বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

সরকারি কর্মচারীদের দাবী ৫০% মহার্ঘ ভাতা ২০২৫ । মহার্ঘ ভাতা দিলে কি প্রনোদনা বা বিশেষ সুবিধা বাদ যাবে?

সরকারি কর্মচারীরা দ্রব্যমূল্যের চাপে নিষ্পেষিত ও ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ছে- তাদের বাঁচাতে এই মুহূর্তে ৫০% মহার্ঘভাতা খুবই জরুরী-সরকারি কর্মচারীদের দাবী ৫০% মহার্ঘ ভাতা ২০২৫

মহার্ঘ কমিটির সভা কবে হবে? সরকার মহার্ঘ ভাতা প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করে দিয়েছে। গতকাল যদিও কমিটির একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসনিক অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে সেই সভা বা মিটিংটি সংঘটিত হয়নি। মিটিংটি কবে হবে সেটি তারিখ ও কমিটি ঘোষণা করেনি। তবে এ মাসেই একটি মিটিং হবে সেটি পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল।

কবে দিবে মহার্ঘ ভাতা? –সরকারী চাকু‌রিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা দ্রুতই পাবেন। আগামী সপ্তাহে প্রথম মিটিং হ‌তে প‌া‌রে। কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের জন্য আলাদা শতকরা হা‌র হিসেবে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার চিন্তা চল‌ছে। বৈষম্য নিরসনের জন্য কর্মচারীদের শতকরা হার বেশি হবে। সর্বোচ্চ আর সর্বনিন্ম এমাউন্ট ফিক্সড করে দেওয়া হবে। আমরা যদি পূর্ব জারিকৃত মহার্ঘভাতার আদেশ গুলো পর্যালোচনা করি সেখানেও দেখব বিশ পার্সেন্ট অর্থাৎ ১,৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬,০০০ টাকা নির্ধারিত ছিল। পূর্বের পে স্কেল গুলোকে যদি আমরা লক্ষ্য করি সেখানেও দেখব এরা  তত পূর্ববর্তী কাঠামোকে অনুসরণ করেছে। আলোচনা দেখে মনে হলো এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আলোচনা শুনে এটিও বোঝা গেল যে এবছর পে স্কেল সুবিধা চালু হচ্ছে না কারণ যদি দুই থেকে তিনটি সভা হয় তাহলেও এই ডিসেম্বর মাস পার হয়ে যাবে শুধু প্রস্তাব তৈরি করতেই। প্রনোদনা বা বিশেষ সুবিধা ভাতাটি মহার্ঘ ভাতার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। নতুন পে স্কেল জারি করা পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা ও বিশেষ সুবিধা বহাল রাখা সমীচিন হবে।

মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণে কর্মচারী প্রতিনিধি নেই কেন? চৌদ্দ লক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও মহার্ঘ ভাতা প্রণয়ন কমিটিতে কর্মচারীদের কোন সদস্য রাখা হয়নি। জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেছুর রহমানকে জিজ্ঞেস করা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এই যে পদোন্নতি বঞ্চিত তালিকা চাওয়া হয়েছে যেখানে কর্মচারীদের কোন তথ্য চাওয়া হয়নি। গত ১৫ বছরে কি শুধুমাত্র কর্মকর্তারা এই পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন নাকি সেখানে কর্মচারী রাও ছিল। বঞ্চিত কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যাপারে কি সরকার কোন রকম চিন্তা করছে না। তার মানে কর্মচারীরা দেশ গঠনে তেমন কোন ভূমিকা রাখেনা।

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেতন বৈষম্য তৈরি করেছে যারা তারাই মহার্ঘ ভাতা প্রণয়ন কমিটির মধ্যে আছেন / এবারও কি শতকরা হারেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে ২০-৩০% মহার্ঘ ভাতা কর্মচারীদের জন্য খুব বেশি সুবিধা হয়ে আনবে না

পূর্বের পে স্কেল কি শতকরা হারে ছিল? হ্যাঁ। জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্হা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যকে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের মূল বেতনের ২০ (বিশ) শতাংশ হারে মাসিক সর্বনিম্ন ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬,০০০/-(ছয় হাজার) টাকা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এখানে শতকরা হার বা পার্সেন্টেজ আকারেই ছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত না মূল বেতনের বৈষম্য দূর হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সরকার যে সুবিধায় প্রদান করুক না কেন তাতে বৈষম্য থেকেই যাবে।

