সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

অনলাইনে ভাতা ও উপবৃত্তির আবেদন শুরু ২০২৫ । সরকারি বয়স্কভাতাসহ অন্যান্য ভাতার আবেদনের সুযোগ ৬ নভেম্বর পর্যন্ত?

সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য বিভিন্ন ভাতা ও উপবৃত্তির সুবিধাভোগী বাছাইয়ের নিমিত্তে অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। গত ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ থেকে এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা আগামী ০৬ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজড়া, বেদে, অনগ্রসর ও চা-শ্রমিকদের ভাতা ও উপবৃত্তির সুবিধাভোগী বাছাইয়ের জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থীদেরকে জিটুপি (Government to Person) পদ্ধতিতে ভাতা প্রদানের সুবিধার্থে dss.bhata.gov.bd/online-application লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আবেদন গ্রহণের পূর্বে এ বিষয়ে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে।

আবেদনকারী, যাচাই-বাছাই ও তথ্য এন্ট্রির সময় অনুসরণীয় নির্দেশনাবলী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে-

  • অনলাইন আবেদনে অবশ্যই সুবর্ণ নাগরিক কার্ড বা Disability Information System (DIS) এর মাধ্যমে যাচাই করতে হবে।
  • প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচির ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করার সময় প্রার্থীর নিকটস্থ/জাতীয় পরিচিতি নম্বর দিয়ে নিবন্ধিত সক্রিয় মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস ও হিসাব নম্বর প্রদান করতে হবে।
  • অনলাইন আবেদনপত্র জমাদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদনকারীকে প্রিন্ট কপি নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

সরকারি ভাতা কি সবাই পেতে পারে?

না, সরকারি ভাতা সবাই পেতে পারে না। সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যে ভাতাগুলো দেওয়া হয়, সেগুলো সাধারণত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, দুর্বল এবং নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণকারী মানুষের জন্য নির্ধারিত। প্রতিটি ভাতার জন্য সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্তাবলী রয়েছে, যা সমাজসেবা অধিদপ্তরের নীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত।

মূলত নিম্নোক্ত কারণে সবাই ভাতা পায় না:

১. নির্দিষ্ট বয়সসীমা: বয়স্ক ভাতার জন্য পুরুষদের সর্বনিম্ন ৬৫ বছর এবং মহিলাদের সর্বনিম্ন ৬২ বছর হতে হয় (যা সময় সময় সরকার পরিবর্তন করতে পারে)। বিধবা ভাতার জন্য ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হয়।

২. আর্থিক অবস্থা (অসচ্ছলতা): বেশিরভাগ ভাতার ক্ষেত্রেই প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয় একটি নির্দিষ্ট সীমা (যেমন- বয়স্ক ভাতার জন্য ১০,০০০ টাকা বা বিধবা ভাতার জন্য ১৫,০০০ টাকা) এর নিচে হতে হয়। অর্থাৎ, আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা এই ভাতাগুলোর জন্য যোগ্য নন।

৩. শারীরিক অবস্থা বা পরিচয়: * প্রতিবন্ধী ভাতা শুধু নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য। * বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা শুধু বিধবা বা স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্ত নারীদের জন্য। * হিজড়া, বেদে, অনগ্রসর ও চা-শ্রমিকদের ভাতা কেবল সেই নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য।

৪. অন্যান্য সুবিধা: কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কোনো সরকারি নিয়মিত ভাতা বা সুবিধা (যেমন- সরকারি কর্মচারী হিসেবে পেনশন, ভিজিডি কার্ড, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ইত্যাদি) পান, তাহলে তিনি সাধারণত একই সাথে অন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা পাওয়ার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হন।

৫. বাছাই প্রক্রিয়া: আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত স্থানীয় বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হয়।

সংক্ষেপে, সরকারি ভাতা হলো সমাজের অসচ্ছল, দুঃস্থ ও নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের একটি প্রক্রিয়া, যা একটি নির্দিষ্ট নীতিমালার অধীনে পরিচালিত হয়।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *