ইত্যাদি । বিবিধ । ক্যাটাগরী বিহীন তথ্য

LDTAX Payment Process 2025 । জমির খাজনা কিভাবে দিতে হয়?

জমির নামজারি হওয়ার পর অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির খাজনা দিতে ওয়ারিশানসহ খতিয়ান বা খাজনা রশিদ আপলোড করে হোল্ডিং অনুমোদন করাতে হয়-এটি ভূমি অফিসে গিয়ে বা ঘরে বসেই আপনি তথ্য আপলোড করতে পারেন-অনুমোদন হলে খাজনা বা ভূমি কর দিতে পারবেন– LDTAX Payment Process 2025

জমির খাজনা কি? জমির খাজনা হলো ভূমি উন্নয়ন কর, যা জমির মালিকানা লাভের জন্য সরকারকে নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হয়। এটি একটি বাৎসরিক কর যা জমির মালিককে তার জমির জন্য সরকারকে দিতে হয়। জমির খাজনা একটি নির্দিষ্ট হারে ধার্য করা হয়, যা জমির পরিমাণ এবং প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এটি সরকারের একটি নিয়মিত রাজস্ব আয়, যা ভূমি ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহৃত হয়। খাজনা পরিশোধের মাধ্যমে জমির মালিকানা প্রমাণ করা যায় এবং এটি দাখিলার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তি খাজনা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। জমির খাজনা নিয়মিত পরিশোধ করা জমির মালিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জমির খাজনা ও ভূমি কর কি একই জিনিস? হ্যাঁ, জমির খাজনা ও ভূমি কর একই জিনিস। “খাজনা” শব্দটি ভূমি কর বা ভূমি উন্নয়ন করের একটি প্রচলিত প্রতিশব্দ। সহজ ভাষায়, জমির মালিকানা ব্যবহারের জন্য সরকারকে যে নিয়মিত কর দিতে হয়, সেটিই খাজনা বা ভূমি কর নামে পরিচিত। জমির মালিকানার বিপরীতে সরকারকে প্রদেয় একটি নিয়মিত কর। এটি একটি আইনি বাধ্যবাধকতা, যা জমির মালিককে প্রতি বছর পরিশোধ করতে হয়। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধের মাধ্যমে জমির মালিকানা প্রমাণ করা যায়। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধের রশিদ (দাখিলা) জমির মালিকানার গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ না করলে বকেয়া খাজনার সাথে সুদও যোগ হতে পারে। অতএব, জমির খাজনা এবং ভূমি কর দুটি ভিন্ন শব্দ হলেও, একই বিষয়, অর্থাৎ জমির মালিকানার বিপরীতে সরকারকে প্রদেয় করকে নির্দেশ করে।

জমির খাজনা না দিলে নাকি জমি খাস হয়ে যায়? হ্যাঁ, যদি কোনো ব্যক্তি টানা তিন বছর জমির খাজনা পরিশোধ না করেন, তবে সেই জমি সরকারের তত্ত্বাবধানে চলে যেতে পারে, যা “খাস জমি” হিসেবে পরিচিত, এমনটাই বলছে ভূমি মন্ত্রণালয়। তবে, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এর সাথে আরও কিছু বিষয় জড়িত আছে। জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর একটি নিয়মিত পরিশোধযোগ্য কর যা জমির মালিককে দিতে হয়। যদি কোনো কারণে কেউ খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে প্রথমে তাকে বকেয়া পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। যদি এরপরও বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তাহলে জমিটি সরকারের তত্ত্বাবধানে চলে যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি টানা তিন বছর জমির খাজনা পরিশোধ না করেন, তবে তার জমি সরকারের খাস জমি হিসেবে গণ্য হতে পারে। জমির মালিককে বকেয়া খাজনা পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়, এবং বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ বা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখলের চেষ্টা হলেও জমি খাস হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি নতুন করে জমি কেনেন, তাহলে তাকেও বকেয়া খাজনা পরিশোধ করতে হতে পারে। অতএব, জমির খাজনা নিয়মিত পরিশোধ করা জমির মালিকের জন্য খুবই জরুরি। এতে করে জমি হারানোর ঝুঁকি কমে এবং সরকারের সাথে ভূমি বিষয়ক জটিলতাও এড়ানো যায়।

www.idtax.gov.bd login । জমির খাজনা অনলাইনে । Land gov bd । জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম কি?