Caption: 11-20 grade govt. Staff

সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবী সমূহ ২০২৫ । ১০টি গ্রেড চায় বৈষম্যমুক্ত বেতন ভাতার দাবিতে ইতোপূর্বে অনেকবার সমাবেশ করেছে

  • দাবীনামা ০১– বৈষম্যহীন ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে পে কমিশন গঠন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে। ইতোমধ্যে যাদের মূল বেতন শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে । বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে ।
  • দাবীনামা ০২– সচিবালয়ের ১৯৯৫ সালের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমানসহকারী ও হিসাবরক্ষক এবং ষাটলিপিকারসহ সমপদগুলির পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নাম করনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রয়ন করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৩– ২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে হরণকৃত ৩ টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহল এবং সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৪– সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ । আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে ।
  • দাবীনামা ০৫– ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দিতে হবে।
  • দাবীনামা ০৬– বাজারমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মূদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে দেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে ।
  • দাবীনামা ০৭– উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকুরীকাল গণনা করে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে নং : অম/অবি(বাস্ত-৪)/বিবিধ-২০ (উঃস্কেঃ/০৭/৪৭ তারিখঃ ২৪-০৩-২০০৮ খ্রিঃ যোগে অর্থ মন্ত্রনালয় হতে জারীকৃত বৈষম্য মূলক আদেশ বাতিল করতে হবে।

দিন শেষে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা?

হ্যাঁ। কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য অবশ্যই দুঃখ জনক কিন্তু আমরা সব শক্তি যদি বৈষম্য নিয়ে খরচ করি তাহলে বেশি লাভবান হব না। হ্যাঁ সুযোগে বৈষম্য বিষয়েও বলব কিন্তু অল টাইম এটা নিয়ে পড়ে থাকা তেমন লাভ দেখছি না। কর্মকর্তাদের সাথে তুলনা বাদ দিয়ে আমরা আমাদের ৩ টি টাইম স্কেল থেকে যে ১ টি কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেটা আদায়ের চেষ্টা করি। আমরা আমাদের অতিরিক্ত দক্ষতার ২/৩ টি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ থেকে ফেরত আনতে পারছি না সেখানে কর্মকর্তাদের সাথে বৈষম্য কমিয়ে আনব এমন টা কি আদৌ সম্ভব? আমিও কর্মচারী, আমাকে কর্মকর্তাদের দালাল ট্যাগ দিয়েন না। বৈষম্য নিয়ে আলোচনাতে কোন লাভ কখনোই হবে না। আমাদের একটা টাইম স্কেল ফেরত আনতে পারিনা সেখানে বৈষম্য কমাতে পারব অসম্ভব বিষয়। আর বেতন বৈষম্য সৃষ্টি শুধুই কর্মকর্তারা করেছে? সরকারের মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি যাচাই বাছাই করেন নি? উনারাও তো দায়ী। মনে রাখবেন, কর্মকর্তাদের বেতন বাড়লে আপনার আমারও বাড়বে। বর্তমান বাজার মূল্যে সব কর্মকর্তারা যে খুব ভালো আছেন তা কিন্তু নয়। কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই মিলে ৯ম পে স্কেল এর দাবী করি সরকারের কাছে। মন্তব্য- Samayun Ahmed

সরকারি কর্মচারীদের ভাড়া বাসায় বসবাস ২০২৪ । অবসরের দিন থেকেই গৃহহীন নিরাশ্রয় হয়ে যান?৯ম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে আপডেট ২০২৪ । সরকারি পে স্কেল ছাড়া কি গ্রেড সংখ্যা কমানো যাবে?সরকারি পে-স্কেল যেমন হওয়া উচিৎ 2024 । যেভাবে জাতীয় বেতন কাঠামো সংস্কার করা যেতে পারে
   
   

New Pay Scale 1:5 Ratio 2024 । সরকারি কর্মচারী বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণার অপেক্ষায়?

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

7 thoughts on “সরকারি কর্মচারীদের দাবী ৫০% মহার্ঘ ভাতা ২০২৫ । মহার্ঘ ভাতা দিলে কি প্রনোদনা বা বিশেষ সুবিধা বাদ যাবে?

