সরকারি কর্মচারিগণ সরকারিভাবে বিভিন্ন মেয়াদে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রীম গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ১০% সুদের সর্বোচ্চ সংখ্যার পরিমাণ কিস্তিতে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ১০ বছরেও কেউ তার ঋণের আসল পরিশোধ করার সুযোগ পায় এবং পরবর্তীতে সুদ সম কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা ভোগ করে।
কিছু দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ প্রাপ্যতার শর্ত, পরিমাণ ও কিস্তির সংখ্যা উল্লেখ করা হলো:
- গৃহ নির্মাণ অগ্রিম– ৩৬ মাসের বেতন অথবা ১২০০০০ টাকা ১২০ কিস্তিতে।
- গৃহ মেরামত অগ্রিম- ১৮ মাসের বেতন অথবা ৬০০০০ টাকা ৬০ কিস্তিতে।
- মোটর গাড়ী অগ্রিম- ১২ মাসের বেতন অথবা ৬০০০০ টাকা ৬০ কিস্তিতে।
- মোটর সাইকেল অগ্রিম- ৩৫০০০ টাকা ৬০ কিস্তিতে।
- মোটর সাইকেল অগ্রিম- ৩০০০০ টাকা ৩০ কিস্তিতে।
- কম্পিউটার অগ্রিম- ৩৬০০০ টাকা ৬০ কিস্তিতে।
মোটরসাইকেল লোন কত টাকা প্রদান করা হয়? মাত্র ৩৫০০০ টাকা । সাইকেল কেনার ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
প্রতিমাসে এক হাজার করে ৩৫ মাসে পরিশোধ করা যায় এবং সুদ পরবর্তী কিস্তিতে একই হারে পরিশোধ করা যায়।
আসল পরিশোধের পর সুদ পরিশোধের প্রয়োজন পড়ে আজ আমরা উপরের একটি বিষয়কে ধরে সুদ নির্ণয় করবো। সকল ক্ষেত্রে একই সূত্র ও নিয়ম প্রযোজ্য হইবে।
ধরি, জনাব কাদের, স্টোর কিপার, মোটর সাইকেলের ক্রয়ের জন্য ৩৫০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। আসল পরিশোধ শেষে তার কি পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হবে?
আসল = ৩৫০০০ টাকা , সুদ = ১০%, কিস্তি ৬০ কিস্তি (বছরে ১২টি, বেতন থেকে ১০০০ টাকা করে সমন্বয়যোগ্য।
সুদ নির্ণয়ের সূত্র: N*N+1/2*1/12*R/100
=৩৫০০০*৬১/২*১/১২*১০/১০০
=৩৫০০০*৬১*১০/২৪০০
=৮৮৯৫.৮৩
=৮৮৯৬ টাকা মাত্র।
৬০ কিস্তিতে আসল পরিশোধের পর ৯ কিস্তিতে তাকে সুদ পরিশোধ করতে হবে ৮০০০ টাকা ৮ কিস্তিতে নবম কিস্তিতে ৮৯৬ টাকা মাত্র।
যদি ৫ বছর পর কেউ এক কিস্তিতে পরিশোধ করতে চায় সেইক্ষেত্রে ১০ বছরের সুদ দিতে হবে কিনা ??
একবারে পরিশোধ করতে হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হতে আদেশ সংশোধন করে আনতে হবে, আবেদন করে। হ্যাঁ এভাবে একবারের পরিশোধ করা যায় সেক্ষেত্রে সুদ পূর্ণ সময়ের জন্য দিতে হবে না।