পেনশনারদের বিশেষ সুবিধা ২০২৫ । চলতি বছর পেনশনভোগীদের কত টাকা বাড়বে?
পেনশনারদের জন্য বিশেষ সুবিধা বলতে সাধারণত সরকারি কর্মচারী যারা অবসর গ্রহণের পর পেনশন পান, তাদের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কিছু অতিরিক্ত সুবিধা বোঝায়। এই সুবিধাগুলি পেনশনের পাশাপাশি প্রদান করা হয় এবং এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করা হয়। ২০২৫ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা ১ জুলাই থেকে এই বিশেষ সুবিধা পাবেন– পেনশনারদের বিশেষ সুবিধা ২০২৫
পেনশন ভোগীরাও কি ১০-১৫% বিশেষ সুবিধা পাবে? হ্যাঁ। বিশেষ সুবিধা তো পাবেই সাথে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টও পেয়েেছন। ইতোমধ্যে পেনশনারদের ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হয়ে গিয়েছে এবং জুলাই মাসের পেনশন আগস্ট মাসে হাতে পাবেন সেখানে বিশেষ সুবিধাও যুক্ত হয়ে পেনশন পাবেন। সরকারি কর্মচারীদের বেতন গ্রেড অনুযায়ী বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। পেনশনভোগীদের পেনশনের বিদ্যমান অংশের উপর একটি নির্দিষ্ট হারে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে।
পিআরএল যারা তার কি সুবিধা পাবেন? হ্যাঁ। অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারী এবং বরখাস্তকৃত কর্মচারীরাও এই সুবিধা পেতে পারেন। সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীরা, পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীগণ, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা, বরখাস্তকৃত কর্মচারী (তাদের শেষ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ), কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী। যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন, তাদের জন্য এই সুবিধা প্রযোজ্য নাও হতে পারে। যাদের পেনশনের অযোগ্য বলে বিবেচিত করা হয়েছে। এই সুবিধাগুলো মূলত পেনশনভোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।অবসর-উত্তর ছুটিতে (PRL) থাকা কর্মচারীগণ PRL গমণের পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
পেনশনভোগীরা ন্যূনতম ৭৫০ টাকা বাড়বে? হ্যাঁ। ন্যূনতম ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে পূর্বের ৫০০ টাকা বাদ দিবে। ফলে সর্বনিম্ন সব মিলিয়ে ৭৫০ টাকা বাড়বে। প্রজ্ঞাপনের ১ম অনুচ্ছেদের “এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১,০০০ (এক হাজার) টাকা এবং পেনশন ভোগীদের ক্ষেত্রে নুন্যতম ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা হারে প্রদেয় হবে।” শব্দগুচ্ছ নিম্নোক্ত শব্দগুচ্ছ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। “এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১,৫০০ (এক হাজার পাঁচ শত) টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ) টাকা প্রদেয় হবে।উক্ত প্রজ্ঞাপনের অনুচ্ছেদ ২-এর উপানুচ্ছেদ (গ) নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীগণসহ সরকার হতে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে যেসকল পেনশনারের প্রাপ্য মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১৭,৩৮৯/- টাকা ও তদূর্ধ, তাঁরা ১০% হারে এবং যে সকল পেনশনারের প্রাপ্য মাসিক পেনশন ১৭,৩৮৮/- টাকা ও তদনিম্ন, তাঁরা ১৫% হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো এবং ০১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে এটি কার্যকর হবে।
পেনশনারদের ইনক্রিমেন্ট ও বিশেষ সুবিধা ২০২৫ / ১০-১৫% হারে বিশেষ সুবিধা ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দুটোই পেনশন ভোগীরা পাবেন
পেনশনভোগী হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি তার কর্মজীবন শেষে নিয়মিতভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন। সাধারণত, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার পর অবসর গ্রহণের পর এই সুবিধা পাওয়া যায়। এটিকে অবসর ভাতা বা পেনশনও বলা হয়।
বিশেষ সুবিধার সংশোধিত প্রজ্ঞাপন ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড
পেনশনভোগীদের বিশেষ সুবিধা ২০২৫ । ১৭৩৮৯ টাকা পেনশন প্রাপ্তদের ১০% বাড়বে?
- মাসিক পেনশন ১৭৩৮৯ টাকা। (চিকিৎসা ভাতা ও পূর্বে বিশেষ সুবিধা বাদ নীট পেনশন)।
- ৫০% ইনক্রিমেন্ট সহ পেনশন ৮৬৯+১৭৩৮৯ = ১৮,২৫৮ টাকা।
- ১০% হারে বৃদ্ধি পাবে ১৮,২৫৮*১০% = ১,৮২৫ টাকা।
- মোট পেনশন হবে ১৮,২৫৮+১,৮২৫+১,৫০০ = ২১,৫৮৩ টাকা।
- পেনশন ইএফটি হবে ২১,৫৮৩-১০ = ২১,৫৭৩ টাকা।
- তাহলে ইনক্রিমেন্টসহ মোট বৃদ্ধি ১,৮২৫+৮৬৯ = ২,৬৯৪ টাকা।
প্রতি বছর কি পেনশন বৃদ্ধি পায়?
যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এবং চাকরির নিয়ম অনুযায়ী পেনশন পাওয়ার যোগ্য। বেসরকারি কর্মচারী: যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের পেনশন স্কিমের অধীনে রয়েছেন। কোনো সরকারি বা বেসরকারি কর্মচারী মারা গেলে তার স্ত্রী/স্বামী বা নির্ভরশীল সন্তানরা এই সুবিধা পান। যারা শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন, তারাও পেনশন পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন। পেনশনভোগীরা সাধারণত তাদের অবসর গ্রহণের পর একটি নির্দিষ্ট হারে প্রতি মাসে এই ভাতা পেয়ে থাকেন। এটি তাদের অবসর জীবনের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