  • সরকারি চাকুরী জীবিদের দাবী শুধু একটা শ্রেণীর মানুষের জন্য, তাদের দাবী পুরন হয়তো হবে, এরপর বাকি জনগনের কি হবে, এছাড়া বেতন বাড়লে দ্রব্য সামগ্রীর দাম আরও কয়েক ধাপ বাড়বে, তখন সাধারণ মানুষ এবং বেসরকারি চাকুরি জীবিদের জীবন যাপন আরও কথিন হয় পড়বে, এই বিষয়টি interim govt must খেয়াল রাখতে হবে, তবে জনগণের ভোটে নির্বাচিতো সরকার হলে আবশ্যই এই এভাবে বেতন বাড়াতো না, তারা ভোটারদের কথাও ভাবতেন,

  • মূলত নিম্ন গ্রেডে বেতন বাড়বে এবং বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করা হবে। ওভারঅল মূল্যস্ফিতিতে প্রভাব পড়বে না আশা করা যায়।

  • আমি নিজে পদন্নোতি বঞ্চিত।
    কমপক্ষে দুটো পদন্নোতি বঞ্চিত করা হয়।

  • এটির সুরাহা হওয়া উচিত।

  • আরও বেশি দেন সমস্যা নেই। কিন্তু তারা সকল কাজের সচ্ছতা থাকতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

  • জি। সেটিই তো বিরাট ব্যাপার।

  • স‍্যার,
    প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক হিসেবে আজকের কলাম টি পড়ে নিজেকে একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে প্রচন্ড অপমানিত বোধ করছি। সেই সাথে কিছু প্রশ্ন আপনার কাছে পেশ করছি।

    ১) ১ জন ১০ গ্রেড্রের কর্মকর্তা কত বেতন পান , আপনি কি তা সত‍্যিকার অর্থে ধারণা রাখেন? ১১-২০ গ্রেড্রের কর্মকর্তা কত বেতন পান তা কি ধারণা রাখেন?
    ২) গাড়ি বা কার লোন কত শতাংশ চাকরিজীবী পান তা কি আপনি জানেন? কোন গ্রেডের কর্মকর্তা রা কার লোন পান তা কি জানেন?
    ৩) প্রাইভেট আর সরকারির মধ‍্যে বেতনের কি পার্থক‍্য তী কি জানেন আপনি?
    ৪) যারা সৎভাবে চাকরি করে, অবৈধ উপার্জন করে না, তারা কী ধরনের মানবেতর জীবন যাপন করছে তা কি আপনি অনুভব করার মতো মানসিকতা রাখেন?

    আপনার অবগতির জন‍্য জানাই যে, একটি সরকারি ব‍্যাংকের অফসার পদে কর্মরত থেকে ১০ গ্রেডে সর্বসাকুল‍্যে ২৫০০০ এর মতো বেতন পাই। জিপিএফ মিনিমাম ১০% কাটালে তা আরো কমে যেতো। আমি প্রাইভেট ব‍্যাংকে এর চেয়ে অনেক বেশি বেতন পেতাম। আমার প্রাইভেট ব‍্যাংকের কলিগরা এখন ৬০০০০ এর মতো বেতন পান। আমি পাপ করেছি সরকারি চাকরির মোহ এ বিভ্রান্ত হয়ে।

    ভালো সেবা পেতে হলে , ভালো জীবনযাপন করার মতো আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হয়। নূ‍্যনতম বেতন ও না দিয়ে বেকারত্ব আর চাকরি প্রার্থীর সংখ‍্যার আধ‍্যিক‍্যের কারণে আধুনিক দাস হিসেবে আমাদের ব‍্যবহার করা হচ্ছে। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৭-৮ পর্যন্ত আমরা ব‍্যাংকাররা অফিস করি। টার্গেট পূরণ করি। মাঝে মধ‍্যে জরিমানাও দিতে হয়। আমার চেয়ে একজন ড্রাইভার, একজন দারোয়ান অথবা একজন রিকসাওয়ালা ভাইয়ের ইনকাম ও নিশ্চিতভাবে বেশি।

    তবুও আমি অপরাধী। কারণ , আমি কেনো সরকারি চাকরিতে এসেছি? আমি কেনো আধুনিক দাস হিসেবে নিজেকে মেনে নিয়ে চলতে পারতেছি না? আমি কেনো অবৈধ উপার্জন করতেছি না? আমি অপরাধী কারণ, আমি আমার মেধার বিনিময়ে সরকারি চাকরি নামক মোহ এ বিভ্রান্ত হয়ে নিজেকে নিঃস্ব করতেছি।

    মনে রাখবেন, এরকম স‍্যালারি দিয়ে বেশিদিন ভালো সেবা পাবেন না। সুযোগ পেলে আমিও দেশ ত‍্যাগ করব। অনেকেই করছে। অনেকেই করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *