ্রেড-৩ শ্রমিকের মোট বেতন ১৩৫৫০/-
- গ্রেড-৪ শ্রমিকের মোট বেতন ১২৫০০/-
সকল সেক্টরের পোশাক শ্রমিকের জন্য কার্যকর?
হ্যাঁ। তফসিল-ক ও তফসিল-খ এ উল্লিখিত নিম্নতম মজুরী হার বাংলাদেশে অবস্থিত সকল এলাকার “গার্মেন্টস” শিল্প সেক্টরের জন্য প্রযোজ্য হইবে । তফসিল-ক ও তফসিল-খ উল্লিখিত পদের অতিরিক্ত কোনো পদ সংশ্লিষ্ট শিল্পে পূর্ব থেকে বিদ্যমান অথবা পরবর্তীতে সংযোজিত হইলে উহা যথাযথ শ্রেণিতে/গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে। উক্ত শিল্প সেক্টরের তফসিলে ‘ক’ এ উল্লিখিত শ্রমিকগণ বর্তমানে যে গ্রেডে কর্মরত আছেন তাহাদিগকে পূর্বতন গেজেটের গ্রেড- ৩, গ্রেড- ৪, গ্রেড- ৫ ও গ্রেড- ৭ এর স্থলে নতুন গেজেটে যথাক্রমে গ্রেড-১, গ্রেড-২, গ্রেড-৩ ও গ্রেড-৪ হিসাবে গণ্য করিয়া এই মজুরী কাঠামোর সহিত সমন্বয়পূর্বক তাহাদের মজুরী নির্ধারণ করিতে হইবে। সমন্বয় করার পরবর্তী ০১ (এক) বৎসর কর্মরত থাকার পর মূল মজুরীর ৫% হারে বাৎসরিক মজুরী বৃদ্ধি পাইবে। কোনো শ্রমিককে নিম্ন গ্রেডভুক্ত করা যাইবে না। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পূর্বতন গ্রেড-৬ বাদ দেওয়া হইলো এবং উক্ত গ্রেডের শ্রমিকগণকে নতুন গ্রেড-৩ এ স্থলাভিষিক্ত করিতে হইবে। সেইক্ষেত্রে “সাধারণ” পদবীসমূহ “জুনিয়র” পদবী হিসাবে উন্নীত হইবে।