৯ম পে-স্কেল প্রস্তাবনা ২০২৫ । ইনসাফ ভিত্তিক জাতীয় বেতন স্কেল প্রস্তাবনা কেমন হবে?
সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতাদির জন্য মোট ২০ টি গ্রেড রয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে ১০টি করার জন্য সংগঠনগুলো লড়ছেন-চাকরিজীবদের মধ্যে কেউ কেউ ইনসাফ ভিত্তিক ১২টি গ্রেড প্রস্তাব করছে– ৯ম পে-স্কেল প্রস্তাবনা ২০২৫
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ সংশোধনী প্রস্তাব কেমন হতে পারে? সরকারি কর্মচারীদের বেতন স্কেলে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা বেশি বঞ্চিত তাদের ক্ষেত্রে ২-৪% গ্রেড ধাপগুলোর দূরত্ব বা ব্যবধান থাকলেও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ১-১০ গ্রেডে গড়ে ২০% ব্যবধান দেখা যায় তাই যে কোন সুবিধা সরকার বিতরণ করলে কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। জনৈক সরকারি কর্মচারী গ্রেড ব্যবধান কমাতে ৩৪%-১০০% বৃদ্ধি দেখিয়ে সর্বোচ্চ মূল বেতন ১,০৫,০০০ টাকা রাখা হয়েছে এবং সর্বনিম্ন ১৬,০০০ টাকা বেসিক নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ১২টি গ্রেড প্রস্তাব করা হয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে বেতন কাঠামো পরিবর্তন করা উচিত কি? হ্যাঁ। অবশ্যই নতুন বেতন কাঠামো (৯ম পে-স্কেল) ২০২৫ সালের জন্য একটি ন্যায্য এবং ইনসাফ ভিত্তিক প্রস্তাবনা হলো, যাতে দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে কর্মচারীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা যায়। এটিতে গ্রেড-ভিত্তিক বেতন বৈষম্য দূর করা এবং একটি যুক্তিসঙ্গত বেতন কাঠামো প্রণয়ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রেড-ভিত্তিক বেতন বৈষম্য দূর করার জন্য একটি নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি গ্রেডের কর্মচারীর জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত বেতন কাঠামো থাকবে। দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে বেতন বৃদ্ধি করা, যাতে কর্মচারীরা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।
গ্রেড ভিত্তিক ব্যবধান কি কমানো উচিত? হ্যাঁ। অবশ্যই। গ্রেড-ভিত্তিক বেতন বৈষম্য দূর করার জন্য একটি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যা বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটি বড় সমস্যা। টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যা আগে ছিল, সেগুলো পুনর্বহাল করা অথবা নতুন করে যুক্ত করা, যা কর্মচারীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এই প্রস্তাবনাটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায্য এবং কার্যকর বেতন কাঠামো নিশ্চিত করবে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে।
ইনসাফ ভিত্তিক ৯ম পে-স্কেল প্রস্তাবনা ২০২৫ / বিদ্যমান ২০টি গ্রেডকে ভেঙ্গে ১২টি করা যেতে পারে।
বর্তমান জাতীয় বেতন স্কেল-কে ৩৪-১০০% বেতন বৃদ্ধি করে। ৮-৯ নং গ্রেডকে মার্জ করে ৮ম গ্রেড করা হয়েছে এবং ১১-১২ নম্বর গ্রেডকে ১০ নম্বর গ্রেডে রূপান্তর করা হয়েছে। ১৩-১৬ নম্বর ৪টি ছোট ছোট গ্রেড ব্যবধানকে কমিয়ে এনে ১১ নম্বর গ্রেড প্রস্তুত করা হয়ে যা বৈষম্য কমানো হয়েছে। সর্বশেষ ১৭-২০ নং ৪টি ক্ষুদ্র গ্রেডকে ১২ নম্বর গ্রেডে রূপান্তর করে ওপেনিং গ্রেড তৈরি করা হয়েছে নিম্নগ্রেডের পিওন, নিরাপত্তা প্রহরী ও অন্যান্য কর্মচারীদের জন্য যা খুবই সহায়ক ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
Caption: New Pay Scale 2025
ইনসাফ ভিত্তিক জাতীয় বেতন স্কেল ২০২৫ । বেতন স্কেল প্রস্তুতের নীতি নির্ধারকগণ যেখানে কর্মচারীদের ঠকাতে প্রস্তুত সেখানে কর্মচারীদের পক্ষে যাওয়া প্রস্তাবনা তারা কি গ্রহন করবে?
- ১,০৫,০০০/-
- ৯২,০০০/-
- ৮০,০০০/-
- ৭২,৫০০/-
- ৬২,৫০০/-
- ৫২,৫০০/-
- ৪৩,000/-
- ৩৭,০০০/-
- ২৭,০০০/-
- ২৩,০০০/-
- ২০,৫০০/-
- ১৮,০০০/-
বৈষম্যযুক্ত ছোট গ্রেডগুলো একীভূত করা হয়েছে কি?
হ্যাঁ। কর্মকর্তাদের ৮ম গ্রেড একীভূত করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যম বেতনভোগীদের ১১-১২ গ্রেড একীভূত করে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতন ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৩-১৬ গ্রেডের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের নিম্নবেতন বা বৈষম্যযুক্ত বেতনকে একটি ন্যূনতম যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হয়েছে। পিওন, দপ্তরী, নিরাপত্তা প্রহরী ও ঝাড়ুদারকে মানহীন জীবন যাপনকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বেতন ১৮,০০০/- টকাা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও নীতি নির্ধারকগণ এমন বৈষম্যহীন বেতন কাঠামো মানবে কিনা সেটি ই দেখার বিষয়। ব্রিটিশ আমল হতে নিষ্পেষিত কর্মচারীগণ বৈষম্যের শৃঙ্খলা হতে মুক্ত হতে পারবে কি? সেটিই প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।
মাসিক টিফিন ভাতা ২০০ টাকা যুগোপযোগী করতে হবে। | চিকিৎসা ভাতা মাসিক ১৫০০ টাকা যৌক্তি পর্যায়ে আনতে হবে। | মাসিক ১০০ টাকা ধোলাই ভাতা পুন:নির্ধারণ করতে হবে। |
ভ্রমণ ভাতাও নতুনভাবে নির্ধারণ করতে হবে। | বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে ফিক্সড ভাতা নির্ধারণ করা যেতে পারে। | মোবাইল ফোন ভাতা কর্মচারীদের জন্য চালু করা যেতে পারে। |
শিক্ষা ভাতা বৃদ্ধি করা আবশ্যই। | বিশেষ সুবিধার পরিবর্তে কর্মচারীদের জন্য রেশন সুবিধা থাকা প্রয়োজন। |
বি:দ্র: আপনার কোন মূল্যবান মতামত থাকলে সেটি উল্লেখ করতে পারে। ধন্যবাদ তাকে যিনি বেতন কাঠামো রিসার্চ করে তৈরি বা প্রস্তুত করেছেন।
আমরা সবাই যখন যত টুকু পায় তার থেকেও বেশী পাওয়ার আশায় থাকি, আমাদের চাহিদার শেষ নেই। একটি দেশ টিকিয়ে রাখার জন্য রাজনীতির দরকার আছে, কিন্ত দেশের সকল মানুষের জীবন যাপন করার পিছনে ইসলামের গুরুত্ব অপরিসীম, ইসলামের আইন মেনেই সকল ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করা, ঘুষ ছাড়া চাকরির সুযোগ দেওয়া, আইনের বিপক্ষের যারা হোক সে ক্ষমতাসীন অথবা অর্থ সম্পদের মালিক সকলের আইনের আওতায় আনা। যারা অধিক লাভের আশায় সিন্ডিকেট গড়ে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা এবং শাস্তির বিধান রাখা।
এদেশের সরকার জনগণের রিলিভ চাল, ডাল, আটা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর ভর্তুকি দেন, সেই সম অর্থের সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ দেয়া।
যে দেশের ঘুষ, চাঁদাবাজি,খুন, গুম, ধর্ষণ, মার্তভূমি টাকা বিদেশ পাচার এসকল বন্ধ হলে সব কিছুতে আল্লাহ্র রহমত পাব ।
ইনশাআল্লাহ
প্রথম গ্রেড এবং ১২তম গ্রেডের ভিতর আপনি ৬ গুন ব্যবধান রাখছেন যেটা ন্যায্য নয়৷ প্রথম গ্রেড ঠিক রেখে ১ঃ৪ করে নির্ধারণ করতে পারলে ইনসাফ ভিত্তিক হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ভাতার সাথে বাড়ি ভাড়া ফিক্সড করা যেতে পারে৷ তবে রেশন ব্যবস্থা চালু করতে পারা হবে সময়ের উত্তম সিদ্ধান্ত।
আমলারা ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে যুগ যুগ ধরে বৈষম্য ধরে রেখেছে। তাদের শখ আহ্লাদ থাকতে পারে। কিন্তু কর্মচারীদের কি তা মানায়? কর্মচারীদের কখনো মানুষ হিসেবে গন্য করা হয়নি। তারা সব সময় খোলসটা পাল্টিয়ে নিয়ন্ত্রকের জায়গা দখলে রাখবে। এটাই প্রত্যক্ষ করি। কিন্তু কর্মচারীদের বৈষম্যহীন পে স্কেল কি অধরাই থেকে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাব আদৌও কি মিলবে? ধন্যবাদ স্বপ্ন দেখা হতভাগা কর্মচারীদের।
আমি একমত পোষণ করছি এটা একটা নিজ্জ বেতন কাঠামো ইহার প্রতি সকলের সদয় হওয়া উচিত
প্রিয় সহকর্মী, প্রথমে আমার পক্ষ থেকে আপনাকে সালাম ও শুভেচ্ছা।
এমন একটি প্রস্তাবনা নিয়ে খবর প্রকাশ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
উক্ত প্রস্তাবনাটি কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ করে একদিন আমি আমার মোবাইলে প্রস্তুত করি। তারপর “৯ম পে-স্কেল” ফেজবুক পেজে আপলোড করি। ঐ দিন প্রায় ১ হাজার লাইক পড়ে। সেই দিনই হয়ত, কোনো একজন পেজ এডমিন আমার পোস্ট ডিলিট করে দেয়। ইতোমধ্যে কয়েক শত আইডি থেকে তা সেভ করা হয়েছে। এবং শেয়ারও করা হয়।
তাদের মধ্য থেকে একজন গত ১৪/৭/২০২৫ পুনারায় প্রস্তাবনা টি উক্ত পেজে আপলোড করেন। এবারো প্রস্তাবনাটিতে ১ হাজারেরও বেশি লাইক পড়ে। তারপর আপনি নিউজ
করেছেন। যাই হোক, প্রস্তাবনাটি থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি কোনো সহায়তা নিয়ে থাকেন তবেই আমার সার্থকতা। ব্যস এটুকুইতেই শান্তনা।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদান্তে,
ডা. এস এম হাবিবুর রহমান
কনসালট্যান্ট (ফিজিওথেরাপি)
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।
জি। সহমত।
জি। ঠিকই বলেছেন।
Insah allah akdom ok
ভাই, বিজিবির জন্য একটা হলুদ রঙের বেতন স্কেলের বই আছে অনুগ্রহ পুর্বক একটু দেখবেন এবং তাদের স্কেল নিয়ে কিছু বলবেন। আপনার প্রস্তাবনা সকল সরকারি চাকরির জন্য হওয়া উচিত। তবে, বিভিন্ন বাহিনীর কার্যক্রমের জন্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকাও জরুরি।
কবে থেকে কার্যকর হবে ৯ম পে- স্কেল বা ১২ টি গ্রেড
এটি কর্তৃপক্ষ চাইলে বাস্তবায়ন হবে। এটি প্রস্তাব মাত্র।
বইটি সংগ্রহে নেই অনুগ্রহ করে বইটি ছবি তুলে মেইল করলে এ বিষয়ে লেখা যেত। Email: alaminmia.tangail@gmail.com
পে স্কেল টা এমন ভাবে সাজাতে হবে, যেনো একজন সর্বনিম্ন গ্রেডের কর্মচারী স্বামী- স্ত্রী, বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে মিলে ৫/৬ জনের সংসারটা চালাতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে তার মৌলিক অধিকার যেনো খুন্ন না হয়। ৫ বছর পরে এমন পে স্কেল দিলে মানান সই হতো কিন্তু দশ বছর পরে এসে এটা হাস্যকর,,,,,, এমনভাবে পে স্কেল টা দিতে হবে যেনো আগামী ৫/৬ বছর মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় হয়,,,,,,
বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল সময়ের দাবি। দ্রুত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন চাই। ২০ টি গ্রেড রেখে চরমে বৈষম্য জিইয়ে রেখেছে। গ্রেড সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১০ বা ১২ তে নিয়ে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।
১০ গ্রেডের বেতন ৩৩০০০ টাকা এবং ১১ ও ১২ তম গ্রেডের বেতন ৩০০০০ হাজার টাকা করা উচিত।
ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
এটিও ঠিক বলেছেন। মূল বেতন ও বাড়ি ভাড়া প্রতি বছর কিছুটা সমন্বয় হলেও ভাতাদি মূল্যস্ফিতির সাথে মানানসহি থাকে না।
সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ২৮০০০ টাকা করলে ভালো হবে।
পূর্বের ৯ থেকে ১০ এর বেতন বৈষম্য ছিল ৬০০০ হাজার এখন ৮থেকে৯এর ১০০০০ আরো বৈষম্য বেশি হলো। প্রস্তাবিত ৮ এর ৩৭ হাজার হলে ৯ এর ৩৫ হাজার করলে কেমন হয় প্রস্তাবিত ১০ এর ৩৩ হাজার, ১১ এর৩০০০০, ১২ এর ২৮ হাজার করলে কেমন হয়।
যৌক্তিক পরামর্শ
আসলে নিম্ন কর্মচারীদের কে সবসময় সবখানে বিশাল একটা ব্যবধানে রেখে দেওয়া হয় ।
তাদের কথা ভাবার মতো কেউই নেই,,অথচ সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের কাজ করিয়ে নেওয়া হয় এদের দ্বারা , অনেক ক্ষেত্রে কোন নিম্ন কর্মচারী সাপ্তাহিক কোন ছুটিই কাটাতে পারেন না, আবার কোন TA-DA ও রেশন ব্যবস্থাও থাকে না।
যাই হোক এখন এক মাসের খরচের হিসাবে আসি:
৪ সদস্যদের পরিবারের জন্য (সর্বনিম্ন)-
১. বাড়ি ভাড়া= ৩৯০০
২. চাল বাবদ = ৩৭০০
৩.শাক-সবজি = ১৫০০
৪. মাছ, মাংস,ডিম = ৩৯০০
৫. কাপড় বাবদ = ১০০০
৬. ছেলে- মেয়ের শিক্ষা বাবদ = ৩০০০
৭. কারেন্ট,গ্যাস ও অন্যান্য বিল = ২৫০০
৮. চিকিৎসা বাবদ = ২৫০০
সর্বমোট = ২২০০০ টাকা প্রয়োজন হয়। সেখানে ১৫০০০-১৮০০০ দিয়ে জিবন যাপন করতে হয়।
এটাতো কোন বৈষম্য নয় তাই না….!!!!