১২ গ্রেড ৯ম পে স্কেল প্রস্তাবনা ২০২৫ । বর্তমান সরকার কে বাস্তবায়ন করে যাওয়ার দাবী সরকারি কর্মচারীদের?
সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন একটি বেতন স্কেল, যা নবম পে স্কেল ২০২৫ নামে পরিচিত, প্রণয়নের দাবি উঠেছে। এই প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য হলো বর্তমান ২০টি গ্রেডকে কমিয়ে মাত্র ১২টি গ্রেডে রূপান্তর করা। এই প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে।– ১২ গ্রেড ৯ম পে স্কেল প্রস্তাবনা ২০২৫
প্রস্তাবনার মূল দাবিগুলো কি? গ্রেড সংখ্যা কমানো জি বর্তমান ২০টি গ্রেডকে কমিয়ে ১২টি করতে হবে। বেতন বৃদ্ধি জীবনযাত্রার ব্যয় এবং মুদ্রাস্ফীতির সাথে সঙ্গতি রেখে সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা করতে হবে। ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং অন্যান্য ভাতাগুলো আধুনিক সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। ভূতাপেক্ষ বাস্তবায়ন এই বেতন স্কেল প্রস্তাবিত সময় থেকে কার্যকর করে এরিয়া (বকেয়া) প্রদান করতে হবে।
কর্মচারী সংগঠনগুলো কি সরকারের নিকট প্রস্তাব তুলে ধরেছে? হ্যাঁ। সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলো বর্তমান সরকারকে এই প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়ে আসছে, যাতে তারা বর্তমান বাজারমূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনযাপন করতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একটি পে কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক বিবেচনা করে নতুন বেতন কাঠামো সম্পর্কে সুপারিশ করবে। এই ভিডিওটি ১২ গ্রেডের বেতন কাঠামোর প্রস্তাবনা এবং সরকারি কর্মচারীদের দাবির উপর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে।
গ্রেড সংখ্যা কমানোর যুক্তি কি? জি। গ্রেড সংখ্যা যত কমবে বেতন বৈষম্য তত কমবে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১২ গ্রেড নবম পে স্কেল ২০২৫ এর প্রস্তাবনাটি বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে। এই প্রস্তাবনায় সরকারি কর্মচারীরা বর্তমান ২০টি গ্রেডকে কমিয়ে ১২টি গ্রেডে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছেন। সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন এই নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছে যেমন-গ্রেড সংখ্যা হ্রাস বর্তমানে থাকা ২০টি গ্রেডকে কমিয়ে ১২টি করা। এই পদক্ষেপটি বেতন কাঠামোকে আরও সহজ ও বৈষম্যহীন করবে বলে কর্মচারীরা মনে করেন। সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধি জীবনযাত্রার ব্যয় এবং মুদ্রাস্ফীতির সাথে সঙ্গতি রেখে সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ মহার্ঘ ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও শিক্ষাভাতাসহ অন্যান্য ভাতাগুলো যুগোপযোগী করার দাবি করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের দাবি – ২০২৫ থেকে ১২-গ্রেডের ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে? হ্যাঁ। ২০২৫ সালের জন্য নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো ঘোষণার দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা একযোগে ১২-গ্রেডের ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলের পর গত ১০ বছরে দ্রব্যমূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বর্তমান বেতন কাঠামো জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মূল দাবি ও প্রস্তাবনা: ১২ গ্রেডে সীমিত বেতন কাঠামো, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ টাকা, সর্বোচ্চ বেতন ১,৪০,০০০ টাকা, ১:৪ অনুপাত বজায় রেখে গ্রেড নির্ধারণ, ভাতা (বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, পরিবহন) পুনর্বিবেচনা, মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট নির্ধারণ। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলো বলছে, নতুন পে-স্কেল ঘোষণা হলে কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং কর্মস্থলে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে। তারা আশা করছেন যে বর্তমান সরকারই এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
১২ গ্রেড জাতীয় বেতন কাঠামো ২০২৫ (প্রস্তাবিত)/ বর্তমান সরকার-কেই নতুন পে কাঠামো সংস্কার করে যেতে হবে।
কমিশনের বর্তমান অবস্থা কি? সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইতিমধ্যে একটি পে কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করবে। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা বর্তমান সরকারকে এই নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করে যাওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। জাতীয় পে কমিশন গত ১৪ আগস্ট সর্বশেষ প্রথম বৈঠক করে এরপর আর কোন বৈঠকের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

Caption: ১:৪ অনুপাতে ন্যায্য ব্যবধান। প্রত্যেক গ্রেডে ন্যূনতম ৫% বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট। মুদ্রাস্ফীতি সমন্বিত ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব
২০২৫ সালের জন্য ১২ গ্রেডের ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম প্রধান দাবি হিসেবে উঠেছে।মূল প্রস্তাবনা ও দাবি:
- সর্বনিম্ন বেতন: ৩৫,০০০ টাকা
- সর্বোচ্চ বেতন: ১,৪০,০০০ টাকা
- বৈষম্যহীন স্কেল: ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো করার দাবি
- গ্রেড সংখ্যা: মোট ১২ গ্রেডে সীমিত করার প্রস্তাব
- ইনক্রিমেন্ট: মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট সমন্বয়
- অতিরিক্ত ভাতা: বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও পরিবহন ভাতা পুনর্বিবেচনার দাবি
- সরকারি কর্মচারীদের দাবির মূল কারণ: বর্তমান বেতন কাঠামোতে নিম্ন ও উচ্চ গ্রেডের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই।২০১৫ সালের পর থেকে নতুন কোনো পূর্ণাঙ্গ পে-স্কেল বাস্তবায়ন হয়নি।
- বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি: সরকারি কর্মচারীরা চাইছেন যে বর্তমান সরকার এই প্রস্তাবিত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করুক এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকেই তা কার্যকর হোক। তারা মনে করছেন, এটি বাস্তবায়ন হলে কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনা বাড়বে।
বর্তমান সরকার কেন জাতীয় বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন পরবর্তী সরকারের উপর দিচ্ছে?
নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের বিষয়টি বর্তমান সরকার পরবর্তী সরকারের উপর ছেড়ে দিচ্ছে, কারণ এই বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। নতুন বেতন স্কেল প্রণয়নের জন্য একটি পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সংকট এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনা করে একটি নতুন কাঠামো প্রস্তাব করবে। কমিশনকে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণত ছয় মাস। প্রতিবেদনটি তৈরি এবং বিশ্লেষণ করার জন্য এই সময় প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন বেতন কাঠামোর মতো বড় ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিবর্তে একটি নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার বিষয়ে প্রাথমিক কাজ করে যেতে পারে। তবে চূড়ান্ত বাস্তবায়নটি নবনির্বাচিত সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারই দেশের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলো কার্যকর করবে বলে আশা করা হয়। নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়নে সরকারের উপর বিশাল আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে। তাই, নতুন নির্বাচিত সরকারই তাদের নিজস্ব বাজেট পরিকল্পনায় এই ব্যয়ভার অন্তর্ভুক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১২ গ্রেডের পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে চাই নিয়োগ বিধি কি পরিবর্তন করতে হবে? হ্যাঁ, যদি বাংলাদেশে ১২-গ্রেডের নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে চান, তবে কিছু নিয়োগ বিধি এবং সার্ভিস রুল পরিবর্তন করতে হবে। কারণ বিদ্যমান সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ ও নিয়োগ বিধিমালা মূলত বর্তমান ২০-গ্রেড কাঠামোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলাম—যেসব ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধি পরিবর্তন দরকার হবে
| 1. গ্রেড পুনঃসংজ্ঞা (Redefinition of Grades) বর্তমান সরকারি চাকরিতে ২০টি গ্রেড আছে (১ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত)। নতুন ১২ গ্রেড কাঠামো করতে হলে প্রতিটি গ্রেডের মূল বেতন, ইনক্রিমেন্ট, ও স্কেল সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। পাবলিক সার্ভিস রুলস (Pay & Allowances) সংশোধন করতে হবে। | 2. পদবী ও দায়িত্ব কাঠামোর পরিবর্তন-বর্তমান পদবীগুলো ২০ গ্রেডের উপর ছড়ানো। যেমন, অফিস সহকারী, এমএলএসএস, সহকারী কর্মকর্তা, সহকারী সচিব ইত্যাদি। ১২ গ্রেড হলে অনেক পদবী একত্রে মার্জ করতে হবে। Recruitment Rules এ লিখতে হবে কোন গ্রেডে কোন পদবী থাকবে এবং তার যোগ্যতা কী। | 3. বেতন স্কেল ও ইনক্রিমেন্ট নির্ধারণ-১২ গ্রেডের জন্য মূল বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, সর্বোচ্চ ধাপ (Slab) নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি গেজেটে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা দিতে হবে। |
| 4. পদোন্নতি ও জ্যেষ্ঠতা (Promotion & Seniority) নিয়ম হালনাগাদ-গ্রেড সংখ্যা কমে গেলে পদোন্নতির ধাপও কমে যাবে।তাই পদোন্নতির ন্যূনতম যোগ্যতা, জ্যেষ্ঠতার হিসাব, এবং টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড বিষয়গুলো সংশোধন করতে হবে। | 5. চাকরি আইন ও রেগুলেশন সংশোধন-সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় গ্রেড সংখ্যা (২০) উল্লেখ আছে। আইনি কাঠামো পরিবর্তন করে ১২ গ্রেডকে নতুন স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী (নিয়োগ, বেতন, ভাতা) বিধিমালা পুনঃপ্রকাশ করতে হবে। | 6. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও কোটা হালনাগাদ-নতুন গ্রেড সিস্টেমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, বেতনসীমা ইত্যাদি পরিবর্তন করতে হবে। কোটা ব্যবস্থা নতুন গ্রেডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। |



