আপনি যদি দীর্ঘদীন বিনা অনুমতিতে কর্মে অনুপস্থিত থাকেন তবে কর্তৃপক্ষ ৩য় বারের মত কৈফিয়ত তলবের জন্য পত্র দিবে- স্বশরীরে শুনানীর জন্যও কর্তৃপক্ষ সুযোগ দিবে–Govt. Departmental Action for Absence
বিনা বেতনে ছুটি কত দিন নেয়া যায়? – সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৮ রকমের ছুটি রয়েছে। প্রয়োজন ও অবস্থার প্রেক্ষিতে ধরণ নির্বাচন করতে হবে। ২/১ দিন ছুটি দরকার হলে নৈমিত্তিক ছুটি নিবেন। ১০-১৫ দিন দরকার হলে অর্জিত ছুটি নিবেন। যদি প্রাপ্যতা বিহীন ছুটিও শেষ হয় তবে আপনি বিনা বেতনে ছুটি নিতে পারেন। পড়াশুনা বা চিকিৎসার জন্য সাধারণত ০৩ মাস (৯০দিন) বিনা বেতনে নেয়া যায়। এ ছুটি সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত নেয়া যায়।
চিকিৎসার জন্য নিলে কি মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগে? হ্যাঁ। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অস্থায়ী সরকারী কর্মচারীকে সর্বাধিক ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি প্রদান করা যাইবে । (বি) যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত একজন অস্থায়ী সরকারী কর্মচারীকে এককালীন সর্বাধিক ১২ (বার) মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি প্রদান করা যাইবে, তবে শর্ত থাকে যে— যে পদ হইতে সরকারী কর্মচারী ছুটিতে যাইতেছেন, ঐ পদটি তাঁহার কর্মে প্রত্যাবর্তন অবধি বহাল থাকিবে দাখিলকৃত সার্টিফিকেটে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ বা সিভিল সার্জনের ছুটির মেয়াদ উল্লেখপূর্বক সুপারিশ থাকিলে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে । সুপারিশ প্রদানকালে মেডিকেল অফিসার বি এস আর, পার্ট-১ এর পরিশিষ্ট-৮ এর বিধি-(৭) অনুসরণ করিবেন।
নিখোঁজ বা পলায়ন আদেশ কখন জারি করা হয়? সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি-২ (ডি) | অনুযায়ী “পলায়ন” অর্থ অনুমতি ব্যতীত চাকুরী ত্যাগ বা কর্তব্য হইতে ৬০ দিন বা ততােধিকাল বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকা অথবা অনুমােদিত অনুপস্থিতির এ ধারাবাহিকতায় ৬০ দিন বা ততােধিকাল পুনঃ অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত অনুপস্থিতি থাকা অথবা বিনা অনুমতিতে দেশ ত্যাগ এবং ৩০ দিন বা ততােধিক কাল বিদেশে অবস্থান অথবা অনুমতি গ্রহণক্রমে দেশ ত্যাগ করিবার পর অনুমােদিত সময়কালের অতিরিক্ত ৬০ দিন বা ততােধিকাল পুনঃ অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত বিদেশে অবস্থান করা। উক্ত অপরাধে কোন কর্মচারী পলায়ন (Desertion) এর অভিযােগে অভিযুক্ত হইলে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক তাহার উপর যে কোন দণ্ড আরােপ করা যাইবে।
নির্ধারিত ছুটি ভোগের পর কর্মে যোগদান না করা বা কর্তৃপক্ষে অনুমতি ব্যতিরেকে ছুটি ভোগ করলে বিভাগীয় মামলা বা পলায়ন আদেশ জারি করে পেনশনে পাঠিয়ে দেয়া যায়
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও (গ) “অসদাচরণ” (Misconduct) ও “পলায়ন” (Desertion) এর দায়ে অভিযুক্ত করা হয় এবং একই বিধিমালার বিধি ৪(৩) (ঘ) মোতাবেক চাকুরি হতে বরখাস্ত (Dismissal from service) করা যেতে পারে। এটি করার পূর্বে ব্যক্তিগতভাবে শুনানীর সুযোগ দিতে হয়।
Caption: Reply of Memo Word File
অসাধারণ ছুটি বা বিনা বেতনে ছুটি । এক নজড়ে নিয়ম ও বিধি গুলো দেখে নিন
- স্থায়ী কর্মচারী ব্যতিত অন্যান্য কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অসাধারণ ছুটির মেয়াদ এককালীন ৩ মাসের অধিক হবে না।
- তবে দীর্ঘ কালীন অসুস্থ্যতার জন্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর ভিত্তিতে অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে ৬ মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটির মঞ্জুর করা যায়।
- যক্ষা রোগে আক্রান্ত একজন অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে এককালীন সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যায়। তবে বিধান থাকে যে, দাখিলকৃত সার্টিফিকেটে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যক্ষা বিশেষজ্ঞ বা সিভিল সার্জনের ছুটির মেয়াদ উল্লেখ পূর্বক সুপারিশ থাকলে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যায়।
স্থায়ী কর্মচারী নিয়োজিত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অসাধারণ ছুটির মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর ও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর ভিত্তিতে স্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে ২ বছর পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যায়।
উপরের কৈফিয়ত তলবের ক্ষেত্রে জবাব কেমন হবে?
আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী সূত্রোক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে জানাচ্ছি যে, গত ০৫.০৫.২০২৩ তারিখ হতে আমি বিনা বেতনে চিকিৎসা ছুটি ভোগের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করি। গত দুই বছর যাবৎ আমি লিভার এবং রক্তের হেপাটাইটিস সি ভাইরাস রোগে আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছি। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন আমাকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়েছে। ফলে আমি দাপ্তরিক কোন পত্র পাইনি। কর্মে অনুপস্থিতির বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে শুনানী দিতে ইচ্ছুক।অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার অসুস্থ্যতার কথা বিবেচনা করে আমার অনুপস্থিতকাল বিনাবেতনে ছুটি হিসেবে মঞ্জুর এবং আমাকে ব্যক্তিগত শুনানীতে অংশগ্রহণের সুযোগদানে আপনার সদয় মর্জি হউন।
অসাধারণ বা বিনা বেতনে ছুটির বিধান ২০২৪ । ছুটি শেষ হলে কি অসাধারণ ছুটি (বিনা বেতন) মঞ্জুর করা হয়?