মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য কিছু সংখ্যক আসন বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকে। যেমন: মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, প্রতিবন্ধী, ইত্যাদি। এই কোটাসমূহে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন থাকে, যা সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পূরণ করা হয়– মেডিকেল কলেজে সংরক্ষিত আসন ২০২৫

মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে না? না। মহামান্য আদালতের নির্দেশনা, বিজ্ঞ অ্যাটর্নী জেনারেলের আইনী মতামত ও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার অনুযায়ী ২০২৪-২০২৫ খ্রি. শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে মুক্তিযোদ্ধা/শহিদ মুক্তিযোদ্ধা/বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সংযুক্ত তালিকা অনুসারে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষগণকে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীগণ আগামী ০২/০৬/২০২৫ খ্রি. তারিখ হতে ০৪/০৬/২০২৫ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আগামী ২০২৫-২০২৬ খ্রি. শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে মুক্তিযোদ্ধা/শহিদ মুক্তিযোদ্ধা/বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত থাকবে না।

তালিকা কত তারিখের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে? কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি ও মেডিকেল বোর্ড যথাক্রমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই করবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অত্র অধিদপ্তরের প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নামসহ পূর্ণ তালিকা ও শূণ্য আসন (যদি থাকে) সংক্রান্ত তথ্যের সফট্ কপি ই-মেইলে (medicaledu313@gmail.com) ও হার্ড কপি আগামী ১৫-০৬-২০২৫ তারিখের মধ্যে পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা শাখা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরাতন ভবন), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকায় বিশেষ বাহক মারফত প্রেরন করতে হবে।

ভর্তির সময় কি কি কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে? ২০২৪-২০২৫ খ্রি. শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ।এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিষ্ট্রেশন কার্ড। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসা পত্র। স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র। চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো কোটা নেই, তবে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য মোট আসনের ৫% আসন সংরক্ষিত থাকবে এই কোটার বাইরে অন্য কোনো কোটা (যেমন: জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য কোটা, ইত্যাদি) নেই

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৩.২৫.০১৯.২০.৮৭৫ তারিখ ১৮/১০/২০২০ খ্রি: এ জারিকৃত বিধি বিধান অনুসরণযোগ্য ।

Caption: Medical Admission Quota Bangladesh

মেডিকেল কলেজে সারাদেশে সিট সংখ্যা ২০২৫ । সুতরাং, সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা (৫,৩৮০ + ৬,২৯৩) = ১১, ৬৭৩ টি.

1. বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৫,৩৮০টি আসন রয়েছে।
2. এর মধ্যে সাধারণ কোটায় ৫,২৩৩টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭টি, উপজাতি কোটায় ৯টি, অ-উপজাতি কোটায় ৩টি, এবং অন্যান্য জেলার উপজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য ৮টি আসন বরাদ্দ।
3. এর পাশাপাশি, ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬,২৯৩টি আসন রয়েছে। এখানে একটি বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো
4. সরকারি মেডিকেল কলেজ: ৩৭টি, মোট আসন সংখ্যা ৫,৩৮০টি।
5. বেসরকারি মেডিকেল কলেজ: ৬৭টি, মোট আসন সংখ্যা ৬,২৯৩টি।

মেডিকেল কলেজে সংরক্ষিত আসন থাকে?

হ্যাঁ, মেডিকেলের সরকারি এবং বেসরকারি উভয় প্রকার কলেজে কিছু আসন সংরক্ষিত থাকে। এই আসনগুলো বিভিন্ন কোটার জন্য বরাদ্দ করা হয়, যেমন- মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, পার্বত্য জেলার ছাত্রছাত্রী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসনের ৫% আসন মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত। সরকারি মেডিকেল কলেজে উপজাতীয়দের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে, যেমন- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার প্রতিটি থেকে ৩টি পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী (উপজাতীয়) এবং ১টি অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে। বিভিন্ন সময় সরকার আরও কিছু কোটা নির্ধারণ করতে পারে, যেমন- প্রতিবন্ধী, দলিত ও অন্যান্য পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য। এই কোটাগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।