বেতন । বাড়ি ভাড়া । অন্যান্য ভাতাদি

Govt. Circuit house Rent 2024। সার্কিট হাউজ/ রেষ্ট হাউসে যে কেউ কি ভাড়া দিয়ে থাকতে পারে?

সরকারি কর্মকর্তা ও আধা-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সার্কিট হাউস/ রেষ্ট হাউস ব্যবহারের জন্য ৫ (পাঁচ) টাকার পরিবর্তে দৈনিক সর্বসাকুল্যে ৮ (আট) টাকা হারে ও অন্যান্যদের কাছ থেকে দৈনিক সর্বসাকুল্যে ৩০ (ত্রিশ) টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হবে। এ নির্দেশ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের রেষ্ট হাউসের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সার্কিট হাউজে থাকার সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫০ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে-Govt. Circuit house Rent 2024

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

নং-সিডি/ডিএ/১(২৪)/৭৭/২৮৭/(৭০); তারিখ: ১৩ আগষ্ট, ১৯৭৯ ইং।

বিষয়: সার্কিট হাউজ/ রেষ্ট হাউস এ থাকার জন্য সংশোধিত ভাড়া।

অত্র বিভাগের ৪ জুলাই, ১৯৭৭ ইং সালের সিডি/ডিএ/১(২৪)/৭৭-২৩১ (৬৩) নং স্মারকের বরাতে জানানো যাচ্ছে যে, সার্কিট হাউস/রেষ্ট হাউস ২৪ ঘন্টা ব্যবহারের জন্য ০৫ (পাঁচ) টাকা হারে ভাড়া নেয়া হয়। তাতে সার্কিট হাউস/ রেষ্ট হাউস পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যে খরচ হয় তা আদায় হয় না। সরকারি কর্মকর্তা, আধা-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ও বেসরকারি ব্যক্তিগণ যখন সার্কিট হাউস/রেষ্ট হাউসে থাকেন তখন তাদের ব্যবহারের জন্য পরিস্কার বিছানার চাদর, তোয়ালে ও নূতণ সাবান দেয়া হয়।

উপরোক্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার এখন থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, সরকারি কর্মকর্তা ও আধা-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সার্কিট হাউস/ রেষ্ট হাউস ব্যবহারের জন্য ৫ (পাঁচ) টাকার পরিবর্তে দৈনিক সর্বসাকুল্যে ৮ (আট) টাকা হারে ও অন্যান্যদের কাছ থেকে দৈনিক সর্বসাকুল্যে ৩০ (ত্রিশ) টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হবে। এ নির্দেশ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের রেষ্ট হাউসের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে।

বলা বাহুল্য, ২৪ ঘন্টা বা তার কম সময়ের অবস্থানের জন্য পূর্ণ একদিনের ভাড়া আদায় করতে হবে।

জেলা পর্যায়ে অবস্থিত সার্কিট হাউসের কক্ষের ভাড়া/রেট সংশোধনপূর্বক পুনর্নিধারণ সংক্রান্ত । নতুন ভাড়া অনুযায়ী সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫০ টাকা ধরা হয়েছে

যে সকল ব্যক্তিবর্গকে সার্কিট হাউজের কক্ষবরাদ্দ দেওয়া হয়- সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দকে ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্ট এর ভিত্তিতে সার্কিট হাউজ কক্ষবরাদ্দ দেয়া হয় । এছাড়াও মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ সংসদ সদস্যবৃন্দ অর্থাৎ জেলার সকল ভিআইপি অতিথি সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন । অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে তাঁদের ব্যক্তিগত ভ্রমণে সার্কিট হাউজের কক্ষবরাদ্দের বিধান আছে। যে কেউ সার্কিট হাউজে অবস্থান করতে পারবে না। সার্কিট হাউজে অবস্থানের কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর বরাবরে বিস্তারিত জানিয়ে পত্রালাপ করতে হয়। সরকারী যে কোন কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাতিল করা যায়। এতে কোন আপত্তি গ্রহণ করা হয় না। সরকারি কাজে একজন কর্মচারীও অবস্থা রুম বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে সরকারি কর্মকর্তাগণই মূলত সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজের জন্য এটি ব্যবহার করে থাকে।

সার্কিট হাউজ/ রেষ্ট হাউস এ থাকার জন্য সংশোধিত ভাড়া: ডাউনলোডনিউ অর্ডার দেখুন

চাপাইতে সার্কিট হাউজ কোথায়?  চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমাকে 1984 সালে জেলায় উন্নীত করার পর এর কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় সংকটের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও প্রশাসনিক কাজ পরিদর্শনে আসা কর্মকর্তা ও ভিআইপিরা। এই সার্কিট হাউস নির্মাণের কাজ 06-10-196 খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং 10-06-1990 খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়। সার্কিট হাউসটি মূলত একটি দ্বিতল ভবন ছিল। পরে তা ৩য় তলায় সম্প্রসারিত করা হয়। এটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা সহ 1টি মিটিং রুম এবং 42 জনের জন্য 1টি ডাইনিং রুম, 04টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভিআইপি রুম 1 বেড এবং 2টি বেড সহ 6টি সাধারণ কক্ষ এবং 2টি অভ্যর্থনা কক্ষ রয়েছে।দ্বিতীয় তলায় কক্ষগুলির নাম বলুন: ভিআইপি-১ (পদ্মা), ভিআইপি-২ (মহানন্দা), অভ্যর্থনা কক্ষ (নবাব পছন্দ), কক্ষ-৩ (মল্লিকা), কক্ষ-৪ (হিমসাগর), কক্ষ-৫ (সূর্যপুরী) এবং কক্ষ-৬ (ফজলি) । তৃতীয় তলার কক্ষগুলোর নাম হলো: ভিআইপি-১ (পূর্ণভাব), ভিআইপি-২ (গৌরজিৎ), অভ্যর্থনা কক্ষ (বৈশাখী), কক্ষ-৩ (কহিতুর), কক্ষ-৪ (বৈভুলনী), কক্ষ-৫ (নীলেশ্বরী)। ) এবং রুম-6 (প্রেম-ই-ব্যস্ত)।

অভ্যর্থনা ঘর – গ্রীষ্মের স্বর্গ এবং খাবার ঘর – রাণীর পছন্দ । জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৭ এপ্রিল ২০১২ খ্রি. তারিখ 05.00.0000.115.18.010.12-291 (64)

সার্কিট হাউজে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কি থাকে? (ক) ভিআইপি কক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় স্যাটেলাইট সুবিধা সহ টেলিভিশন। (খ) সরকারি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সুবিধা। (গ) অর্ডার অনুযায়ী বিল পরিশোধ সাপেক্ষে খাবারের ব্যবস্থা।

চাপাইতে সার্কিট হাউজটি তৈরির উদ্দেশ্য কি? প্রথম সার্কিট হাউস কটেজটি 1954 সালে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে 24শে জানুয়ারী 2005 (11 মাঘ 1409 বিএস) ভিভিআইপি সার্কিট হাউসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর এবং 3রা সেপ্টেম্বর 2007 (19 ভাদ্র 1412 বিএস) ভিভিআইপি সার্কিট হাউসের উদ্বোধন করা হয়। . সিলেট সার্কিট হাউসটি সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর উত্তর তীরে, বিখ্যাত কুইন ব্রিজের ডান পাশে, দুটি মনোরম ভবন সহ 1.6 একর জমির উপর একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা: সড়ক, জল, রেল ও বিমান। থাকার ব্যবস্থা: সিলেট সার্কিট হাউস দুটি ভবন নিয়ে গঠিত। একটি নতুন ভবন এবং অন্যটি পুরাতন ভবন নামে পরিচিত।

নতুন ভবন: ভিভিআইপি সার্কিট হাউস ভবন

  • মোট কক্ষ সংখ্যা: 13টি
  • (A) VVIP স্যুট – 03 (AC)
  • 1. ভিভিআইপি স্যুট রুম নং 201, 301, 302
  • (বি) ভিভিআইপি অ্যাসোসিয়েট রুম – 01 (এসি) রুম নং 204
  • (C) VVIP ডাইনিং রুম-01 (AC) রুম নং-203
  • (D) ভিআইপি রুম – 06 (AC) ডাবল বেড – 3, সিঙ্গেল বেড – 5
  • 1. ভিআইপি রুম নং 205, 206, 206, 206
  • 2. ভিআইপি রুম নং 305, 306, 307, 307
  • (ঙ) কেন্দ্রীয় সম্মেলন কক্ষ – 01 (AC) ধারণক্ষমতা: সর্বোচ্চ 90 জন।
  • (F) মিনি কনফারেন্স রুম – 02 (AC) প্রতিটির ধারণক্ষমতা: 20 জন।
  • (ছ) সেন্ট্রাল ডাইনিং রুম – 01 (AC)।
  • • প্রতিটি রুমে টিভি অ্যাক্সেস আছে।
  • উন্নত মানের ব্যাক আপ জেনারেটর বৈশিষ্ট্য.
  • • কোন কম্পিউটার সুবিধা নেই।
  • ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
  • কোন ইনডোর আউটডোর সুবিধা নেই কিন্তু পায়ে হাঁটার মত সুবিধা আছে।
  • পুরাতন ভবন
  • মোট কক্ষের সংখ্যা 19টি
  • (A) VIP রুম – 04 (AC)। ডাবল বেড-০২, সিঙ্গেল বেড-০২। নাম- সুরমা, কুশিয়ারা, শাড়ি, পিয়াইন।
  • (খ) স্টোর রুম-01। রুম নং 104
    (গ) ডাবল বেড নন এসি 14. রুম নং 101, 102, 103, 105, 106, 108, 201, 202, 203, 204, 303, 304, 305, 306।

অন্যান্য লাভ কি? (ক) ভিআইপি কক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় স্যাটেলাইট সুবিধা সহ টেলিভিশন। (খ) সরকারি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সুবিধা। (গ) অর্ডার অনুযায়ী বিল পরিশোধ সাপেক্ষে খাবারের ব্যবস্থা।

যখন ইচ্ছা তখনই কি রুম বরাদ্দ পাওয়া যায়? না। ন্যূনতম তিনদিন পূর্বে ডেপুটি জেলা প্রশাসকের নিকট হতে আবেদন করে মঞ্জুরী নিতে হয়। জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থাধীনে যদি কোন সংস্থার/বিভাগের রেষ্টহাউস কোন সরকারি কর্মকর্তা/ব্যক্তি বর্গকে বরাদ্দ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর নিকট হতে সার্কিট হাউসের জন্য প্রযোজ্য হারে ভাড়া আদায় করতে হবে। এক শয্যা বিশিষ্ট কক্ষের অভাবে কোন কর্মকর্তা/কক্ষ ব্যবহারকারীকে যদি দুই শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে এক কক্ষের জন্য প্রযোজ্য হারে ভাড়া আদায় করতে হবে। বিচারপতি, সংসদ সদস্য গণের জন্য সরকারীকর্মকর্তা/অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য আরোপিত ভাড়ার হার প্রযোজ্য হবে।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *