একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের নিয়ম ২০২৫ । দ্বিতীয় ঘরে যদি স্ত্রী না থেকে সন্তান থাকে তবে তারা কি অংশ পাবে?
একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশন পাওয়ার নিয়ম হলো, প্রত্যেক স্ত্রীর নামে আলাদাভাবে পেনশন মঞ্জুর করা হয়. যদি একাধিক স্ত্রী থাকেন, তবে তাদের প্রত্যেকের নামে আলাদাভাবে পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে, এবং প্রতিটি স্ত্রীর জন্য পৃথক পিপিও (পেনশন পাওয়ার অর্ডার) জারি করা হয়–একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের নিয়ম ২০২৫
স্ত্রী কখন পেনশন পাবে না? যদি স্ত্রীর সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে পেনশনের পরিমাণ সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে. উদাহরণস্বরূপ, যদি ২ জন স্ত্রী থাকে, তবে তারা পেনশনের ৪ আনা করে পাবে, এবং বাকি ৮ আনা সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে। যদি প্রথম স্ত্রী মারা যায়, তবে দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানদের সাথে পেনশন পেতে পারবে. তবে, যদি দ্বিতীয় স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হন এবং তার ঘরে সন্তান থাকে, তাহলে সন্তানরা আনুতোষিকের অংশ পাবে, কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী পেনশন বা আনুতোষিক কিছুই পাবে না। যদি একজন সরকারি কর্মচারী মারা যান, তাহলে তার স্ত্রীর পরিবর্তে তার সন্তানদেরও পেনশনের জন্য আবেদন করার অধিকার রয়েছে। পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ এর সংযোজনী-২১ এর অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(i) মোতাবেক, পরিবারের সকল সদস্যের পক্ষে কেবল একজন সদস্যের (অভিভাবক হিসাবে) অনুকূলে পিপিও জারি করার বিধান থাকলেও, একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করা যায়. এক্ষেত্রে, একাধিক স্ত্রী যদি একজনের অভিভাবকত্বে পেনশন গ্রহণে রাজি না হন, তাহলে প্রত্যেকের নামে পৃথকভাবে পেনশন মঞ্জুর করতে হবে।
ডিভোর্সি স্ত্রীর সন্তানরা কি পিতার পারিবারিক পেনশন পায়? হ্যাঁ, ডিভোর্সি স্ত্রীর সন্তানরা পিতার পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য হতে পারে। পিতার মৃত্যুর পর ডিভোর্সি স্ত্রীর ছেলে বা মেয়ে যদি নাবালক বা প্রতিবন্ধী হয়, তাহলে তারা পারিবারিক পেনশন পেতে পারে। অবিবাহিত বা ডিভোর্সি মেয়েরাও পিতার পেনশন পাওয়ার জন্য যোগ্য হতে পারে যদি তারা কোনো কারণে অন্য কোনো পেনশনের জন্য অযোগ্য না হন। পিতার মৃত্যুর পর নাবালক সন্তানরা (ছেলে বা মেয়ে) পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য। শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তানও পিতার পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য। অবিবাহিত বা ডিভোর্সি মেয়ে পিতার পেনশন পাওয়ার জন্য যোগ্য হতে পারে যদি সে কোনো কারণে অন্য কোনো পেনশনের জন্য অযোগ্য না হন। বিবাহিত মেয়েরা সাধারণত পিতার পেনশন পাওয়ার জন্য যোগ্য নয়, তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে তারা পেনশনের জন্য যোগ্য হতে পারে, যেমন- যদি তারা কোনো কারণে স্বামী বা বাবার সাথে বসবাস না করে। ডিভোর্সি স্ত্রীর অন্য সন্তানরা (যেমন, অন্য পিতার সন্তান) সাধারণত পিতার পেনশনের জন্য যোগ্য নয়। পারিবারিক পেনশনের পরিমাণ সাধারণত পিতার মূল পেনশনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ, যেমন- ৬০%। কিছু ক্ষেত্রে, ডিভোর্সি স্ত্রীর সন্তানেরা তাদের পিতার পেনশনের জন্য আবেদন করার আগে তাদের ডিভোর্স সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে হতে পারে। পেনশনের জন্য আবেদন করার আগে, আপনার দেশের পেনশন আইনের নিয়মাবলী ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
দ্বিতীয় মৃত স্ত্রীর সন্তান কি পিতার পারিবারিক পেনশনের অংশ পায়? জি। মোট পেনশন ১৬আনা। স্ত্রী সন্তান মিলে ৪ জনের অধিক হলেই ২ জন স্ত্রী ৪+৪ আনা পাবে, বাকী ৮ আনা সমান হারে সন্তানদের মাঝে বন্টন হবে। অর্থাৎ ১ম স্ত্রী ৪ আনা আর ২য় স্ত্রী সন্তানদের অংশ সহ (৪+৮) = ১২ আনা পেনশন পাবে। তবে ৩০ বছর উর্ধ্ব বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই সরকারী চাকরি করেন, স্ত্রী যদি মারা যান- স্বামী কী পেনশন পাবেন? পাবে যদি ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হন
স্ত্রী মারা গেলে এবং দ্বিতীয় বিবাহ না করলে আজীবন স্ত্রীর পেনশন পাবেন। পাশাপাশি নিজের পেনশনও আলাদা ভাবে প্রাপ্য হবে। আপনার স্ত্রী মারাগেলে এবং আপনি যদি দ্বিতীয় বিবাহ না করেন তবে আজীবন পাবেন।
Caption: Check Pension Details here
আজীবন পেনশনের অংশীদার ২০২৫ । মূল পেনশনার, স্ত্রী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান।
- স্ত্রীর পেনশন স্বামী পাবে কি ? উত্তর : আজীবন পাবে, তবে পেনশনারের অবসর গ্রহণ হতে ১৫ বৎসরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, স্বামীর পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।
- বিধবা বা তালাক প্রাপ্ত কন্যাগণ পেনশন পাবে কি ? উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর অবর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ বৎসরের অবশিষ্ট সময়টুকুর জন্য পেনশন পাবে।
দ্বিতীয় মৃত স্ত্রীর সন্তান কি পিতার পারিবারিক পেনশনের অংশ পায়?
হ্যাঁ, দ্বিতীয় মৃত স্ত্রীর সন্তান পিতার পারিবারিক পেনশনের অংশ পেতে পারে। যদি বাবার কোনো জীবিত স্ত্রী না থাকে, তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানও পারিবারিক পেনশন পেতে পারে। তবে কিছু শর্ত প্রযোজ্য। যদি বাবার প্রথম স্ত্রী বেঁচে থাকে, তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান পেনশন পাওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে। কারণ, সাধারণত প্রথম স্ত্রী এবং তার সন্তানরা পেনশনের প্রথম দাবিদার। যদি বাবার প্রথম স্ত্রী মারা যান এবং তিনি কোনো সন্তান রেখে যান, তাহলে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানও পেনশন পাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। যদি দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা পেনশনের পুরোটা অংশ পাবে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন – যদি প্রথম স্ত্রীর সন্তান না থাকে, অথবা তাদের কেউ প্রতিবন্ধী বা নাবালক হয়, তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানও পেনশনের অংশ পাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। পেনশনের অংশ পাওয়ার জন্য, দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানের উপযুক্ত প্রমাণপত্র (যেমন – জন্ম সনদ, মৃত মায়ের মৃত্যু সনদ, ইত্যাদি) জমা দিতে হতে পারে। সব ক্ষেত্রে, পেনশন পাওয়ার নিয়ম এবং শর্তাবলী নির্দিষ্ট সরকারি বিধি-নিষেধ দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।
একজন পেনশনার চাকরিরত অবস্থায় ১ম স্ত্রী মারা গেলে ২য় স্ত্রী গ্রহন করেন। পেনশনে যাওয়ার সময় ২য় স্ত্রীকেই শতভাগ পেনশন প্রদান করে গিয়েছেন। পেনশনার মারা যাওয়ায় ২য় স্ত্রী আবেদন করেছেন। এখন ১ম স্ত্রীর ৩ সন্তানের বয়স ৩০ বছরের অধিক। কিন্তু তাদের পেনশনের ভাগ না দিলে তাদের ২য় মাকে ক্ষমতা অর্পণ ও অভিভাবক মনোনয়ন ফরমে ছবিসহ স্বাক্ষর দিবেন না। স্থানীয়ভাবে এবং থানায় সালিশ বৈঠকের পরেও দ্বিতীয় স্ত্রী প্রথম ঘরের সন্তানদের নিকট হতে স্বাক্ষর গ্রহণ করতে পারেন নাই। এখন দ্বিতীয় স্ত্রী অসহায় অবস্থায় আছেন। এখন তার কি করনীয় ?
