পে-স্কেল I গেজেট । প্রজ্ঞাপন । পরিপত্র

সেনাবাহিনী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২০২৪ । কমিশন্ড অফিসারগণ কি কি অপরাধের তাৎক্ষনিক বিচার করবে?

সেনাবাহিনীর সদস্যদের পূর্বেও এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে ফলে এবার যুবক ও দক্ষ অফিসারগণ দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিবে–সেনাবাহিনী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২০২৪

সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার কি? সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার হলেন সশস্ত্র বাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, যিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে দেশের সেবা করে থাকেন। তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। কমিশন্ড অফিসার হলেন সেই সকল সৈনিক, যারা সরাসরি সরকারের কাছ থেকে কমিশন অর্জন করে থাকেন। এই কমিশন তাদেরকে সেনাবাহিনীতে একজন অফিসার হিসাবে কাজ করার অধিকার দেয়। তারা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন, যেমন ইনফ্যান্ট্রি, আর্টিলারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।

দুর্নীতিবাজদের কি ধরতে পারবে? না। দুর্নীতি দমন কমিশন তার সামগ্রিক কার্যক্রম ০৮(আট)টি অনুবিভাগের মাধ্যমে পরিচালনা করে। অনুসন্ধান ও তদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুবিভাগ। এই অনুবিভাগের অধীনে অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এবং অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ নামে দুটি শাখা রয়েছে। উক্ত ০২ (দুই) টি শাখার মাধ্যমে অনুবিভাগের আওতাধীন ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল মোট = ০৬ টি বিভাগীয় কার্যালয় ও ২২ (বাইশ) টি সমন্বিত জেলা কার্যালয় এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দুর্নীতির অপরাধসমূহের বিচার কার্য প্রধানত নির্ভর করে অনুসন্ধানের উপর। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ অনুসন্ধান সম্পর্কে দুদককে বিশেষ ক্ষমতা অর্পণ করেছে (ধারা ১৯ ও ২০)। সেজন্য, অনুসন্ধান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য দুদকের এই অনুবিভাগটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কি? নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের শাসন বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটগণ। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন। এই কর্মকর্তাগণ নিজ অধিক্ষেত্রে ব্যাপক প্রশাসনিক ক্ষমতা ও সুনির্ধারিত বিচারিক ক্ষমতার অধিকারী। জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে তারা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সম্মুখসারিতে কার্যনির্বাহীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ, দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা, নির্বাচনী দায়িত্বপালন, পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্বপালন, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা, প্রোটোকল ব্যবস্থাপনা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তারা ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এবং মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর বিধান অনুযায়ী নির্বাহী আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।

সেনা বাহিনী কি শুধুমাত্র ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করবে? / না। সমগ্র বাংলাদেশে

ফৌজদারি কার্যবিধি বা ক্রিমিনাল প্রসিডিয়ার কোড হলো একটি আইনি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অপরাধমূলক কার্যকলাপের তদন্ত, অভিযুক্তের গ্রেফতার, আদালতে বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তির বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ সালে প্রণীত হয়েছিল এবং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে, যেমন বাংলাদেশ, ভারত, ও পাকিস্তানে প্রচলিত।

Caption: Majestracy Power of Arm Form Army Bangladesh

ম্যাজিস্ট্রেড সেনাবাহিনীর কার্যসীমা ২০২৪ । যে সকল অপরাধের ধারা প্রয়োগ করতে পারবেন

  • ধারা ৬৪ : ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।
  • ধারা ৬৫ : গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা যার জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।
  • ধারা ৮৩/৮৪/৮৬ : ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।
  • ধারা ৯৫(২) : নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।
  • ধারা ১০০ : ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।
  • ধারা ১০৫ : সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।
  • ধারা ১০৭ : শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।
  • ধারা ১০৯ : ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীর ক্ষমতা।
  • ধারা ১১০ : ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।
  • ধারা ১২৬ : জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা।
  • ধারা ১২৭ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা।
  • ধারা ১২৮ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।
  • ধারা ১৩০ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।
  • ধারা ১৩৩ : স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।
  • ধারা ১৪২ : জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক করতে পারবেন?

হ্যাঁ। ফৌজদারি কার্যবিধি বিভিন্ন ধরনের আদালতের বিচারিক ক্ষমতা এবং সেসব আদালতের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত বিধান দেয়। এর মাধ্যমে জানা যায়, কীভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে, সাক্ষীদের কীভাবে তলব করা হবে, গ্রেফতারের পর কীভাবে তদন্ত পরিচালনা হবে, এবং অপরাধ দমনে পুলিশ ও আদালতের ভূমিকা কী হবে। এছাড়াও, ফৌজদারি কার্যবিধি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়, যেমন সমন জারি, গ্রেফতারি পরোয়ানা, তল্লাশি পরোয়ানা, অভিযুক্তের সম্পত্তি ক্রোক করা, মামলার তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া। অপরাধ দমনে পুলিশের ক্ষমতা এবং তাদের উপর যে দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে তাও এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির মাধ্যমে মামলাগুলোতে জড়িত সকল পক্ষের ভূমিকা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারক মামলার সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *