সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯ । দন্ডাদেশ প্রাপ্তির ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে রিভিউ করতে হবে?
সুপ্রীম কোর্টের রায়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ায় অধ্যাদেশটি কার্যকারিতা হারাইলে ‘ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩’ (২০১৩ সনের ৬নং আইন) দ্বারা এই অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা বহাল রাখা হয়-সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।- এই অধ্যাদেশ সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ নামে অভিহিত হইবে।
২। অন্যান্য আইনের উপর প্রাধান্য, ইত্যাদি। – সরকারী কর্মচারী অথবা সরকারী কর্মচারীর চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত অন্যান্য আইন, বিধিমালা বা প্রবিধানমালা বা প্রবিধানমালায় যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশ কার্যকর হইবে।
৩। অপরাধ। – কোন সরকারী কর্মচারী নিম্নোক্ত কারণে অপরাধী হইলে তিনি ধারা-৪ এ বর্ণিত যে কোন দন্ডে দন্ডিত হইবেন-
(এ) এমন কোন কার্যে লিপ্ত হয়, যাহার কারণে অন্য যে কোন সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে, বা শৃংখলা বিঘ্নিত করে, বা কর্তব্য সম্পাদনে বাঁধার সৃষ্টি করে; অথবা
(বি) অন্যদের সহিত সংযুক্তভাবেই হো বা নাই হোক , ছুটি ব্যতীত বা কোন যুক্তি সংগত কারণ ব্যতীত নিজে কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকেন বা অন্য ভাবে বিরত থাকেন বা নিজ কর্তৃব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অথবা
(সি) অন্য যে কোন কর্মচারীকে তাঁহার কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকিতে, বা বিরত থাকিতে বা তাঁহার কর্তব্য পালন না করার নিমিত্তে উস্কানি দেয় বা অন্য কোনভাবে প্ররোচিত করে; অথবা
(ডি) যে কোন সরকারী কর্মচারীকে কর্মে উপস্থিত হই বা কর্তব্য সম্পাদনে নিবৃত্ত করে।
৪। দন্ড।- এই অধ্যাদেশের অধীনে নিম্নোক্ত প্রকারের দন্ড আরোপ করা যাইবে-
(এ) চাকরি হইতে বরখাস্ত (Dismissal from Service)
(বি) চাকরি হইতে অব্যাহতি (Discharge from service) এবং
(সি) পদাবনমিত বা বেতন হ্রাস (reduction in rank or pay)।
৫। তদন্ত ও দন্ড। (১) যখন কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধারা-৩ তে বর্ণিত যে কোন অপরাধের জন্য মামলা গ্রহণ করা হয়, তখন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা এই উদ্দেশ্যে তদকর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ বলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অভিযোগ গঠন করিবেন এবং অভিযোগনামাসহ নোটিশের মাধ্যমে সরকারী কর্মচারীকে, অত:পর অভিযুক্ত বলিয়া অভিহিত, কেন এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ডিত হইবে না, এইরূপ সময়ের মধ্যে উহার কারণ দর্শাইতে এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানি প্রদান করিতে ইচ্ছুক কিনা তাহাও জানাইতে বলিবেন।
বিশ্লেষণ: ১৯৯০ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উপ-ধারা (১) সংশোধণ করা হয়।
(২) অভিযুক্ত কারণ দর্শাইলে তাহা বিবেচনার পর এবং এই উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত শুনানিতে হাজির হইলে শুনানি গ্রহণের পর যদি নিয়োগকারী কর্তৃক বা অভিযোগ গঠনকারী ব্যক্তি অভিযুক্তকে অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন, অথবা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ না দর্শাইয়া থাকে, তবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা অভিযোগ গঠনকারী ব্যক্তি নোটিশের মাধ্যমে বর্ণিত প্রস্তাবিত দন্ড কেন আরোপ করা হইবে না, নোটিশ জারির তিন দিনের মধ্যে উহার কারণ দর্শাইতে বলিবেন।
- মেডিকেল বোর্ড আউট ২০২৫ । ১৫ বছরে ১৬৯০০ টাকা বেসিকে সর্বমোট এককালীন ও পেনশন কত হবে?
- জিপিএফ অগ্রিম নেয়ার বিধান 2025 । যে সকল উদ্দেশ্যে জিপিএফ অগ্রিম নেয়া যাবে?
- GPF Check Bangladesh 2025 । নতুন নিয়মে জিপিএফ স্লিপ বের করার নিয়ম দেখুন
- GPF Profit or Interest Off Process by DDO ID 2025 । ডিডিও আইডি থেকে যেভাবে জিপিএফ একাউন্ট সুদমুক্ত করা যায় দেখুন
- Pension Calculation bd 2025 । আনুতোষিক ও নীট পেনশন নির্ণয় করার নিয়ম (উদাহরণসহ) দেখুন
বিশ্লেষণ: ১৯৯০ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উপ-ধারা (২) সংশোধন করা হয়।
(৩) উপধারা (২) এর অধীনে প্রদত্ত নোটিশের প্রেক্ষিতে কারণ দর্শাইলে উহা বিবেচনার পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ না দর্শাইলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উপধারা (২) এর অধীনে প্রদত্ত নোটিশে উল্লেখিত দন্ড অভিযুক্তের উপর আরোপ করিতে পারিবেন।
(৪) যদি অভিযুক্তের নিকট নোটিশ বিলি করা হয় কিংবা তাঁহার সর্বশেষ জ্ঞাত বাসস্থানের সহজে দৃষ্টিগোচর স্থানে লটকাইয়া জারি করা হয় অথবা কমপক্ষে দুইটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়, তাহা হইলে এই ধারা অনুসারে নোটিশ বৈধভাবে জারি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
৬। আপিল ও রিভিউ।- (১) যে সরকারী কর্মচারীর উপর এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ড আরোপ করা হইয়াছে, তিনি দন্ড আরোপের আদেশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে তাহার বিরুদ্ধে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন এবং আপিল কর্তৃপক্ষ আপিলের উপর যে রূপ যুক্তিযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন।
(২) যে ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি, যেইক্ষেত্রে যে সরকারী কর্মচারীর উপর এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ড আরোপ করা হইয়াছে, তিনি দন্ড আরোপের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে আদেশ রিভিউ এর জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং আবেদনের উপর রাষ্ট্রপতি যেইরূপ যুক্তিযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন।
(৩) উপধারা-(১) এর অধীনে আপিলে প্রদত্ত আদেশ বা উপধারা -(২) এর অধীনে রিভিউতে প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হইবে।
বিশ্লেষণ: ১৯৯০ সনের ৭ নং আইন দ্বারা ৬ ধারার শিরোনাম এবং উপ ধারা (২) ও (৩) সংশোধন করা হয়।
৭। আদালতের আশ্রয় গ্রহণ নিষিদ্ধ। – এই অধ্যাদেশের যে কোন বিধানের আওতায় গৃহীত কোন কার্যক্রম বা আদেশে বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রম্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
***
সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ The Government Servants (Special Provisions) Ordinance, 1979 (Ordinance No. XI of 1979 আদেশটি PDf সংগ্রহে রাখতে পারিবেন: ডাউনলোড