পুরুষ কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্ত্রীগণ এবং মহিলা কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্বামী। তবে কর্মচারীর একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র ও বিবাহিতা কন্যাগণ বাদে, অন্যান্য সন্তান এবং স্ত্রী মিলে মোট সদস্য সংখ্যা যদি ৪ (চার) এর অধিক না হয়, তাহা হইলে ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র ও বিবাহিতা কণ্যাগণ বাদে অন্য সদস্যগণের মধ্যে পেনশন সমহারে বন্টিত হইবে। কিন্তু তাঁহাদের মিলিত সংখ্যা ৪ (চার) এর অধিক হইলে স্ত্রীগণ প্রত্যেকে ১/৪ অংশ হিসাবে পাওয়ার পর অবশিষ্ট থাকিলে, অবশিষ্টাংশ সন্তানদের মধ্যে (২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র এবং বিবাহিতা কন্যাগণ বাদে) সমহারে বন্টন করিতে হইবে। ব্যাখ্যা: পেনশন সহজীকরণ নীতিমালার ৩.০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী সন্তানগণ আজীবন পেনশন প্রাপ্য বিধায় প্রতিবন্ধী সন্তানের বয়স ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে হইলেও পেনশন প্রাপ্য হইবে।
স্বামী মারা গেলে একমাত্র স্ত্রী ই পেনসনের হকদার আর কেহ নয় তবে মৃত স্বামীর উপর নির্ভরশীল নাবালক শিশুরা ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত, প্রতিবন্ধী সন্তান, এর বাহিরে কেউ পেনসনের দাবীদার হতে পারেনা। বয়স্ক সন্তানরা উক্ত পেনসনের হকদার নয়, তাদের স্বাক্ষরের ও প্রয়োজন নেই। কোন সমস্যা নাই স্বাক্ষর ছাড়াই পেনশন হবে
সকল ওয়ারিশদের বয়স উল্লেখ করে ওয়ারিশান সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অফিসে জমা দিলে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী যার যা পাওনা দিয়ে দিবে। তারপরও কর্তৃপক্ষ যদি না দেয় তাহলে আদালত থেকে সাকসেশন সনদ নিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিলে দিবে। উল্লেখ্য নাবালক ও প্রতিবন্ধী সন্তান বিধি অনুযায়ী পেনশন পাবে। কোন ক্ষমতা অর্পন সনদ বা না দাবি সনদ লাগবে না। | সকল ওয়ারিশদের বয়স উল্লেখ করে ওয়ারিশান সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অফিসে জমা দিলে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী যার যা পাওনা দিয়ে দিবে। তারপরও কর্তৃপক্ষ যদি না দেয় তাহলে আদালত থেকে সাকসেশন সনদ নিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিলে দিবে। উল্লেখ্য নাবালক ও প্রতিবন্ধী সন্তান বিধি অনুযায়ী পেনশন পাবে। কোন ক্ষমতা অর্পন সনদ বা না দাবি সনদ লাগবে না। | নমিনির নামের সাথে পার্সেন্টেজ উল্লেখ করা থাকলে শেয়ার বন্টনে আর কেন সমস্যা সৃষ্টি হবে ! আগেও তেমনটা করা হয়েছে এবং এবারেও করা হয়েছে। |