খাজনা কি এখন অনলাইনে নেই? না, বর্তমানে খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। ldtax.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আপনার জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন।

Caption: https://ldtax.gov.bd

ভূমিকর বা খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ । অনলাইনে খাজনা দেওয়ার প্রক্রিয়া কি? অনলাইনে খাজনা দেওয়ার জন্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (ldtax.gov.bd) গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং তারপর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও, নাগরিক ভূমি সেবা কেন্দ্রে (Citizen Land Service Center) গিয়েও এই সেবা গ্রহণ করা যেতে পারে। খাজনা পরিশোধের জন্য এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. ওয়েবসাইটে যান: ldtax.gov.bd এই ওয়েবসাইটে যান অথবা নাগরিক কর্নার অপশন থেকে “পেমেন্ট করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
  2. নিবন্ধন করুন: ওয়েবসাইটে উপলব্ধ নিবন্ধন অপশন ব্যবহার করে আপনার আইডি তৈরি করুন। অনলাইনে জমির তথ্য দিয়ে হোল্ডিং খোলা আবেদন করুন। হোল্ডিং খোলা হয়ে গেলে বকেয়া খাজনার পরিমাণ দেখতে পারবেন। হোল্ডিং অনুমোদন হতে ৭-৩০ দিন সময় লাগতে পারে।
  3. ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করুন: অনলাইনে পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করুন। আপনি ই-চালান অথবা সোনালী পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন।
  4. পেমেন্ট মাধ্যম নির্বাচন করুন: আপনার পছন্দসই পেমেন্ট মাধ্যম (যেমন – সোনালী ব্যাংক, কার্ড, অথবা মোবাইল ব্যাংকিং) নির্বাচন করুন।
  5. রশিদ ডাউনলোড করুন: পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর, দাখিলা অপশন থেকে আপনার খাজনার রশিদ ডাউনলোড করুন। এছাড়াও, আপনি যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমেও অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন।

যদি অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হেল্পলাইন নম্বর ১৬১২২ এ কল করে বা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে পারেন।

খাজনা দিতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে জমির খতিয়ানের তথ্য (খতিয়ান বা পর্চা অথবা পূর্বের খাজনার রশিদ), ওয়ারিশান সনদ (যদি ওয়ারিশসূত্রে মালিক হউন) আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) নম্বর, একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর, একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) অ্যাকাউন্ট (যেমন: বিকাশ, রকেট), ইন্টারনেট সংযোগ। এছাড়াও, অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে, যা আপনি ldtax.gov.bd ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। সুতরাং, আপনি সহজেই অনলাইনে আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারেন।

পৈত্রিক জমির খাজনা নামজারি ছাড়া দেওয়া যায়? হ্যাঁ।, পৈত্রিক জমির খাজনা সাধারণত নামজারি (মিউটেশন) ছাড়া সরাসরি দেওয়া যায়। কেনা জমির ক্ষেত্রে নামজারি ছাড়া, ভূমি অফিসের রেকর্ডে মালিকানার পরিবর্তন হয় না, তাই খাজনা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। প্রথমে নামজারি করে জমির মালিকানা পরিবর্তন করে, তারপর খাজনা দেওয়া উচিত। যদি পৈত্রিক সূত্রে জমি পেয়ে থাকেন, তাহলে প্রথমে আপনাকে সেই জমির নামজারি করাতে হবে। নামজারি করার মাধ্যমে জমির মালিকানা আপনার নামে রেকর্ড করা হবে এবং খাজনা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যদি নামজারি করা না থাকে, তাহলে ভূমি অফিস সাধারণত খাজনা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে, অথবা পুরাতন মালিকের নামেই খাজনা দিতে হতে পারে। অতএব, পৈত্রিক জমির খাজনা দেওয়ার আগে অবশ্যই নামজারি করিয়ে নেয়া উচিত।

 
   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *